অনলাইন ডেস্ক : ফরিদপুরে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় (মঙ্গলবার সকাল ৮টা থেকে বুধবার সকাল ৮টা) শিশু ও নারীসহ আরও চারজনের মৃত্যু হয়েছে। ফরিদপুর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তারা মারা যান। এ নিয়ে ফরিদপুরে ডেঙ্গুতে মৃত্যুর সংখ্যা ৩৮ জনে দাঁড়িয়েছে।
ডেঙ্গুতে মারা যাওয়া ব্যক্তিরা হলেন- ফরিদপুরের বোয়ালমারী উপজেলার চতুল গ্রামের মো. মোস্তফার স্ত্রী শিউলি (৩৫), নগরকান্দা উপজেলার মোহাম্মদ আলীর মেয়ে সাবিহা (১০), ভাঙ্গার পীরেরচর এলাকার সেকেন মাতুব্বরের ছেলে ওয়াসিম (২৩) ও সালথার মো. জুয়েলের ছেলে মো. কাথান (৩২)।
এর মধ্যে সাবিহাকে গত রোববার (১৭ সেপ্টেম্বর) বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। মঙ্গলবার (১৯ সেপ্টেম্বর) বিকেল ৩টার দিকে মারা যায় শিশুটি। শিউলি গতকাল মঙ্গলবার দুপুর পৌনে ২টার দিকে ভর্তি হয়ে রাত সোয়া ১০টার দিকে মারা যান। এছাড়া ওয়াসিম মঙ্গলবার সকাল ১০টার দিকে হাসপাতালে ভর্তি হয়ে ওইদিন দিবাগত রাত ২টার দিকে এবং মো. কাথান গত শনিবার (১৬ সেপ্টেম্বর) বেলা পৌনে ১২টার দিকে এ হাসপাতালে ভর্তি হয়ে গতকাল মঙ্গলবার বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে মারা যান।
এদিকে গত ২৪ ঘণ্টায় ফরিদপুরে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ২৮৪ জন। এ নিয়ে ফরিদপুরে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৯ হাজার ২৭৩ জনে। সুস্থ হয়েছেন ৮ হাজার ৪১৪ জন। চিকিৎসাধীন আছেন ৮২১ জন। এর মধ্যে ফরিদপুর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ৩৪৫, ফরিদপুর জেনারেল হাসপাতালে ৮৫ জন এবং ফরিদপুর ডায়াবেটিক হাসপাতালে ৬৬ জন। ফরিদপুরের বাইরে বেশি সংখ্যক রোগী চিকিৎসাধীন আছেন বোয়ালমারী ও মধুখালী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে। ওই দুটি স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ৭৩ জন করে রোগী চিকিৎসাধীন আছেন।
ফরিদপুর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক এনামুল হক বলেন, এই অঞ্চলে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রোগীর চাপ বেশি হওয়ায় এই হাসপাতালে ভর্তি রোগী মারাও যাচ্ছেন বেশি। তবে স্যালাইনের কোনো সংকট নেই। এখন যে স্যালাইন আছে তা দিয়ে এই সপ্তাহ চলে যাবে। আগামী সপ্তাহের স্যালাইন ঢাকা থেকে আনার জন্য চাহিদাপত্র ও লোক পাঠানো হয়েছে।
ফরিদপুরের সিভিল সার্জন মো. ছিদ্দীকুর রহমান বলেন, ডেঙ্গু থেকে বাঁচতে হলে ব্যক্তিকে সচেতন হতে হবে। ফরিদপুরের ডেঙ্গু পরিস্থিতি বর্তমানে বেশ উদ্বেগজনক অবস্থায় আছে। এখানে চলতি বছর ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে ৩৮ জন মারা গেছেন। এদের সবাই ফরিদপুর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান।