শনিবার, মে ১৮, ২০২৪

নিবন্ধিত অনলাইন নিউজ পোর্টাল

আর ও খবর

নগরীতে ডাকটিকিটের প্রদর্শনী

স্টাফ রিপোর্টার : ডাকটিকিট! কোনটি কাগজের, কোনটি কাঠ, প্লাস্টিক বা স্বর্ণের। আবার কোনটি টিন ও কাপড় দিয়ে তৈরি করা হয়েছে। চোখে না দেখলে ভাবাই যায় না যে কাঠ, প্লাস্টিক বা স্বর্ণ দিয়ে তৈরি ডাকটিকিটের একসময় প্রচলন ছিল।

দেশি-বিদেশিসহ এক হাজারের বেশি ডাকটিকিট নিয়ে হচ্ছে ‘বরেন্দ্রপেক্স ২০২৪’ শীর্ষক ডাকটিকিট প্রদর্শনী। রোববার রাজশাহী নগরীর নানকিং দরবার হলে বরেন্দ্র ফিলাটেলিক সোসাইটির উদ্যোগে শুরু হওয়া এই প্রদর্শনী চলবে সোমবার (৬ মে) পর্যন্ত।

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, এই প্রদর্শনীতে রয়েছে বাংলাদেশের প্রথম চিঠি লেখার খাম ও ডাকটিকিট। এ ছাড়া বর্তমান সময়ের খামও রয়েছে। রয়েছে ব্রিটিশ আমলের ডাকটিকিট, অ্যারোগ্রাম। ২৫ জন সংগ্রাহকের ডাকটিকিট নিয়ে এই প্রদর্শনীর আয়োজন করা হয়েছে। এই প্রদর্শনীতের বঙ্গবন্ধু, ক্রিকেট, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ অন্যান্য নারী, বিভিন্ন দেশের পতাকা, পাখি, পোস্ট কার্ড রয়েছে। প্রদর্শনীতে ভারত, অস্ট্রেলিয়া, চীন, সৌদি আরব, ওমান, কাতার, সংযুক্ত আরব আমিরাত, যুক্তরাষ্ট্র, ফিজি, মালয়েশিয়া, সিঙ্গাপুর ও নেপালসহ বিভিন্ন দেশের ডাকটিকিট রয়েছে।

আয়োজকদের দাবি- স্মারক ডাকটিকিট একটি দেশ, জাতি ও সভ্যতা সম্পর্কে যে তথ্য দেয় তা অন্যভাবে পাওয়া যায় না। স্মারক ডাকটিকিটের মাধ্যমে নতুন প্রজন্ম অতীতের জীবনধারা, সংস্কৃতি এবং ইতিহাসকে আত্মস্থ করার সুযোগ পায়। ডাকটিকিট সংগ্রহ একটা বড় শখ ও নেশা।

ডাকটিকিটের প্রদর্শনীতে আসা প্রভাষক শারমিন সুলতানা বলেন, একেকটি ডাকটিকিট একেকটি ইতিহাসের সাক্ষী। কালের আবহে ডাকটিকিট, ডাকঘর, ডাকপিয়নসহ সংশ্লিষ্ট মাধ্যমগুলোর আবেদন কমলেও উন্নত রাষ্ট্রগুলোর দিকে তাকালে দেখা যাবে সেসব দেশের এ মাধ্যম প্রযুক্তির ব্যবহারে আরও আধুনিক হয়েছে। তবে ভাবাই যায় না যে একসময় কাঠ, প্লাস্টিক বা স্বর্ণ দিয়ে তৈরি ডাকটিকিটের প্রচলন ছিল।

সফিকুল নামের আরেকজন বলেন, এখানে না এলে একসঙ্গে ডাকটিকিটের বিশাল প্রদর্শনী দেখতে পেতাম না। এখানে এসে দেশের প্রথম চিঠি লেখার খাম দেখতে পেলাম। পাশে রয়েছে বর্তমান সময়ের খাম। শুধু তাই নয়, ক্রিকেট নিয়ে ডাকটিকিট দেখলাম। এ ছাড়া কাগজ, কাঠ, প্লাস্টিক, স্বর্ণ, টিন ও কাপড়ে তৈরি ডাকটিকিট প্রদর্শনীতে রয়েছে।

তিনি আরও বলেন, আমার ধারণা ছিল শুধু কাগজের ডাকটিকিট হয়। কখনই ভাবতে পারিনি যে কাঠ, প্লাস্টিক, স্বর্ণ, টিন বা কাপড় দিয়ে তৈরি হয়েছে এসব মূল্যবান ডাকটিকিট। এখানে এসে পুরোনো দিনের দেশলাই দেখলাম। বিভিন্ন আন্দোলনের সময়ের ডাকটিকিটও রয়েছে।

সংগ্রাহক মোরর্শেদ হাসান জানান, এটা এক ধরনের নেশা বা ভালোলাগা। আসলে ভালোলাগা থেকে এসব ডাকটিকিট সংগ্রহ করে থাকেন। তার সংগ্রহে দেশি-বিদেশি চিঠির খাম ও ডাকটিকিট রয়েছে। যখন কোনো দেশ নতুন ডাকটিকিট বের করে তখন তারা সেই ডাকটিকিট সংগ্রহ করে থাকেন।

এ বিষয়ে বরেন্দ্র ফিলাটেলিক সোসাইটির সাংগঠনিক সম্পাদক সুমন্ত কুমার জানান, এই প্রদর্শনীতে এলে মানুষ জানতে পারবে ডাকটিকিটের বিষয়ে। এখানে বিভিন্ন দেশের ডাকটিকিট রয়েছে। এই দেশের বিভিন্ন স্থানের ২৫ জন সংগ্রাহকের ডাকটিকিট স্থান পেয়েছে। প্রদর্শনীতে শুধু ডাকটিকিট নয় রয়েছে চিঠি লেখার খাম। এই প্রদর্শনী ০৬ মে সোমবার পর্যন্ত চলবে।

সর্বাধিক পঠিত