বুধবার, মে ১৫, ২০২৪

নিবন্ধিত অনলাইন নিউজ পোর্টাল

আর ও খবর

মেট্রোরেলে নতুন ঘোষণা, পকেটমার হতে সাবধান

অনলাইন ডেস্ক : মেট্রোরেলে নতুন ঘোষণা এলো। যাত্রীদের নিজ দায়িত্বে মোবাইল ফোন ও মানিব্যাগ সাবধান রাখতে বলা হয়েছে।

‘পকেট সাবধান’- এ কথাটা প্রায় সব গণপরিবহনেই লেখা থাকে। মেট্রোরেলে সতর্কীকরণ এই বার্তাটি লেখা না নেই। তবে মাঝে মধ্যেই মাইকে ঘোষণা করা হয়- ‘পকেট মার হতে সাবধান’।

এ ব্যাপারে জানতে ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেডের (ডিএমটিসিএল) উপ-প্রকল্প পরিচালক তরফদার মাহমুদুর রহমানের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়। টেলিফোন রিসিভ না করায় ‘পকেটমার হতে সাবধান’ বিষয়টি নিয়ে জানা যায়নি।

নিয়মিত মেট্রোরেলে যাতায়াত করেন বেসরকারি চাকরিজীবী আজিজুর রহমান। তিনি বলেন, আগে বাসে যাতায়াত করতাম। এখন সর্বাধুনিক যাত্রীসেবা মেট্রোরেলে যাতায়াত করি। বাসে যে আতঙ্কে (পকেটমার) থাকতাম, মেট্রোরেলেও একই আতঙ্কে থাকতে হয়েছে।

বেসরকারি চাকরিজীবী রহিম শেখ নিয়মিত মিরপুর থেকে মতিঝিল-সচিবালয় এলাকায় মেট্রোরেলে যাতায়াত করেন। তিনি জানিয়েছেন, পকেটমার সম্পর্কে জানা নেই। তবে পিক আওয়ারে প্রচুর ভিড় হয়। ওই সময় ঘটনা ঘটতে পারে। তবে যাতায়াতের সময় সবারই সাধধান থাকা প্রয়োজন।

নতুন অভিজ্ঞতা শিরোনামে ফেসবুকে মেট্রোরেলের একটি কমিউনিটি গ্রুপে বেলায়েত হোসেন নামে একজন লিখেছেন, মেট্রোরেল চলাচলের সময় দিকনির্দেশনার জন্য কিছুক্ষণ পরপর নারী কণ্ঠের ভয়েস শোনা যায়। বাংলা ও ইংরেজিতে কিমিয়া অরিন নামে একজন কণ্ঠ প্রায় প্রতিদিনই শোনার ওনার অভিজ্ঞতা হয়।

তারপর তিনি লেখেন, কিন্তু আজ মেট্রোরেল ফার্মগেটে আসার পর নতুন একটি নির্দেশনা শুনতে পেলাম। মাইকে ভেসে এলো নতুন নির্দেশনা। এটি শুনে আমি যেমন আপ্লুত হয়েছি কর্তৃপক্ষের পেশাদারিত্বে মুগ্ধ হয়েছি। কিছুটা দুরুদুরু কণ্ঠে ঘোষণা এলো ‘পকেট মার হতে সাবধান -Beware of pick Pocketing.’

এখানে অনেকেই কমেন্ট করে তাদের মতামত দিচ্ছেন। আব্দুল্লাহ আল মারুফ লিখেছেন, রাইট! এইটা আমিও শুনেছি। ফার্মগেটেই এইটা দেয় মাঝে মাঝে। সবাই খুব হাসাহাসি করে।

মাহিনুর লাইজু লিখেছেন, আমার পরিচিত একজনের চুরি হয়েছে। বেচারার সকল টাকাসহ কার্ড চুরি হওয়ায় এখন বিপদে আছে।

দেব জয় লিখেছেন, ইতালিতে শুনেছি। ভারতের রাজস্থানে শুনেছি।

প্রতিনিয়ত ঘটে যাওয়া এসব ঘটনায় পকেটমারদের ধরা পড়া ও শাস্তির উদাহরণ খুবই কম। মূলত এ কারণেই পকেটমারদের দৌরাত্ম্য বাড়ছে।

এ ব্যাপারে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর আরও কঠোর ও দায়িত্বশীল ভূমিকা কাম্য। গণপরিবহনে চলাচলের সময় যাত্রীদেরও সজাগ ও সচেতন থাকতে হবে।

ডিপো থেকে কমলাপুর পর্যন্ত মেট্রোরেলের ২১ দশমিক ২৬ কিলোমিটার রেলপথে মোট স্টেশন থাকছে ১৭টি। স্টেশনগুলো হচ্ছে- উত্তরা উত্তর, উত্তরা সেন্টার, উত্তরা দক্ষিণ, পল্লবী, মিরপুর ১১, মিরপুর ১০, কাজীপাড়া, শেওড়াপাড়া, আগারগাঁও, বিজয় সরণি, ফার্মগেট, কারওয়ান বাজার, শাহবাগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, বাংলাদেশ সচিবালয়, মতিঝিল ও কমলাপুর।

 

সর্বাধিক পঠিত