মঙ্গলবার, মার্চ ১৯, ২০২৪

নিবন্ধিত অনলাইন নিউজ পোর্টাল

আর ও খবর

১৪ দল সমর্থিত মেয়র প্রার্থী লিটনের নির্বাচনী প্রচার মিছিল

স্টাফ রিপোর্টার : রাজশাহী সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন-২০২৩ উপলক্ষে ১৪ দল, রাজশাহীর উদ্যোগে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ মনোনীত ও ১৪ দল সমর্থিত মেয়র প্রার্থী এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটনের নির্বাচনী প্রচার মিছিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার বিকেলে নগরীর জয় বাংলা চত্বর (বাটার মোড়) থেকে এই নির্বাচনী প্রচার মিছিল শুরু হয়। মিছিলটি নগরীর বিভিন্ন সড়ক পদক্ষিণ শেষে সাহেব বাজার জিরোপয়েন্টে বড় মসজিদের সামনে গিয়ে শেষ হয়। এরপর সেখানে পথসভা অনুষ্ঠিত হয়। নির্বাচনী প্রচার মিছিলে নেতৃত্ব দেন ও পথসভায় বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগ মনোনীত ও ১৪ দল সমর্থিত নৌকা প্রতীকের মেয়র প্রার্থী এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন।

পথসভায় এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন বলেন, রাজশাহীতে অনেক কাজ অসমাপ্ত রয়েছে। করোনা মহামারীর সংক্রমণ দেখা দিলে সেটি মোকাবেলা ও মানুষকে বাঁচাতে আমরা ব্যস্ত হয়ে পড়ি। করোনার পরে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ, ডলারের দাম বৃদ্ধি ইত্যাদি কারণে অনেক কাজ সমাপ্ত করা সম্ভব হয়নি। এরমধ্যেও রাজশাহী যে উন্নয়ন করেছি, তা দৃশ্যমান। রাজশাহীর সুনাম দেশের সীমানা পেরিয়ে বিদেশে ছড়িয়ে পড়েছে। আমি নির্বাচিত হলে অসমাপ্ত কাজ সমাপ্ত করবো। আগামীতে কী কী করতে চাই, সেটি আমি নির্বাচনী ইশতেহারে উল্লেখ করেছি। এবার আমি কর্মসংস্থান সৃষ্টি করতে চাই। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিসিক শিল্পনগরী- ২ ও চামড়া শিল্প পার্ক দিয়েছেন। আগামী ৫ বছর তরুণ-তরুণীদের জন্য কর্মের ব্যবস্থা করতে চাই।

তিনি আরো বলেন, আওয়ামী লীগ দেশের স্বাধনতা এনে দিয়েছে। একমাত্র আওয়ামী লীগই পারে দেশের উন্নয়ন করতে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশ সামনের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। দেশের সঙ্গে তাল মিলিয়ে রাজশাহীকেও এগিয়ে নিয়ে যেতে চাই। আমি নির্বাচিত হলে আজকের যে রাজশাহী দেখছেন, আগামী ৫ বছরে রাজশাহী হবে আরো উন্নত, কর্মচঞ্চল আরো আধুনিক হবে। ২১ জুন সারাদিন, নৌকা মার্কাকে ভোট দিয়ে জয়যুক্ত করুন।

অপপ্রচারের বিরুদ্ধে সজাগ হওয়ার আহ্বান জানিয়ে খায়রুজ্জামান লিটন বলেন, অপ্রচারকারীরা মাঠে নেমেছে। তারা অপপ্রচার করছে। তাদের বিরুদ্ধে আপনাদের সজাগ থাকতে হবে। যেসব এলাকায় গরীব মানুষের বসবাস, যেসব এলাকায় গিয়ে ধর্ম ব্যবসায়ী একটি দল বলছে, একটি ভোট দিলে একটি হজে¦র সওয়াব পাওয়া যাবে। নাউজুবিল্লাহ। পূর্বে আমরা জামায়াত-শিবিরের লোকের মুখে শুনেছিলাম তাদের মার্কায় ভোট দিলে জান্নাতের টিকেট পাওয়া যায়। একথা মানুষকে বলে আজকে তারা সংকটে পড়েছে। যারা নতুন করে দেশের রাজনীতিতে আবির্ভূত হয়েছেন, রাজনীতিতে, নির্বাচনে অংশ নিচ্ছেন। নির্বাচনে অংশ নেন সমস্যা নাই। কিন্তু ধর্মের কথা বলে মানুষকে বিভ্রান্ত করবেন না। ধমের্র কথা বলে মানুষকে বিভ্রান্ত করলে আপনি তো নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘনের দায়ে অভিযুক্ত হয়ে যাবেন। আপনাদের বিরুদ্ধে নির্বাচন কমিশনে অভিযোগ দাখিল করা হবে।

 

প্রচার মিছিল ও পথসভায় সভাপতিত্ব করেন রাজশাহী মহানগর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মোহাম্মদ আলী কামাল। সভার সঞ্চালনা করেন মহানগর আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আহসানুল হক পিন্টু।

কর্মসূচিতে রাজশাহী জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা অনিল কুমার সরকার, মহানগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি শাহীন আকতার রেণী, বীর মুক্তিযোদ্ধা নওশের আলী, অধ্যক্ষ শফিকুর রহমান বাদশা, নাইমুল হুদা রানা, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোস্তাক হোসেন, জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান আসাদ, নারী মুক্তি সংসদ কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি অধ্যাপিকা তসলিমা খাতুন, আওয়ামী লীগের বন ও পরিবেশ বিষয়ক উপ-কমিটির সদস্য ডা. আনিকা ফারিহা জামান অর্ণা, মহানগর ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি লিয়াকত আলী লিকু, সাধারণ সম্পাদক দেবাশিষ প্রামাণিক দেবু, জাসদ মহানগর সভাপতি আব্দুল্লাহ আল মাসুদ শিবলী, সাধারণ সম্পাদক আমিরুল কবির বাবু, জেলা জাসদের প্রদীপ মৃধা, মহানগর ন্যাপের সাধারণ সম্পাদক বাসেত হোসেন প্রামিণিক, নগর সাম্যবাদী দলের সম্পাদক এসএম ওমর ফারুক, মহানগর আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক মাহবুবুল আলম বুলবুল, প্রচার সম্পাদক দিলীপ কুমার ঘোষ, আইন বিষয়ক সম্পাদক এ্যাড. মুসাব্বিরুল ইসলাম, কৃষি বিষয়ক সম্পাদক মীর তৌফিক আলী ভাদু, তথ্য ও গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক জিয়া হাসান আজাদ হিমেল, ত্রাণ ও সমাজর কল্যান সম্পাদক ফিরোজ কবির সেন্টু, ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক জাহিদুল ইসলাম জাহিদ, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক শ্যাম দত্ত, শিল্প ও বাণিজ্য সম্পাদক ওমর শরীফ রাজিব, শ্রম বিষয়ক সম্পাদক আব্দুস সোহেল, স্বাস্থ্য ও জনসংখ্যা বিষয়ক সম্পাদক ডা. ফ.ম.আ জাহিদ, সদস্য জহির উদ্দিন তেতু, নজরুল ইসলাম তোতা, শাহাব উদ্দিন, এ্যাড. শামসুন্নাহার মুক্তি, বীর মুক্তিযোদ্ধ আব্দুল মান্নান, আতিকুর রহমান কালু, হাফিজুর রহমান বাবু, আখতারুল আলম, আব্দুস সালাম, তোজ্জামেল হক বাবলু, মজিবুর রহমান, ইসমাঈল হোসেন, বাদশা শেখ, ইউনুছ আলী, মোকলেছুর রহমান কচি, বোয়ালিয়া থানা (পশ্চিম) আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শামসুজ্জামান রতন, বোয়ালিয়া থানা (পূর্ব) আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শ্যামল কুমার ঘোষ, মতিহার থানা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মোঃ আলাউদ্দিন, শাহ মখদুম থানা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহাদত আলী শাহু, রাজপাড়া শাহ মখদুম থানা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শেখ আনসারুল হক খিচ্চু, মহানগর যুবলীগ সভাপতি রমজান আলী, সাধারণ সম্পাদক মোশাররফ হোসেন বাবু, নগর শ্রমিক লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ওয়ালী খান, নগর কৃষক লীগ সভাপতি রহমতুল্লাহ সেলিম, সাধারণ সম্পাদক সাকের হোসেন বাবু, নগর স্বেচ্ছাসেবক লীগ সভাপতি আব্দুল মমিন, নগর মহিলা লীগ সভাপতি সালমা রেজা, সাধারণ সম্পাদক কানিজ ফাতেমা মিতু, নগর যুব মহিলা লীগের সভাপতি এ্যাড. ইসমত আরা, সাধারণ সম্পাদক নিলুফার ইয়াসমিন নিলু, নগর ছাত্রলীগ সভাপতি নুর মোহাম্মদ সিয়াম, সাধারণ সম্পাদক ডা. সিরাজুম মুবিন সবুজ সহ সর্বস্তরের নেতাকর্মীরা।

সর্বাধিক পঠিত