স্টাফ রিপোর্টার : রাজশাহী মহানগরীতে নবনির্মিত শেখ রাসেল শিশুপার্ক উন্মুক্ত করা হয়েছে। নগরীর ১৯ নম্বর ওয়ার্ডের ছোটবনগ্রামে রাজশাহী সিটি করপোরেশন কর্তৃক প্রায় ৬ দশমিক ৫ বিঘা জায়গার ওপর নির্মিত শেখ রাসেল শিশুপার্ক শিশুসহ সর্বসাধারণের উন্মুক্ত করা হয়েছে। বুধবার (১৮ অক্টোবর) শেখ রাসেলের জন্মদিন ও শেখ রাসেল দিবস উপলক্ষ্যে বেলুন-ফেস্টুন উড়িয়ে ও কেক কেটে আনুষ্ঠানিকভাবে শিশুপার্ক উন্মোচন করেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও সিটি মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন। উন্মুক্তকরণের দিনে সহস্রাধিক শিশু ও তাদের অভিভাবকদের পদচারণায় মুখর হয়ে উঠে শেখ রাসেল শিশুপার্ক।
অনুষ্ঠানে রাসিক মেয়র খায়রুজ্জামান লিটন বলেন, ১৯ নম্বর ওয়ার্ড ঘনবসিতপূর্ণ। এই ওয়ার্ডে অনেক মানুষ বসবাস। তবে এখানে শিশুদের বিনোদনের এবং বয়স্ক মানুষদের হাঁটাহাঁটির জন্য নিরাপদ কোনো জায়গা ছিল না। ছোটবনগ্রামের এই জায়গাটি পরিত্যক্ত হয়ে যাচ্ছিল। এই জায়গায় পার্ক নির্মাণের ইচ্ছে ছিল। তা করতে পেরেছি। শেখ রাসেলে জন্মদিন উপলক্ষ্যে শেখ রাসেল শিশুপার্ক শিশুসহ সর্বসাধারণের উন্মুক্ত করা হলো। আগামীতে গ্রিনজোনসহ এই রকম পার্ক শহরের বিভিন্ন এলাকায় করে দিতে চাই। যাতে পড়ালেখার পাশাপাশি শিশু-কিশোররা পার্কে আসে, ছোটাছুটি করতে পারে, তাদের মানসিক বিকাশ হয়।
রাসিক মেয়র আরও বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অবদানে এই শিশু পার্কটি নির্মাণ করতে পেরেছি। তিনি প্রায় ২৮০০ কোটি টাকার একটি প্রকল্প রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের অনুমোদন দিয়েছেন। সেই প্রকল্পের কাজ চলমান রয়েছে। আরো একটি প্রায় সাড়ে ৪ হাজার কোটি টাকার বড় প্রকল্প আমরা তৈরি করছি। এটি আগামীতে ইনশাল্লাহ অনুমোদন হবে।
রাজশাহী সিটি করপোরেশন কর্তৃক ১১ কোটি ৩৩ লাখ টাকা ব্যয়ে নির্মিত শেখ রাসেল শিশুপার্কে রয়েছে শেখ রাসেলের প্রতিকৃতিসহ দৃষ্টিনন্দন ফটক, দৃষ্টিনন্দন বাউন্ডারি ওয়াল, দর্শনীয় কৃত্রিম লেক, পার্কের অভ্যন্তরে বাউন্ডারি ওয়ালের চারদিকে ওয়াকওয়ে, এমপিথিয়েটার, কফিশপ, প্রশাসনিক ভবন, শিশুদের জন্য স্লিপার, দোলনাসহ বিভিন্ন রাইড, রাতের দৃষ্টিনন্দন লাইটিং সিস্টেম, পাবলিক টয়লেটসহ বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন রাজশাহী সিটি করপোরেশনের ১৯ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর তৌহিদুল হক সুমন। বক্তব্য রাখেন ১২ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর সরিফুল ইসলাম বাবু। উপস্থিত ছিলেন ১ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর রজব আলী, ৩ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর কামাল হোসেন, ৯ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর রাসেল জামান, ১৪ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর আনোয়ার হোসেন আনার, ১৬ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর বেলাল আহম্মেদ, ২১ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর নিযাম উল-আযিম, সংরক্ষিত আসনের কাউন্সিলর আলতাফুন নেছা, সুলতানা আহমেদ সাগরিকা, রাজশাহী মহানগর আওয়ামী লীগের সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা সাহাবুদ্দিন, সদস্য শামসুন্নাহার মুক্তি, রাজশাহী সিটি করপোরেশনের নির্বাহী প্রকৌশলী মাহমুদুর রহমান, নির্বাহী প্রকৌশলী সুব্রত কুমার সরকার, সরকারি আর্কিটেক্ট গৌরব দে, সহকারী প্রকৌশলী ইকবাল হোসেন, উপসহকারী প্রকৌশলী শাবাব আহমাদ এবং উপসহকারী প্রকৌশলী শাকিল হোসেনসহ স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ।