রবিবার, মে ১৯, ২০২৪

নিবন্ধিত অনলাইন নিউজ পোর্টাল

আর ও খবর

ক্যাম্পাসেই সুবর্ণার গায়েহলুদ

স্টাফ রিপোর্টার: রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে চলছে গ্রীষ্মকালীন ছুটি। ক্যাম্পাসে নেই চিরচেনা কোলাহল। পুরো ক্যাম্পাসে যখন সুনসান নীরবতা; বিশ্ববিদ্যালয়ের রোকেয়া হলের সামনে তখন সাজ সাজ রব। একদল তরুণ-তরুণী সেজেছে হলুদ শাড়ি-পাঞ্জাবিতে। হলের সামনের বটতলাটিকে নানা রঙের বেলুন আর রঙিন কাগজ দিয়ে সাজানো হয়েছে মঞ্চের আদলে। নিচে রঙিন পাটি, তার ওপর নানা রকম মিষ্টি আর ফল-ফলাদি। আর পেছনে বটগাছটিতে বড় অক্ষরে লেখা ‘সুবর্ণার হলুদ ছোঁয়া’।

বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী সুবর্ণা সরকারের বিয়ে উপলক্ষে এভাবেই সাজানো হয়েছে গায়েহলুদের আসর। গত বুধবার বিকেলে নিজ ক্যাম্পাসেই ব্যতিক্রমী এই গায়েহলুদের আয়োজন করে সুবর্ণার বন্ধু-বান্ধবীরা। গ্রামবাংলার সেই চিরায়ত হলুদ বাটা, মেহেদি বাটা, মিষ্টান্ন ও ফলমূল সবকিছুই ছিল সেখানে। সব মিলিয়ে বাঙালি সংস্কৃতির গায়েহলুদের একটা গ্রামীণ আমেজ।

সুবর্ণার গ্রামের বাড়ি বাগেরহাটের মোল্লাহাট উপজেলায়। গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়া উপজেলার অনিক বাইনের সঙ্গে তাঁর বিয়ে অনুষ্ঠিত হবে ৫ জুলাই। ক্যাম্পাস থেকে সুবর্ণার বাড়ি অনেক দূরে হওয়ায় চাইলেও হয়তো অনেক বন্ধু-বান্ধবী তাঁর বিয়েতে অংশ নিতে পারবেন না। কিন্তু এ অনুষ্ঠানের লোভ সংবরণ করতে পারেনি তাঁর বন্ধুরা। তাই ক্যাম্পাসেই বর্ণিল এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করেন তাঁরা। তবে অনুষ্ঠানের ঘরোয়া সেই পরিবেশ না থাকলেও এতে চিরাচরিত নিয়মেই কনের গায়েহলুদ লাগিয়ে সব আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন করা হয়।

নিজ ক্যাম্পাসে ভিন্নধর্মী এই আয়োজনের অনুভূতি জানতে চাইলে সুবর্ণা সরকার বলেন, ‘বন্ধুদের সঙ্গে নিজের গায়েহলুদের কথা ভাবলেই মনের ভেতরে যেন আনন্দের সূর্য উদিত হয়। কোনো ধরনের পরিকল্পনা ছাড়াই আমার বন্ধুদের এত সুন্দর আয়োজন দেখে সত্যিই মুগ্ধ হয়েছি। কাছের মানুষগুলোর সঙ্গে গায়েহলুদের আয়োজন, এটা সত্যিই আমার জন্য অনেক বড় পাওয়া।

‘বন্ধুদের এমন ব্যতিক্রমী আয়োজন সত্যি আমাকে মুগ্ধ করেছে। আমি অনেক বেশি আনন্দিত ও উচ্ছ্বসিত। এক মুহূর্তের জন্যও মনে হয়নি পরিবার থেকে দূরে আছি। এত সুন্দর আয়োজনের জন্য বন্ধুদের অন্তরের অন্তস্তল থেকে অনেক অনেক ভালোবাসা।’ যুক্ত করেন সুবর্ণা সরকার।

ব্যতিক্রমী এ অনুষ্ঠানের আয়োজক সুবর্ণার বন্ধু বাপ্পী সরকার বলেন, ‘এ রকম আয়োজন করার কোনো অভিজ্ঞতা আমাদের ছিল না। তবে বান্ধবীর বিয়ে বলে কথা। নিজের প্রিয় এই ক্যাম্পাসে বন্ধুদের নিয়ে বান্ধবীর গায়েহলুদের মতো একটা আয়োজন করা সত্যিই অনেক আনন্দের। এই ব্যতিক্রমী অনুষ্ঠানে বন্ধু-বান্ধবীরা সবাই মিলে নেচে-গেয়ে অনেক আনন্দ করেছি।’

সুবর্ণার বন্ধু বাপ্পী সরকার আরও বলেন, ‘স্মৃতিবিজড়িত এই বিশ্ববিদ্যালয় প্রাঙ্গণে এই অনুষ্ঠান আমাদের মধ্যে সৌহার্দ্য ও ভালোবাসার বন্ধন আরও দৃঢ় করবে। নবদম্পতির জন্য অনেক অনেক শুভেচ্ছা, শুভকামনা।’

সর্বাধিক পঠিত