সোমবার, মে ২০, ২০২৪

নিবন্ধিত অনলাইন নিউজ পোর্টাল

আর ও খবর

কুষ্টিয়ায় লালনের আখড়ায় সাধুর হাট বসছে আজ

কুষ্টিয়া প্রতিনিধি : আজ মঙ্গলবার বাউল সম্রাট ফকির লালন শাহের ১৩৩ তম তিরোধান দিবস উপলক্ষে কুষ্টিয়া ছেঁউড়িয়ার লালন আখড়া বাড়িতে আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হতে যাচ্ছে ৩ দিনব্যাপী অনুষ্ঠান ও গ্রামীণ মেলা।

সোমবার বেলা ১২টায় লালন একাডেমি প্রাঙ্গণে আয়োজনের সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে সংবাদ সম্মেলন করেছেন জেলা প্রশাসক ও লালন একাডেমির সভাপতি এহেতেশাম রেজা।

তিনি বলেন, ‘সকল প্রস্তুতি ইতিমধ্যেই শেষ করেছে লালন একাডেমি। এ ছাড়া এই উৎসবকে নির্বিঘ্নে উদ্‌যাপন করতে কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে স্থানীয় প্রশাসন।’

জেলা প্রশাসক জানান, সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সহযোগিতায় ও লালন একাডেমির আয়োজনে আগামীকাল ১৭ অক্টোবর সন্ধ্যা ৬টা থেকে ১৯ অক্টোবর পর্যন্ত চলবে তিন দিনব্যাপী আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত হবেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও কুষ্টিয়া সদর আসনের এমপি মাহবুবউল আলম হানিফ। আয়োজনকে ঘিরে নেওয়া হয়েছে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা।

সরেজমিনে দেখা গেছে, এ আয়োজনকে ঘিরে ছেঁউড়িয়ায় মরা কালিগঙ্গা নদী তীরের লালন আখড়া বাড়িতে এখন সাজ-সাজ রব। আলোচনা সভা ও সংগীতের জন্য নির্মাণ করা হয়েছে বিশাল মঞ্চ। ৩ দিনের এ উৎসবে যোগ দিতে দেশের নানা প্রান্ত থেকে বাউল তীর্থভূমি ছেঁউড়িয়ার আখড়া বাড়িতে ছুটে এসেছেন সাধু-গুরু, বাউল, ভক্তরা।

বিগত বছরের তুলনায় এবার আগে থেকেই সাধু-গুরুদের ভিড় বেড়েছে। লালন একাডেমির নির্ধারিত স্থানে তারা ছোট দলে ভাগ হয়ে দরদ ভরা গলায় গেয়ে চলেছেন লালনের গান। আবার কেউ বা মেতে উঠেছেন গুরুবাদি বাউল ধর্মের নিগূঢ় তত্ত্ব কথার আলোচনায়। এসেছেন দেশ বিদেশের নানা বয়সী দর্শনার্থীরাও।

তিরোধান দিবস উদ্‌যাপন করতে আখড়াবাড়িতে রং করা, ধোয়া-মোছা এবং ভরাটকৃত কালী নদীর বিস্তীর্ণ জায়গা জুড়ে তৈরি করা হয়েছে মঞ্চ। দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকে আসা দোকানিরা মেলার পসরা সাজিয়ে বসেছেন।

বাউল ভক্তরা জানান, হৃদয়ের টানে প্রতি বছর এখানে ছুটে আসেন তাঁরা। লালনের অহিংসার বাণী বিশ্বময় ছড়িয়ে দিতে পারলেই কেবল সব আয়োজন সার্থক হবে বলে মনে করেন তারা।

মরমি সাধক ফকির লালন সাঁইজি ১৮৯০ সালের ১৭ অক্টোবর কুষ্টিয়ার ছেঁউড়িয়ায় অবস্থিত লালন আখড়া বাড়িতে দেহ সংবরণ করেন। এ দিনটিকে তিরোধান দিবস বলা হয়। ভক্ত-শিষ্যরা দিনটি পালন করে আসছে বছরের পর বছর ধরে।

সর্বাধিক পঠিত