মঙ্গলবার, মে ২১, ২০২৪

নিবন্ধিত অনলাইন নিউজ পোর্টাল

আর ও খবর

বাড়লো তেল-গ্যাসের দাম

অনলাইন ডেস্ক : বিশ্ববাজারের সঙ্গে সমন্বয় করে দেশে আবারও বাড়লো জ্বালানি তেল ও গ্যাসের দাম। তবে গ্যাসের নতুন দাম শুধুমাত্র বিদ্যুৎ উৎপাদন এবং ক্যাপটিভ খাতে ব্যবহৃত দামের বেলায় কার্যকর হবে।

মঙ্গলবার রাতে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি বিভাগের আলাদা আলাদা প্রজ্ঞাপনে এসব তথ্য জানানো হয়। প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, বিদ্যুৎ শ্রেণিতে ও ক্যাপটিভ বিদ্যুৎ শ্রেণিতে ব্যবহৃত গ্যাসের মূল্য যথাক্রমে ১৪.৭৫ টাকা ঘনমিটার এবং ৩০.৭৫ টাকা ঘনমিটার থেকে প্রতি ঘনমিটারে ০.৭৫ টাকা বৃদ্ধি করে। বিদ্যুৎ শ্রেণিতে গ্যাসের মূল্য ১৫.৫০ টাকা ঘনমিটার এবং ক্যাপটিভ বিদ্যুৎ শ্রেণিতে গ্যাসের মূল্য ৩১.৫০ টাকা ঘনমিটারে নির্ধারণ করা হয়েছে।

এছাড়া সরকার গত মার্চ থেকে বিশ্ববাজারের সাথে সামঞ্জস্য রেখে করে স্বয়ংক্রিয় ফর্মুলার আলোকে প্রতিমাসে জ্বালানি তেলের মূল্য সমন্বয় করছে। তারই ধারাবাহিকতার প্রাইসিং ফর্মুলার আলোকে ভোক্তা পর্যায়ে ডিজেল ও কেরোসিনের বিদ্যমান মূল্য ১০৬ টাকা লিটার থেকে ১ টাকা বৃদ্ধি করে ১০৭ টাকা লিটার, পেট্রোলের বিদ্যমান মূল্য ১২২ টাকা লিটার থেকে ২.৫০ টাকা বৃদ্ধি করে বর্তমান মূল্য ১২৪.৫০ টাকা লিটার এবং অকটেনের বিদ্যমান মূল্য ১২৬.০০ টাকা লিটার থেকে ২.৫০ টাকা বৃদ্ধি করে বর্তমান মূল্য ১২৮.৫০ টাকা লিটারে নির্ধারণ করা হয়েছে। পুন:নির্ধারিত এ মূল্য কাল বুধবার থেকেই কার্যকর হবে।

দাম বাড়ানোর বিষয়ে এক সংবাদ বিজ্ঞাপ্তিতে বিদ্যুৎ বিভাগ জানায়, দেশে গ্যাসের ব্যবহারকারিদের ৮টি গ্রাহক শ্রেণি রয়েছে। তার মধ্যে বিদ্যুৎ উৎপাদনে ৩৭%, শিল্পে ২৩%, ক্যাপটিভ বিদ্যুতে ১৮%, গৃহস্থালিতে ১০%, সার উৎপাদনে ৭%, সিএনজিতে ৪% এবং বাণিজ্যিক ও চা শিল্পে ১% গ্যাস ব্যবহৃত হয়। প্রাকৃতিক গ্যাসের উৎপাদন, আমদানি, সরবরাহ মূল্যের সাথে বিক্রয়মূল্যের পার্থক্যের কারণে সরকারকে এ খাতে ২০২৩-২৪ অর্থবছরে আর্থিক ক্ষতি বা ভর্তুকি দিতে হবে প্রায় ৬,৫৭০.৫৪ কোটি টাকা। কৃষি সেচ মৌসুম, রমজান মাস ও গ্রীষ্মকালে বিদ্যুৎ উৎপাদনে গ্যাসের চাহিদা আরো বেশি থাকে। তাই এ সিদ্ধান্ত। তবে শিল্প, গৃহস্থালি, সার উৎপাদন, সিএনজি, বাণিজ্যিক ও চা শিল্পে মূল্য সমন্বয় অপরিবর্তিত রয়েছে।

আর জ্বালানি বিভাগ ভারতের সঙ্গে দামের তুলনা করে জানায়, ভারতের কলকাতায় বর্তমানে ডিজেল ৯০.৭৬ রুপী/ লিটার বা বাংলাদেশী মুদ্রায় ১৩০.৬৯ টাকা এবং পেট্রোল ১০৩.৯৪ রুপী/লিটার বা বাংলাদেশী মুদ্রায় ১৪৯.৬৭ টাকায় বিক্রয় করা হচ্ছে। (১ ভারতীয় রুপী= গড় ১.৪৪ টাকা)। এ তুলনায় বাংলাদেশের দাম কম।

সর্বাধিক পঠিত

Social Media Auto Publish Powered By : XYZScripts.com