স্টাফ রিপোর্টার: ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন-২০১৮ বাতিল করে যে সাইবার সিকিউরিটি আইন করা হচ্ছে তা আরও ধারালো বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। তিনি বলেছেন, ‘সাইবার কিকিউরিটি এ্যাক্টের যেমন সাংবাদিকরা শিকার হতে পারেন, তেমনি সাধারণ মানুষও এর শিকার হবে। সাইবার সিকিউরিটি আইন ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের বিকল্প করা হয়েছে। এই আইনকে আরো নিষ্ঠুর, আরো ভয়ংকর আরো ধারালো করা হয়েছে। সাইবার সিকিউরিটি এ্যাক্টের মাধ্যমে শেখ হাসিনা ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের কার্বন কপি করেছেন। ডিজিটাল নিরাপত্তার আইনের চাইতেও আরো ভয়াবহ করেছেন।’
ডেঙ্গু প্রতিরোধে বৃহস্পতিবার সকালে রাজশাহীতে লিফলেট বিতরণের আগে তিনি সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, ‘সাইবার সিকিউরিটি আইনে সাংবাদিকদের নিরাপত্তা আরো বেশী ঝুঁকির মধ্যে পড়েছে। সাধারণ মানুষতো পড়েছেই। এই আইনের ফলে মত প্রকাশের স্বাধীনতা আর থাকলো না। তাদের যে লুটপাট, বিদেশে টাকা পাচার, তাদের যে ব্যাংক লুট এই ধরনের পরিস্থিতিতে কোন চুরি যাতে কেউ কোন গণমাধ্যমে বা কোথায় প্রচার না করতে পারে তাই সাইবার সিকিউরিটি এ্যাক্ট তারা পাস করেছে।’
রুহুল কবির রিজভী আরও বলেন, ‘মানুষ ডেঙ্গু জ্বরে কাঁপছে, ওষুধ নেই, চিকিৎসা সরঞ্জাম নেই, নিম্নমানের চিকিৎসা সরঞ্জাম, অপ্রতুল ওষুধ। ঢাকার দুই সিটি করপোরেশনের ডেঙ্গু প্রতিরোধে কোন সরঞ্জাম নেই। দুই সিটি করপোরেশনের মেয়র উল্লাস করছেন, পিকনিকে যাচ্ছেন। তাদের কোন জবাবদিহি করতে হয় না। তাদের কাছে জনগণের জীবনের কোন মূল্য নেই। জনগণের প্রতি এই মেয়রদের কোন দয়ামায়াও নেই।’
বৃহস্পতিবার বেলা ১১টায় রাজশাহী জেলা ও মহানগর বিএনপি নগরীর সাহেববাজার এলাকায় ডেঙ্গু প্রতিরোধে সচেতনতামূলক লিফলেট বিতরণের আয়োজন করে। এর আগে নগরীর ভুবনমোহন পার্ক ডেঙ্গু প্রতিরোধে জনসচেতনতামূলক সংক্ষিপ্ত সভার আয়োজন করা হয়। পরে রুহুল কবির রিজভী শহরের গুরুত্বপূর্ণ রাস্তায় ও মোড়ে মোড়ে লিফলেট বিতরণ করেন।
এ সময় বিএনপির রাজশাহী বিভাগীয় সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ শাহীন শওকত খালেক, এ.এইচ.এম ওবায়দুর রহমান চন্দন, বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য সৈয়দ সাইফুল ইসলাম মার্শাল, রাজশাহী মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক এরশাদ আলী ঈশা, সদস্য সচিব মামুন অর রশিদ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।