বৃহস্পতিবার, মে ৯, ২০২৪

নিবন্ধিত অনলাইন নিউজ পোর্টাল

আর ও খবর

যুবলীগ নেতাকে পিটিয়ে জখম, নাক ফাঁটল কাউন্সিলরের

অনলাইন ডেস্ক : ময়মনসিংহ নগরীতে আধিপত্য নিয়ে বিরোধে দু’গ্রুপের বিবাদে নব নির্বাচিত ওয়ার্ড কাউন্সিলরের নাক ফাটিয়ে দেওয়া হয়েছে। পিটিয়ে জখম করা হয়েছে স্থানীয় যুবলীগ নেতাকে। শুক্রবার (১৫ মার্চ) রাতে এ ঘটনা ঘটে। শনিবার সন্ধ্যায় এ ঘটনায় থানায় একটি অভিযোগ দেওয়া হয়েছে। এ ঘটনায় এলাকায় উত্তেজনা চলায় পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র জানায়, নগরীর ২৭ নম্বর ওয়ার্ডে টানা দ্বিতীয়বারের মতো কাউন্সিলর নির্বাচিত হয়েছেন শামছুল হক লিটন। লিটনের ভাতিজা কোতোয়ালি থানা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক আজহারুল ইসলাম স্বপন গত সংসদ নির্বাচনের পর থেকে এলাকায় নিজের প্রভাব বাড়াতে চেষ্টা শুরু করেন। স্বপনের সঙ্গে আকুয়া ইউনিয়ন যুবলীগের সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক শরীফ হাসানের আগে থেকে বিরোধ ছিল। সংসদ নির্বাচনের পর বিভিন্ন সময় শরীফকে ইঙ্গিত করে উসকানিমূলক কথাবার্তা বলতে থাকেন স্বপন। গত শুক্রবার রাতে আকুয়া মোড়লপাড়া এলাকায় যুবলীগ নেতা শরীফের সঙ্গে বাকবিতণ্ডা ও সংঘর্ষে জড়ায় স্বপন ও তার সহযোগী আনোয়ার হোসেন আনু। এতে শরীফকে আহত অবস্থায় ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

পরে খবর পেয়ে মহানগর যুবলীগের আহ্বায়ক শাহীনুর রহমান এলাকায় গিয়ে স্থানীয় কাউন্সিলর শামছুল হক লিটনকে নিয়ে এলাকার পরিবেশ শান্ত করেন। আহত শরীফকে দেখতে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে যান যুবলীগ নেতা শাহীনুর ও কাউন্সিলর লিটন। ওই সময় শরীফের ভাই ইয়াসিন কাউন্সিলরকে ঘুসি দিয়ে নাক ফাটিয়ে দেন। পরে তাকেও হাসপাতালের ১৬ নম্বর ওয়ার্ডে ভর্তি করা হয়। এই খবর এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে দুই গ্রুপ মুখোমুখি অবস্থান নেয়। খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে।

মহানগর যুবলীগের আহ্বায়ক মো. শাহীনুর রহমান বলেন, গত জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পর থেকেই এলাকায় উসকানিমূলক কথা বলছিল স্বপন ও আনু। শরীফকে অহেতুক রড দিয়ে পিটিয়ে আহত করা হয়। কাউন্সিলরকে নিয়ে বিষয়টি মিটমাটের পর্যায়েও নেওয়া হয়েছিল। কিন্তু হাসপাতালে শরীফকে দেখতে গেলে অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনাটি ঘটে। এ ঘটনায় আমরা মর্মাহত। এ ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত সাপেক্ষে উপযুক্ত বিচার দাবি করছি।

এদিকে শরীফকে পিটিয়ে আহত করার ঘটনায় তার ভাই ফরিদ আহমেদ বাদি হয়ে শনিবার সন্ধ্যায় থানায় একটি অভিযোগ দিয়েছেন। এতে স্বপনসহ দু’জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত পরিচয় আরও ৩০ জনকে আসামি করা হয়েছে। ফরিদ আহমেদ বলেন, আমার ভাই শহরের প্রতিষ্ঠিত রড সিমেন্ট ব্যবসায়ী। স্বপন চাঁদা চেয়ে না পাওয়ায় মিথ্যা অভিযোগ তুলে আমার ভাইকে মারধর করা হয়েছে। আমরা এ ঘটনার উপযুক্ত বিচার চাই।

ময়মনসিংহ কোতোয়ালি মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আনোয়ার হোসেন বলেন, এলাকার পরিস্থিতি শান্ত রাখতে পুলিশ মোতায়েন রাখা হয়েছে। অভিযোগ খতিয়ে দেখে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

সর্বাধিক পঠিত