অনলাইন ডেস্ক: শিশুদের নিয়ে সিনেমা নির্মাণের ইচ্ছা অভিনেত্রী শামীমা তুষ্টির। ইতোমধ্যে এগিয়েছেন অনেকটা। ‘মাটির রাজকুমার’ নামে একটি শিশুতোষ চলচ্চিত্রের সহপ্রযোজনায় আছেন তিনি। পেয়েছেন সরকারের সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় থেকে অনুদান। বর্তমানে ছবিটির প্রি-প্রোডাকশনের কাজ চলমান। সিনেমাটির বিষয়ে কালবেলার আলাপ হয় শামীম তুষ্টির। এই চলচ্চিত্রে তাকে অভিনয় করতে দেখা যাবে না জানিয়ে বললেন, ‘মাটির রাজকুমার সিনেমা’র গল্পে শিশুদের মনস্তাত্বিক দিক এবং কিছুটা ইতিহাসের মিশেল থাকবে। তবে মনস্তাত্বিক বিষয়টিই প্রধান্য পাবে।’
বড়দের সিনেমা ছেড়ে ছোটদের সিনেমা প্রযোজনা কেন? জবাবে অভিনেত্রী তুষ্টি বলেন, ‘সবাই যেভাবে চিন্তা করি, আমিও যদি সেভাবে চিন্তা করি, তাহলে তো আমি ব্যতিক্রম থাকলাম না। হয়তো আমি স্রোতের বিপরীতে হাঁটি, আমি হয়তো তথাকথিত বড় সেলিব্রেটি নই, কিন্তু আমি নীরবে সবসময় স্যোশালইজম নিয়ে কাজ করি, শিশুদের নিয়ে কাজ করি। সেই জায়গা থেকে আমিও যদি সবার মতো মনে করি যে শিশুতোষ সিনেমা করা চ্যালেঞ্জিং, তাহলে তো হবে না। কারণ সব সিনেমাই তো এখন চ্যালেঞ্জিং। বড়দের সিনেমা বানালেই কি সেটা হিট হয়ে যাচ্ছে? কিংবা সেটা দেখতে সব দর্শক চলে আসছে? বিষয়টি তো তা নয়। কাউকে না কাউকে তো ভাবতে হবে।’
দেশে শিশুতোষ সিনেমার স্বল্পতার কথা স্বীকার করে তিনি বলেন, ‘শিশুতোষ সিনেমা যে একদমই হচ্ছে না তা নয়। হচ্ছে, কিন্তু তাতে পৃষ্ঠপোষকতার অভাব থাকছে। সরকারে থেকে তো স্টার্টআপ মানি দিচ্ছে। সেই টাকা কিন্তু সিনেমার জন্য অনেক কম। বেসরকারিভাবে কেউ কিন্তু সেভাবে পৃষ্ঠপোষক হিসেবে এগিয়ে আসে না। কেউ কেউ অবশ্য আসে।’
তিনি আরও বলেন, ‘যেহেতু সরকার থেকে আমি একটি সহযোহিতা পেয়েছি, পাশাপাশি বেসরকারি সংস্থাগুলোর সঙ্গে কথা বলছি। তারা এগিয়ে এলে আমার জন্য অনেক সুখকর হবে। হয়তো নতুন কোনো একটি মাত্র যোগ হবে।’
দেশে শিশুশিল্পীর সংকটের প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘শিশু একাডেমিতে কিন্তু এখনো অনেক শিশুর কলকাকলী। যদিও এখন আমরা সংস্কৃতির এই মাধ্যম থেকে কিছুটা পিছিয়ে গেছি; এটার কারণ পারিবারিক শিক্ষা, কিছু আর্থিক সমস্যা। এসব জায়গা থেকে দেখা যায় অনেকে তাদের সন্তানদের শুধু লেখাপড়ার মধ্যেই ব্যস্ত রাখেন। কিন্তু আগে আমরা দেখতাম প্রত্যেক বাসায় হারমোনিয়াম, নূপুর, কচিকাঁচার আসর হতো। এখন শুধু বাচ্চাদের লেখাপড়াটাকেই মূল ধরে নেওয়া হয়। কিন্তু শিল্প-সংস্কৃতির মধ্যে বাচ্চাদের যদি বড় করা যায়, তার মানসিক বিকাশ ভালো হয়। এটা অনেকেই ভুলে যান। কিন্তু একদমই যে নেই, তা কিন্তু নয়।’
সিনেমায় ঠিক কোন কোন শিশুশিল্পী কাজ করবেন তা এখনই প্রকাশ্যে আনলেন না শামীমা তুষ্টি। বললেন, ‘আমরা চেষ্টা করব অডিশনের মধ্যে দিয়ে শিশুদের নিতে। যদিও কয়েকজনকে কিছুটা নির্দিষ্ট করাই আছে। কারণ আমাদের তো মোটামুটি একটা লাইনআপ করেই গল্প জমা দিতে হয়। কিছুটা করা আছে, আর কিছুটা আমরা এখন করব।’
সিনেমাটির প্রচারের পরিকল্পনার বিষয়ে এই অভিনেত্রী বললেন, ‘ক্যাম্পেইন করব। ডিজিটাল প্রচার নিজেরাই করব। বিভিন্ন প্ল্যান করছি। যদিও সবকিছু এখন প্রাথমিক পর্যায়ে আছে।’