সোমবার, মে ১৩, ২০২৪

নিবন্ধিত অনলাইন নিউজ পোর্টাল

আর ও খবর

রাসিক নির্বাচন : ভোট বর্জন করলো হাতপাখা

স্টাফ রিপোর্টার: বরিশাল সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মেয়রপ্রার্থী মুফতি সৈয়দ মোহাম্মদ ফয়জুল করীমের ওপর হামলার পর দলটি রাজশাহী ও সিলেট সিটি নির্বাচন বর্জন করেছে। রাজশাহীতে নির্বাচন বর্জনের জন্য ডাকা সংবাদ সম্মেলনে দলটির মেয়রপ্রার্থী মুরশিদ আলম বলেছেন, নির্বাচন কমিশনকে পরীক্ষা করার জন্যই তারা ভোটে অংশ নিয়েছিলেন।

সোমবার রাতে নগরীর শিরোইল এলাকার দলীয় কার্যালয়ে এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। সেখানে কেন্দ্রের সিদ্ধান্ত মোতাবেক আগামী ২১ জুনের রাজশাহী সিটি নির্বাচন বর্জনের ঘোষণা দিয়ে হাতপাখা প্রতীকের প্রার্থী বলেন, ‘এই নির্বাচনে আমাদের যাওয়ার ইচ্ছা ছিল না। নির্বাচন কমিশন আশ^াস দিয়ে বলেছিল, “পরীক্ষামূলক আমাদের দেখেন। আমরা সুষ্ঠু নির্বাচন দিতে পারি কি না।” সেই পরীক্ষা করার জন্যই আমরা নির্বাচনে গিয়েছিলাম। এখন আমরা যা দেখেছি, সুষ্ঠু নির্বাচন তারা দিতে পারেনি। তাই আমরা নির্বাচন বর্জন করলাম। নির্বাচন বর্জন মানে বর্জন। আমরা ভোটও দিতে যাব না।’

তিনি বলেন, ‘মাঠ আমাদের ভাল ছিল। মাঠ ছিল উর্বর। গায়ের ঘাম ঝরিয়ে আমি প্রচারণা করেছি। জয়ের ব্যাপারে হান্ড্রেড পার্সেন্ট আশাবাদী ছিলাম। কিন্তু বরিশালে যে রকম ঘটনা ঘটেছে, এ রকম ঘটনা রাজশাহীতে ঘটবে না এর নিশ্চয়তা কি? এ জন্য বরিশাল থেকে সিদ্ধান্ত নিয়েছে আমাদের কেন্দ্র। কেন্দ্রের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী রাজশাহী সিটি নির্বাচনও বয়কট।’

মুরশিদ আলম বলেন, ‘বরিশালের মেয়রপ্রার্থী ছিরেন আমাদের নায়েবে আমির। সেকেন্ড আমির যিনি, তার ওপরে হামলা করেছে। এরপরে আমরা কোন লজ্জায় নির্বাচনে যেতে পারি? আমরা বর্জন করতাম না। কিন্তু আমাদের সেকেন্ড আমির যিনি, তার ওপর হামলা করা হয়েছে। কর্মীর ওপর হামলা হলে অন্য ব্যবস্থা নিতাম। সেকেন্ড আমির যখন মেয়রপ্রার্থী হয়ে নিরাপত্তা পান না, আমরা কীভাবে নিরাপত্তা পাবো? কি সুষ্ঠু নির্বাচন দেবে কমিশন?’

এর আগে সোমবার দুপুরে বরিশাল সিটি নির্বাচনের ভোটগ্রহণ চলাকালে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মেয়রপ্রার্থী মুফতি সৈয়দ মোহাম্মদ ফয়জুল করীমের ওপর হামলার ঘটনা ঘটে। এর প্রতিবাদে বিকালে রাজশাহীতে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের জেলা শাখা। ওই সমাবেশে মেয়রপ্রার্থী মুরশিদ আলম আগামী ২১ জুন রাজশাহী সিটি করপোরেশন নির্বাচনে সমস্ত নেতাকর্মীদেরকে কেন্দ্রে পাহারা দেওয়ার জন্য অনুরোধ করেন। তাঁর এই বক্তব্যের পরই নির্বাচনস থেকে সরে দাঁড়ানোর সিদ্ধান্ত নেয় দলটি।

সর্বাধিক পঠিত