Home আন্তর্জাতিক তেল-কয়লার পরিবর্তে সৌরবিদ্যুৎ চান বিশ্বের দুই তৃতীয়াংশ মানুষ

তেল-কয়লার পরিবর্তে সৌরবিদ্যুৎ চান বিশ্বের দুই তৃতীয়াংশ মানুষ

তেল-কয়লার পরিবর্তে সৌরবিদ্যুৎ চান বিশ্বের দুই তৃতীয়াংশ মানুষ

অনলাইন ডেস্ক: বিশ্বের ৮৬ শতাংশ মানুষই তেল-কয়লার মতো জীবাশ্ম জ্বালানিভিত্তিক বিদ্যুতের পরিবর্তে নবায়নযোগ্য ও পরিবেশবান্ধব জ্বালানিভিত্তিক বিদ্যুৎ ব্যবহার করতে আগ্রহী। আর এক্ষেত্রে তাদের পছন্দের শীর্ষে রয়েছে সৌরবিদ্যুৎ।

সম্প্রতি নেদারল্যান্ডসভিত্তিক জরিপ সংস্থা গ্লোকালিটিস এবং যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কের পরিবেশবান্ধব জ্বালানি সম্পর্কিত অ্যাডভোকেসি সংস্থা গ্লোবাল সিটিজেন অ্যান্ড দ্য ফসিল ফুয়েল নন-প্রোলিফারেশন ট্রিটি ইনিশিয়েটিভের উদ্যোগে পরিচালিত এক জরিপে উঠে এসেছে এই তথ্য।

চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে জুন পর্যন্ত পরিচালনা করা হয়েছে এই জরিপ। এতে অংশ নিয়েছেন অস্ট্রেলিয়া, ব্রাজিল, চীন, ভারত, ইতালি, মেক্সিকো, দক্ষিণ আফ্রিকা, দক্ষিণ কোরিয়া, তুরস্ক ও যুক্তরাষ্ট্রমসহ ২১টি দেশের ২১ হাজার মানুষ।

জরিপের ফলাফল বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, মোট ৮৬ শতাংশ অংশগ্রহণকারী বিদ্যুতের উৎস হিসেবে জীবাশ্ম জ্বালানির পরিবর্তে নবায়নযোগ্য জ্বালানিকে সমর্থন করেন এবং নবায়নযোগ্য জ্বালানি হিসেবে সৌর বিদ্যুৎ প্রকল্পকে সমর্থন করেন ৬৮ শতাংশ অংশগ্রহণকারী।

এছাড়া ৩৫ শতাংশ জলবিদ্যুৎ প্রকল্প এবং ২৪ শতাংশ অংশগ্রহণকারী পরমাণু প্রকল্পকে দৈনন্দিন ব্যবহার্য বিদ্যুতের প্রধান উৎস হিসেবে দেখতে চান।

জীবাশ্ম জ্বালানিভিত্তিক বিদ্যুতের পক্ষে মতামত দিয়েছেন মাত্র ১৪ শতাংশ অংশগ্রহণকারী।
বর্তমানে ইউরোপ এবং যুক্তরাষ্ট্রের বিপুলসংখ্যক মানুষ নবায়নযোগ্য জ্বালানির ব্যবহার সমর্থন করছেন। সাম্প্রতিক বিভিন্ন জরিপে এই তথ্য এসেছে।

কিছুদিন আগে ইউরোপীয় দেশগুলোর জোট ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) একটি জরিপ চালিয়েছিল, সেই জরিপের ফলাফলে দেখা গিয়েছে, ৮৫ শতাংশ ইউরোপীয় নবায়নযোগ্য জ্বালানি খাতে বিনিয়োগ বৃদ্ধির পক্ষে।

২০২২ সালের ফেব্রুয়ারি রুশ বাহিনী ইউক্রেনে বিশেষ সামরিক অভিযান শুরুর পর হু হু করে বাড়ছিল, সে সময় একটি জরিপ চালিয়েছিল মার্কিন গবেষণা সংস্থা পিউ রিসার্চ সেন্টার। সেই জরিপে অংশ নেওযা ৬৯ শতাংশই জানিয়েছিলেন, যুক্তরাষ্ট্রের উচিত তেল, কয়লা ও জ্বালানি গ্যাসের পরিবর্তে বিকল্প জ্বালানি খাতে আরও বিনিয়োগ করা।

প্রসঙ্গত, এখন পর্যন্ত বিশ্বে প্রতিদিন যে পরিমাণ বিদ্যুৎ ব্যবহৃত হয়, তার ৭৭ শতাংশই আসে জীবাশ্ম জ্বালানির বিভিন্ন উৎস থেকে। তবে গ্লোবাল সিটিজেন অ্যান্ড দ্য ফসিল ফুয়েল নন-প্রোলিফারেশন ট্রিটি ইনিশিয়েটিভের সহ প্রতিষ্ঠাতা এবং প্রতিষ্ঠানটির পলিসি, ইমপ্যাক্ট এবং গভর্নমেন্ট অ্যাফেয়ার্স বিভাগের প্রধঅন মাইকেল শেলড্রিক মনে করেন, সামনের দিনগুলোতে নবায়নযোজ্য জ্বালানি রাজনৈতিক ইস্যু হিসেবে গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠবে।

‘দিন যত যাচ্ছে, নবায়নযোগ্য জ্বালানির প্রতি সাধারণ মানুষের সমর্থন বাড়ছে। এই ধারা যদি অব্যাহত থাকে, সেক্ষেত্রে অদূর ভবিষ্যতে রাজনৈতিক দলগুলোর কাছে এটি গুরুত্বপূর্ণ ইস্যু হয়ে উঠবে বলে আশা করা যায়,’ রয়টার্সকে বলেন শেলড্রিক।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here