শুক্রবার, মে ১৭, ২০২৪

নিবন্ধিত অনলাইন নিউজ পোর্টাল

আর ও খবর

সল্টের ‘কালবৈশাখী ঝড়ে’ নববর্ষ বরণ কলকাতার

অনলাইন ডেস্ক : বাংলাদেশের মতো কলকাতাতেও বাংলা নববর্ষ তথা পহেলা বৈশাখ উদযাপন করছে বাঙালিরা। সেই উদযাপনে এবার নতুন মাত্রা যোগ করল কলকাতা নাইট রাইডার্স। ঘরের মাঠ ইডেন গার্ডেন্সে লখনৌ সুপার জায়ান্টসের বিপক্ষে বড় জয় তুলে নিয়েছে কেকেআর।

প্রথমে ব্যাট করতে নেমে স্টার্ক-নারিনদের দারুণ বোলিংয়ে ৭ উইকেটে ১৬১ রানের বেশি পুঁজি গড়তে পারেনি লখনৌ। জবাবে ব্যাট করতে নেমে ঝড় তুললেন কলকাতার ব্যাটার ফিলিপ সল্ট। তার ৪৭ বলে ৮৯ রানের অপরাজিত ইনিংসে ভর করে ৮ উইকেটের বড় জয় পেয়েছে স্বাগতিকরা। ইডেনের মাঠে ইতিহাস বদল কলকাতার। আইপিএলের ইতিহাসে এবারই প্রথম লখনৌকে হারাতে পারল তারা।

ইডেনের পিচ ব্যাটিং বান্ধব। সেই পিচে টস জিতে প্রথমে বল করার সিদ্ধান্ত নেন কলকাতার অধিনায়ক শ্রেয়াস আয়ার। লখনৌয়ের অধিনায়ক লোকেশ রাহুলও জানিয়েছিলেন যে, টস জিতলে তিনিও ফিল্ডিংয়ে নামতেন আগে। সেই সিদ্ধান্ত যে কতটা ঠিক তা বোঝা গেল লখনৌয়ের পাওয়ার প্লে-তেই। প্রথম থেকেই তীব্র বোলিং আক্রমণে চাপে পড়ে যায় রাহুলরা। দ্রুত সাজঘরে ফেরেন ডি কক (১০) আর দীপক হুডারা (৮)।

আগের ম্যাচে লখনৌয়ের নায়ক আয়ুষ বাদোনিও (২৯) বেশি রান করতে পারলেন না। কিছুটা লড়াই করার চেষ্টা করেছিলেন অধিনায়ক রাহুল। অবশ্য ২৭ বলে ৩৯ রান করার পর ইনিংস বড় করতে পারলেন না তিনিও। শেষ দিকে নিকোলাস পুরান ৩২ বলে ৪৫ রানের ক্যামিও ইনিংস না খেললে ১৫০ রানের গণ্ডিও পেরোনো হতো না।

নববর্ষের দিনে যেন ‘কল্পতরু’ হয়ে উঠলেন মিচেল স্টার্ক। ৪ ওভার বল করে ২৮ রান খরচায় তুলে নিলেন ৩ উইকেট। ২৫ কোটির ক্রিকেটারের ফর্ম নিয়ে নানা মন্তব্য ধেয়ে এসেছে। এমনকী তাকে বাদ দেওয়ার দাবিও উঠেছিল। শেষ পর্যন্ত তার প্রতি আস্থা রাখার প্রতিদান দিলেন অজি এই তারকা পেসার।

সঠিক দিনে, সঠিক সময়ে জ্বলে উঠলেন স্টার্ক। ভয়ঙ্কর হয়ে ওঠা পুরানকে ফেরালেন। দুর্ধর্ষ ডেলিভারিতে বোল্ড করলেন আরশাদ খানকেও। স্টার্কের জ্বলে ওঠার দিনে দারুণ বোলিং করেছেন সুনীল নারিনও। ৪ ওভারে মাত্র ১৭ রান দেন তিনি। উইকেট শিকার করেছেন একটি।

রান তাড়ায় কেকেআরের ইনিংসে প্রথম ওভারেই উঠল ২২ রান। মাস দুয়েক আগেই গাব্বায় অস্ট্রেলিয়ার অহংকার ভেঙে দিয়েছিলেন শামার জোসেফ। হাতে দুরন্ত গতি আছে, সুইং আছে। কিন্তু একের পর এক নো আর ওয়াইড বলে আইপিএল অভিষেকেই বড্ড খরুচে ছিলেন তিনি।

অবশ্য দলের ফিল্ডাররাও সঙ্গ দিলো না তাকে। তার বলেই দুবার ক্যাচ পড়ল ফিল্ট সল্টের। কাটা ঘায়ের নুনের ছিটে দিয়ে ৪৭ বলে ৮৯ রান করে অপরাজিত থেকে গেছেন তিনি। ১৪ টি চার ও ৩টি ছয়ে সাজানো ছিল তার ইনিংস।

আরেক প্রান্তে সুনিল নারাইন আর রঘুবংশিরা বড় ইনিংস খেলতে না পারলেও তাতে খুব একটা সমস্যা হয়নি সল্টের দারুণ ব্যাটিংয়ে। তাকে ভালো সঙ্গ দিয়েছেন অধিনায়ক শ্রেয়াস আইয়ার। ৩৮ বলে ৩৮ রানে অপরাজিত ছিলেন তিনি।

সর্বাধিক পঠিত