• ঢাকা, বাংলাদেশ
  • ৫ই মার্চ, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
  • নিবন্ধিত অনলাইন নিউজ পোর্টাল
  • somoyerkotha24news@gmail.com
  • +880-1727-202675

জয়পুরহাটে নেটিং পদ্ধতিতে মুরগী পালনে সাবলম্বী হচ্ছেন নারীরা

প্রকাশ: শনিবার, ৯ সেপ্টেম্বর, ২০২৩ ১১:০৪

জয়পুরহাটে নেটিং পদ্ধতিতে মুরগী পালনে সাবলম্বী হচ্ছেন নারীরা

জয়পুরহাট প্রতিনিধি : জয়পুরহাটে নেটিং পদ্ধতিতে মুরগী পালন দিনি দিন জনপ্রিয় হচ্ছে। এই পদ্ধতিতে দেশি মুরগি পালন করে স্বাবলম্বী হয়েছেন অন্তত জন ৭০ জন নারী। বিষয়টি লাভজনক হওয়ায় তাদের মত অনেকেই এখন নেটিং পদ্ধতি অনুসরণ করে দেশি মুরগি পালনে আগ্রহী হয়ে উঠছেন। বিগত দিনে বাড়ির আশ-পাশে খোলামেলা জায়গায় সাধারণ ভাবে মুরগী পালন করতেন গ্রামীন নারীরা। এতে করে বিভিন্ন জীবজন্তুর আক্রমণে মুরগি নষ্ট হতো ,মরে যেতো। ফলে আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হতেন তারা। বর্তমানে নিবিড় বা নেটিং পদ্ধতিতে রাসায়নিক মুক্ত দেশি মুরগী পালনে অর্থনৈতিক সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। তাই স্ববলম্বী হতে নেটিং পদ্ধতি বেছে নিয়েছেন জেলার বিভিন্ন গ্রামের পিছিয়ে পড়া অসচ্ছল নারীরা।

আরও পড়ুনঃ  কিস্তি না পেয়ে ছাগল নিয়ে গেল জনকল্যাণ মানব উন্নয়ন সংস্থা

সরেজমিন দেখা গেছে, জেলার সদর ও আক্কেলপুর উপজেলায় নেটিং পদ্ধতিতে দেশি মুরগি পালন করেন গ্রামীণ জনপদের পিছিয়ে পড়রা অন্তত ৭০ নারী।এসব কর্ম উদ্যেমী নারীরা স্থানীয় একটি বে-সরকারি সংস্থা থেকে প্রশিক্ষণ নিয়ে বাড়ির আঙ্গিনায় আধা নিবিড় বা নেটিং পদ্ধতিতে দেশি মুরগী পালন শুরু করেছেন। বর্তমানে পরিবারের চাহিদা পুরনের পাশা-পাশি বাজারে বিক্রি করে আয়ও করছেন তারা।

আবেদপুর গ্রামের কনিকা রাণী সময়ের কথা ২৪ ডটকমকে জানিয়েছেন,আগে শুধু নিজেরাই খাওয়ার জন্য মুরগি পালন করতাম। আর এখন একটি বে-সরকারি সংস্থা থেকে প্রশিক্ষণ নিয়ে নেটে মুরগি পালন করে নিজেরাও খেতে পারছি পাশা-পাশি বাজারে বিক্রি করে আয় করতে পারছি। এপদ্ধতিতে মুরগি পালনের পর আমার সংসারের অভাব অনেকটাই কেটে গেছে।

আরও পড়ুনঃ  রাজশাহীতে তেলের দোকানে আগুন: মালিক নিহত

আক্কেলপুর উপজেলার কাঁকড়া গ্রামের হাসনা হেনা জনিয়েছেন,আমরা আগে মুরগিকে খোলা-মেলা জায়গায় ছেড়ে দিয়ে বাড়ির আশে-পাশেই পালন করতাম। তখন মুরগিগুলোকে শিয়াল, বেজি, কাক সহ বিভিন্ন জীবজন্তুরা খেয়ে ফেলতো। আর এখন নেট পদ্ধতিতে মুরগি পালন করছি। এখন আমরাও খেতে পারছি,বাজারে বিক্রি করে ভালো টাকা আয় করতে পারছি। অনেকটায় স্বাবলম্বী হতে পেরেছি। শুধু আমি একাই নই,আমার আরও অনেকে আছে আমরা মোট ৭০ জন নারী এই প্রশিক্ষণ নিয়ে স্বাবলম্বী হওয়ার জন্য মুরগি পালন পেশায় হাত দিয়েছি।

স্থানীয়রা জানিয়েছেন, এখন প্রায় প্রতিটি বাড়িতেই নারীরা এই নেট পদ্ধতিতে মুরগি পালন করছেন। আগে বিভিন্ন জন্তুর কারণে মুরগি টিকিয়ে রাখা কঠিন ছিল। বর্তমানে এই পদ্ধতিতে মুরগি পালন করে তারা লাভবান হচ্ছেন।
এলাকার শিক্ষিত ও সচেতন ব্যক্তিরা মনে করেন, ব্যক্তি ও বে-সরকারি সংস্থার উদ্যোগের পাশা-পাশি,যদি সরকারিভাবে এসব গ্রামীণ জনপদের পিছিয়ে পড়া অসচ্ছল নারীরা(বিসিকের নিয়মিত সার্বিক সহায়তা পেলে এই সব গ্রামীন জনপদের পিছিয়ে পড়া নারীরাই এক সময় হয়ে উঠতে পারে গ্রামীন ও জাতীয় অর্থনীতির কর্ণধার।

আরও পড়ুনঃ  রাজশাহীতে যৌথ বাহিনী রেড ব্লক অভিযান

পারিবারিক অর্থনৈতিক দৈণ্যতা কাটিয়ে,সামাজিকভাবে বেকারত্ব ঘুচিয়ে অর্থনৈতিক সচ্ছলতা ফিরিয়ে আনতে গ্রামীণ জনপদের যে সকল নারীরা দেশের অর্থনিতির চাকা সচল করতে নিরলসভাবে শ্রম বিনিয়োগ করে এগিয়ে চলেছে,এদের চলার গতিকে সক্ষমতায় ও সফলতায় পর্যবশিত করতে হলে সরকারি পৃষ্টপোষকতা খুবী জরুরী।

সর্বশেষ সংবাদ

 

রাজনীতি-এর আরও সংবাদ

 



সম্পাদক ও প্রকাশক : ইয়াকুব শিকদার

ঢাকা অফিস: ১২১,ডি.আই.টি, এক্সটেনশন রোড, ফকিরাপুল, মতিঝিল, ঢাকা-১০০০। রাজশাহী অফিস: বহরমপুর (সিটি বাইপাস), জিপিও-৬০০০, রাজপাড়া, রাজশাহী। ই-মেইল: somoyerkotha24news@gmail.com, মোবাইল: 01727202675