অনলাইন ডেস্ক: রাত পোহালেই শুরু বিশ্বকাপের ত্রয়োদশ আসর। ৫ অক্টোবর ভারতের মাটিতে পর্দা উঠছে বিশ্ব ক্রিকেটের সবচেয়ে বড় আসর ওয়ানডে বিশ্বকাপের। বাংলাদেশের বিশ্বকাপ অভিযান অবশ্য আরও দুই দিন পর। আগামী ৭ অক্টোবর নিজেদের চেনা প্রতিপক্ষ আফগানিস্তানের বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে এবারের মিশন শুরু করবে টাইগাররা। গেল কয়েক বছরে ওয়ানডে ক্রিকেটে দাপট দেখানো বাংলাদেশ এবার শেষ চারে জায়গা করে নিতে আশাবাদী।
আর এই আশার বড় একটা অংশ জুড়েই আছেন পেস বোলার হাসান মাহমুদ। সাম্প্রতিক সময়ে বাংলাদেশের পেস বোলিং ডিপার্টমেন্টের এই উত্থানের পেছনে যে’কজন পেসার মূল ভূমিকায় ছিলেন, তাদের একজন হাসান মাহমুদ। উইকেট শিকারের চেয়ে রান কম দেওয়ার জন্যই সুনাম কুড়িয়েছেন হাসান মাহমুদ।
হাসান মাহমুদ: সব খেলোয়াড়ের স্বপ্নই থাকে বিশ্বকাপ খেলার। আর বিশ্বকাপে যেহেতু দেশকে প্রতিনিধিত্ব করার সুযোগ পেয়েছি অবশ্যই ভালো লাগছে, রোমাঞ্চিত তো অবশ্যই। চেষ্টা থাকবে নিজের সর্বোচ্চটুকু নিঙড়ে দেওয়ার।
হাসান মাহমুদ: আমার মতে, আলহামদুলিল্লাহ দল ভালো অবস্থায় রয়েছে আমি যতটুকু দেখেছি। আগের থেকে অনেক ভালো পজিশনেই রয়েছে। প্রতিটি সেক্টরের কাজ সবাই সবারটা ভালো মতোই করছে। সবাই জানে ভারতের মতো চেনা কন্ডিশনে কি দায়িত্ব থাকবে। খুবই পজিটিভ আছে। সবাই প্রস্তুত আছে।
হাসান মাহমুদ: দেখুন, সবাই বলছে ঠিক আছে। তবে আমার মনে হয় সেমি-ফাইনাল নয় আমরা ফাইনাল খেলব ইনশাআল্লাহ। এখন বাকিটা মাঠে, আল্লাহ ভরসা।
হাসান মাহমুদ: আমার চেষ্টা থাকবে যে দলের বিপক্ষেই খেলি না কেন অবশ্যই সেরা বলগুলোই করার চেষ্টা থাকবে। সেরা বলগুলো করেই উইকেট আদায় করতে চাই এখন পর্যন্ত এতটুকুই বলতে পারি। আলাদা করে কোনো দল নেই যে যাদের বিপক্ষে ভালো করা লাগবেই।
হাসান মাহমুদ: এবার বিশ্বকাপে কয়েকটা দেশই অবশ্যই রয়েছে। এশিয়ায় খেলা সে হিসেবে ভারত-পাকিস্তানের সাথে আমরাও এই তালিকাতে রয়েছি। সঙ্গে যদি বলি ইংল্যান্ড কিংবা নিউজিল্যান্ডও রয়েছে। আসলে এভাবে তো হয় না, মূল ফেবারিট তো মাঠের খেলার মাধ্যমেই দেখাতে হয়।
হাসান মাহমুদ: মন তো চায় অনেক কিছুই। তবে আমার ইচ্ছা নিজের ইকোনোমিটা একদম কম রেখে ম্যাচ শেষ করা। যে কারণে আমাকে দলে রাখা সেই কাজটা ঠিকঠাক করতে পারা। মোটকথা দলের চাহিদা পূরণ করার জন্য আমি বল করতে চাই। যাতে করে বিশ্বকাপে দলের ভালো হবে সঙ্গে আমারও।
হাসান মাহমুদ: হাহাহা (মুখে চওড়া হাসি) এভাবে আসলে বলাটা একটু কঠিন কিন্তু। না না আসলে এমন কিছু না, আমার চাওয়া একটাই, যার বিপক্ষেই খেলি না কেন তাকে হারাতে হবে। আমি কেন- দলের সবার লক্ষ্যই এটা। এখানে বড় দল বা ছোট দল বলে এরকম কিছুই নেই।
হাসান মাহমুদ: অবশ্যই সাকিব ভাই তার স্বরূপে থাকবেন। তার মতো পারফর্ম করার চেষ্টা করবেন। এটাও মনে করি পারফর্ম করে দলকেও লিড দিবেন সামনে থেকে। আমরা তো সবাই এটা চাই কেননা সবাই জানি তিনি কত বড় মাপের ক্রিকেটার।
হাসান মাহমুদ: কোচিং প্যানেল নিয়ে তো নতুন করে কিছু বলার নেই। আলহামদুলিল্লাহ খুবই ভালো অবস্থায় রয়েছে সবকিছু। সবার সাথে আমরা খুবই ফ্রি, সব কোচিং স্টাফদের সঙ্গে আমাদের চলাচল যোগাযোগ ভালো। এছাড়া আমাদের পেস বোলিং ইউনিট দুর্দান্ত। চিন্তা করার কিছু দেখছি না আশা করি। ইনশাআল্লাহ সবাই ফর্মে আছে, এখন সবার কাজটা যদি ঠিকঠাক মতো মাঠে কাজে লেগে যায় খুবই ভালো কিছু হবে, ভালো পর্যায়েই থাকবো আশা করি।
হাসান মাহমুদ: দুর্বলতা বলে কিছু নেই। সত্যি কথা বলতে কি সবাই যদি সবার কাজটা ঠিকমতো করে তাহলে কিন্তু সবকিছু সহজ হয়ে যাবে। ব্যাটার বা বোলারদের যে কাজ সেটা সঠিক ভাবে যদি মাঠে ফলানো যায় যেটুকু যা সমস্যা আছে সেটাও থাকবে না আশা করি। সবকিছু আসলে মেন্টালি, মূল কথা মেন্টালি শক্ত থাকলে যে কোনো অবস্থা থেকে ক্যামব্যাক করতে পারবেন। তবে দল খুব ভালো অবস্থায় রয়েছে। বাকিটা আল্লাহ ভরসা।