অনলাইন ডেস্ক: সাধারণ রোগীসহ ইসরায়েলি হামলায় আহতদের চিকিৎসা দিতে রীতিমতো সংগ্রাম করে যাচ্ছেন গাজা উপত্যকার চিকিৎসকরা। না তাদের হাতে আছে ব্যাপক সরবরাহ, না সঠিক সময়ে পাচ্ছেন অস্ত্রোপচারের সরঞ্জাম।
বাধ্য হয়ে হাসপাতালের মেঝেতে রোগীদের রেখে সেবা দিয়ে যাচ্ছেন তারা।
বার্তা সংস্থা অ্যাসোসিয়েট প্রেস (এপি) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য দিয়েছে। খবরে বলা হয়েছে, গাজার যে চিকিৎসকরা রোগীদের সেবা দিচ্ছেন তারা রীতিমতো সংগ্রাম করে যাচ্ছেন। তারা হাসপাতালে হামলার পর বেঁচে যাওয়া ব্যক্তিদের বাঁচাতে সংগ্রাম করছেন।
চিকিৎসকরা ক্রমবর্ধমান চিকিৎসা সরবরাহের মুখোমুখি। বাধ্য হয়ে তারা হাসপাতালের মেঝেতে রোগী রেখে অস্ত্রোপচার করেন। প্রতিনিয়ত অ্যানেস্থেসিয়া ছাড়া তারা অপারেশন করছেন।
মঙ্গলবার (১৮ অক্টোবর) ইসরায়েলিদের চালানো হামলায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে আল-আহলি আরব হাসপাতাল। বহু মানুষ মারা গেছেন। সংখ্যাটি ৫০০; তাদের মধ্যে পুরুষ ও শিশুই বেশি। যারা বেঁচে গেছেন, ঢাল-তলোয়ার ছাড়াই তাদের বাঁচাতে মরিয়া চিকিৎসকরা।
ফিলিস্তিনের মুক্তিকামী সংগঠন হামাস এই হামলার জন্য ইসরায়েলকে দায়ী করেছে। অন্যদিকে ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী ফিলিস্তিনি ‘জঙ্গিদের’ ভুল রকেট পরিচালনায় ঘটনাটি ঘটেছে বলে দাবি করছে।
এদিকে, হামলার পর ইসরায়েল সফর করছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। তিনি নিজেও হামলার পেছনে তার বন্ধু ‘রাষ্ট্র’ নয় বরং অন্য কেউ জড়িত বলে উল্লেখ করেছেন। আবার তিনি ইসরায়েলে আসার পরপরই গাজা জুড়ে হামলার পর হামলা চালিয়ে যাচ্ছে ইসরায়েল।
সার্বিক পরিস্থিতিতে মধ্যপ্রাচ্যে ক্ষোভ বাড়ছে। এটি ছড়িয়ে পড়তে শুরু করেছে। উত্তর আফ্রিকা জুড়ে ফিলিস্তিনপন্থী বিক্ষোভ শুরু হয়েছে। জর্ডানের পাশাপাশি তুরস্কের ইসরায়েলি দূতাবাস ও লেবাননে মার্কিন দূতাবাসের কাছেও বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। ইরান, মরক্কো, তিউনিসিয়া, ইয়েমেন এবং ইরাকের লোকেরাও ক্ষোভ প্রকাশ করতে বিক্ষোভে নেমেছেন।