স্টাফ রিপোর্টার: রাজশাহীর মোহনপুর উপজেলায় স্কুল ঘেরাও করে স্কুলের প্রধান শিক্ষককে পুলিশের হাতে তুলে দিয়েছেন এলাকাবাসী। রোববার উপজেলার ধুরইল উচ্চ বিদ্যালয়ে এ ঘটনা ঘটে। এই স্কুলের প্রধান শিক্ষকের নাম সোহরাব আলী খান। অভিভাবকদের অভিযোগ, প্রধান শিক্ষক স্কুলের ছাত্রীদের আপত্তিকর কথা বলেন। কয়েকজন ছাত্রী অভিভাবকদের কাছে এ অভিযোগ করেছে।
রোববার সকাল থেকে ক্ষুব্ধ এলাকাবাসী স্কুলটি ঘেরাও করে রাখেন। খবর পেয়ে মোহনপুর থানা থেকে পুলিশ যায়। এ সময় উত্তেজনা দেখা দেয়। পরে দুপুর আড়াইটার দিকে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মিথিলা দাস সেখানে যান। এলাকাবাসী তাঁর কাছে এই প্রধান শিক্ষককে গ্রেপ্তারের দাবি জানান। পরে তাঁর উপস্থিতিতে পুলিশ প্রধান শিক্ষককে স্কুল থেকে থানায় নিয়ে যায়। বিকাল পর্যন্ত ওই শিক্ষক থানায় পুলিশ হেফাজতেই ছিলেন।
ধুরইল ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান দেলোয়ার হোসেন বলেন, ‘গ্রামের সব মানুষ একত্রিত হয়ে স্কুলটি ঘেরাও করেছিল। তখন পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে যায়। পুলিশ সবাইকে দূরে সরানোর চেষ্টা করে। এ সময় এক কিশোর পড়ে গিয়ে আহত হয়। এতে এলাকার লোকজন আরও উত্তেজিত হয়। পরে আমি গিয়ে সবাইকে শান্ত করি। এরপর এসিল্যান্ড আসেন। এলাকার লোকজনের দাবির প্রেক্ষিতে তিনি ওই শিক্ষককে পুলিশ হেফাজতে নিয়েছেন।’
ইউপি চেয়ারম্যান বলেন, ‘এই শিক্ষকের নাকি একটু সমস্যা আছে। অভিভাবকদের অভিযোগ যে তিনি ছাত্রীদের অশ্লীল-আপত্তিকর কথা বলেন। গ্রামে বিষয়টা নিয়ে আলোচনার পর সবাই একত্রিত হয়ে আজ স্কুল ঘেরাও করেন। প্রধান শিক্ষককে থানায় নেওয়ার পর ভুক্তভোগীরাও সেখানে গিয়েছেন। ভুক্তভোগীদের পক্ষ থেকে থানায় মামলা করা হচ্ছে।’
ইউপি চেয়ারম্যান আরও বলেন, ‘প্রধান শিক্ষক এই স্কুলে প্রায় ১০ বছর আগে এসেছেন। এর আগে যে স্কুলে ছিলেন সেখানেও এ ধরনের একটি ঘটনা ঘটেছিল। সেখানে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে একটা মামলাও হয়েছিল।’
অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষক পুলিশ হেফাজতে থাকায় তার সঙ্গে কথা বলা যায়নি। মোহনপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হরিদাস মণ্ডল বলেন, ‘প্রধান শিক্ষক আমাদের হেফাজতেই আছেন। এখনও তার বিরুদ্ধে কোন মামলা হয়নি। তবে ভুক্তভোগী ছাত্রীদের অভিভাবকেরা মামলা করবেন জানিয়েছেন। মামলা হলে সে অনুযায়ী পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে।’