স্টাফ রিপোর্টার : রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালের ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টার (ওসিসি) থেকে ধর্ষণ মামলার এক বাদির হামলা চালিয়ে পালানোর চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে। বাদীর হামলায় সিনিয়র নার্স ও আয়া আহত হয়েছেন। তাকে পরীক্ষা-নিরিক্ষা করে তানোর থানায় সোপর্দ করেছেন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
ওসিসি থেকে জানা গেছে, বুধবার (৬ সেপ্টেম্বর) সকাল ১০টার দিকে এক নারী ওসিসি থেকে বের হয়ে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন। এ সময় কর্তব্যরত সিনিয়র স্টাফ নার্স মালবিকা উম্মে লতা তাকে আটকানোর চেষ্টা করলে ওই নারী টেবিলের ওপরে থাকা একটি গ্লাস ভেঙে কাচের টুকরো দিয়ে মালাবিকার ওপর হামলা চালান। পাশে আরেকজন আয়া ছিলেন। তিনি এগিয়ে এলে তার ওপরও হামলা করেন।
কর্তব্যরত আনসার সদস্যরা এসে ওই নারীকে আটক করেন। আহত নার্স ও আয়াকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়েছে। খবর দেয়া হলে তানোর থানা-পুলিশ এসে তাঁকে নিয়ে যান বলে ওসিসি থেকে জানা গেছে।
হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এফ এম শামীম আহাম্মদ বলেন, ওই নারী আক্রমণাত্মক আচরণ করেছেন। তার শারীরিক পরীক্ষা সম্পন্ন করা হয়েছে। তার প্রতিবেদন পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। ওই নারী বলেছেন, তার ওসিসিতে থাকতে ভালো লাগছিল না। এই জন্য তিনি পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেছে।
ওই নারীকে তানোর থানার একটি ধর্ষণ মামলায় ভুক্তভোগী হিসেবে মঙ্গলবার ওসিসিতে ভর্তি করা হয়। ইতোমধ্যে তাঁর শারীরিক পরীক্ষা করা হয়েছে। ওই নারী বিবাহিত। পুলিশ ওই ধর্ষণ মামলার আসামিকে গ্রেফতার করেছে। গত শনিবার দিবাগত রাত সাড়ে ১১টার দিকে আসামি ওই গৃহবধূর বাড়িতে ঢুকে ধর্ষণ করে বলে মামলায় উল্লেখ করা হয়েছে।
রোববার ওই গৃহবধূ নিজেই বাদী হয়ে তানোর থানায় মামলা দায়ের করেন। সোমবার বিকেলে মামলার আসামিকে গ্রেফতার করা হয়। পরের দিন গৃহবধূকে শারীরিক পরীক্ষার জন্য ওসিসিতে পাঠানো হয় বলে পুলিশ জানায়।
তানোর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুর রহিম বলেন, সোমবার দুপুরে ওই নারী তানোর থানায় ধর্ষণ মামলা দায়ের করেন। ওই দিন বিকেলে আসামিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ওসিসি থেকে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টার ব্যাপারে জানতে চাইলে ওসি বলেন, খোঁজ নিয়ে জেনে তারপরে বলতে পারব।