এম এ রশীদ, সিলেট : শীতের ঝলমল দুপুর।মিষ্টি রোদ্দুর।এরই মধ্যে সিলেটের বিয়ানীবাজার উপজেলার ঐতিহ্যবাহি বালিঙ্গা উচ্চ বিদ্যালয় কৃতি শিক্ষার্থীরা দলবেঁধে আসতে শুরু করেন।সাথে আসেন অনেকের অভিভাবকরা।আরো উপস্থিত হন শিক্ষক,ও বিভিন্ন পেশার লোকজন। মুহুর্তের মধ্যে চোখ ধাধানো বিদ্যালয়ের হলরুমে উৎসবমুখর পরিবেশ সৃষ্টি হয়।আমন্ত্রিত অতিথিরা যার যার আসনে বসে পড়েন।বালিঙ্গা উচ্চ বিদ্যালয়ের আয়োজনে রবিবার(৯ ফেব্রুয়ারী)দুপুর ২টায় বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে শুরু হয়। তারেক আহমদ খান ট্রাস্ট এর উদ্যোগে মেধাবৃত্তি,ছাত্র /ছাএীদের কৃতি সংবর্ধনা অনুষ্ঠান।পবিত্র কোরআন মাজীদ তেলাওয়াত করেন বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মস্তাক আহমদ,অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মঈনউদ্দীন সুয়াই,এতে সভাপতিত্ব করেন বিদ্যালয়ের সাবেক সভাপতি গিয়াস উদ্দিন,প্রধান বক্তা ছিলেন পিটিএ সভাপতি আব্দুল হালিম,তারেক আহমদ খান,ট্রাস্ট এর প্রধান পৃষ্টপোষক মস্তাক আহমদ সাজু।প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন বিদ্যালয়ের আরেক সাবেক সভাপতি ও এনআরবি ব্যাংক বালিঙ্গা বাজার শাখার পরিচালক তুহেল আহমদ চৌধুরী, শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন অত্র বিদ্যালয়ের সহ-সভাপতি জহুরুল ইসলাম,বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন বিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষানুরাগী সদস্য ও ৪নং শেওলা ইউপি পেনেল চেয়ারম্যান মোঃফখরুল ইসলাম,বক্তব্য রাখেন বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মোঃআমিনুল হক,উপস্থিত ছিলেন বিদ্যালয়ের সহকারী সিনিয়র শিক্ষক মোঃবাহার উদ্দিন,রুহুল আমিন ভূঁইয়া,আইয়ুব আলী,অত্র বিদ্যালয়ের পরিচালনা কমিটির অভিভাবক সদস্য জাতীয় সাংবাদিক সংস্থা সিলেট জেলা সভাপতি এম এ রশীদ,ফখরুল ইসলাম,ছিদ্দিক আহমদ,বিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষার্থী রাহাত হোসেন চৌধুরী রাজু,আরোও উপস্থিত ছিলেন বিদ্যালয়ের অভিভাবক এমান উদ্দিন, সিরাজ উদ্দিন প্রমুখ!তারেক আহমদ খান ট্রাস্টের প্রধান পৃষ্টপোষক মস্তাক আহমদ সাজু বলেন,আমরা মেধার লালন করতে চাই।মেধাবীরা দেশের সম্পদ।তারা যাতে সুন্দর পরিবেশে লেখাপড়া করতে পারে আমরা এ সুযোগ সৃষ্টি করে দিতে চাই।তিনি বলেন,আমরা তারেক আহমদ খান ট্রাস্ট এর পক্ষ থেকে স্কুল,মসজিদ মাদ্রাসা, এতিমখানা সহ সামাজিক কাজ করে মানুষের কল্যাণ করে যেতে চাই।আজীবন এ কাজ করে যাব।মস্তাক আহমদ সাজু বলেন ছেলেমেয়ে যাতে আধুনিক ও যুগপোযোগি শিক্ষা পায় আমরা তাদের পাশে থাকব সব সময়।তবে সবার আগে দেশকে ভাল বাসতে হবে।দেশের মানুষকে ভালবাসতে হবে।সুন্দর আলোকিত মানুষ হতে হবে।তুহেল আহমদ চৌধুরী বলেন ৫২,৭১ ও ২০২৪ সালকে চেতনায় জাগ্রত রাখতে হবে।তারেক আহমদ খান ট্রাস্ট যে আলোকবর্তিকা সৃষ্টি করেছে।সে আলো আজীবন জ্বলজ্বল করে জলবে।দেশে শিক্ষিত জনগোষ্ঠী সৃষ্টি দেশ এগিয়ে যাবেই।তারেক আহমদ খান ট্রাস্টের কর্ণধার যারা আছেন তাদের জন্য আমরা বিদ্যালয়ের শিক্ষক শিক্ষার্থী অভিবাবক বৃন্দ ঋণী হয়ে থাকবো।বরং তারা বিদ্যালয়ের কল্যাণে কাজ করে যাচ্ছে।ট্রাস্টের পক্ষ থেকে ১১ জন শিক্ষার্থীকে ফ্রী ভর্তি করেন।সংবর্ধনা সভায় মেধাবী শিক্ষার্থীদের অভিভাবক দেরকে ক্রেস্ট ও সম্মাননা পত্র পদান করা হয়।