স্টাফ রিপোর্টার: সরকার পতনের একদফা দাবিতে রোববার (১৭ সেপ্টেম্বর) বগুড়া থেকে নওগাঁ হয়ে রাজশাহী পর্যন্ত ‘তারুণ্যের রোডমাচর্’ করবে ছাত্রদল, যুবদল ও স্বেচ্ছাসেবক দল। এতে নেতৃত্ব দেবেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। রোডমার্চটি রাজশাহী এসে সমাবেশের মাধ্যমে শেষ হবে।
এই রোডমার্চে বিপুলসংখ্যক নেতাকর্মীর অংশগ্রহণের আশা করছেন বিএনপি নেতারা। রোডমার্চ উপলক্ষে শনিবার দুপুরে রাজশাহী নগরীর মালোপাড়ায় বিএনপির দলীয় কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করা হয়। সেখানে বক্তব্য দেন বিএনপির রাজশাহী বিভাগীয় সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ শাহীন শওকত ও যুবদলের কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সভাপতি নুরুল ইসলাম নয়ন।
সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, এখন যাদের বয়স ৩৩ বছর তারাও জাতীয় নির্বাচনে ভোট দিয়ে একবারের জন্যও নিজেদের মতামত প্রকাশ করতে পারেননি। হাজার হাজার তরুণ চাকরি পাওয়া থেকে বঞ্চিত হয়েছেন। তাই সরকার পতনের একদফা আন্দোলনের অংশ হিসেবে তরুণদের সংঘবদ্ধ করতে এই তারুণ্যের রোডমার্চের কর্মসূচি হাতে নেওয়া হয়েছে।
রোববার সকাল ১০টায় বগুড়া থেকে রোডমার্চ শুরু হবে। এরপর নওগাঁ হয়ে রোডমার্চটি রাজশাহী আসবে। আসার পথে আদমদীঘি, সান্তাহার, নওগাঁ সদর ও মান্দায় পথসভা করা হবে। রোডমার্চটি রাজশাহী আসার পরে নগরীর লালনশাহ মুক্তমঞ্চ সংলগ্ন রাস্তায় সমাবেশ করা হবে। সেখানে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেবেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। সমাবেশে রাজশাহী, নাটোর এবং চাঁপাইনবাবগঞ্জের নেতাকর্মীরাও যোগ দেবেন।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, বগুড়া থেকে প্রায় ১০ হাজার মোটরসাইকেলে নেতাকর্মীরা আসবেন। এছাড়া প্রায় ৪০০ মাইক্রোবাস এবং ট্রাকে করেও নেতাকর্মীরা আসবেন। এই রোডমার্চ নিয়ে রাজশাহী মহানগর পুলিশের সঙ্গেও বিএনপির স্থানীয় নেতাকর্মীরা কথা বলেছেন। পুলিশ সহযোগিতার আশ^াস দিয়েছে। সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, শুধু মোটরসাইকেলগুলো শহরের ভেতরে ঢুকবে। অন্য যানবাহনগুলো শহরের বাইরে থাকবে। নেতাকর্মীরা কিছুটা পথ পায়ে হেঁটে সমাবেশস্থলে যাবেন বলেও সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে রাজশাহী মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক এরশাদ আলী ঈসা, সদস্য সচিব মামুনুর রশীদ, যুবদলের কেন্দ্রীয় কমিটির সহসভাপতি মাহাফুজুর রহমান রিটন, সহ-বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক এম এস মুসাব্বির সাফি, স্বেচ্ছাসেবক দলের সহ-সভাপতি এম জি মাসুম রাসেল, ছাত্রদলের সহ-সভাপতি মাহবুবুল আলম মাহবুব, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক নাজমুল হুদাসহ বিএনপি, যুবদল, ছাত্রদল ও স্বেচ্ছাসেবক দলের স্থানীয় নেতারা উপস্থিত ছিলেন।