অনলাইন ডেস্ক: লোকশান মাথায় নিয়ে খুলছে রাজশাহী সুগার মিলস (রাচিক)। সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে আগামি ২৪ নভেম্বর থেকে ২০২৩-২৪ মৌসুমের আখ মাড়াই শুরু হবে। সেই লক্ষ্যে প্রস্তুতি চলছে। সুগার মিলস কর্তৃপক্ষের দাবি- গত বছরের তুলনায় আখ বেশি চাষ হয়েছে। তাই এবছর বেশি দিন চলবে সুগার মিলস।
জানা গেছে, ২০২২-২৩ মৌসুমে ২৬ হাজার ৪৫ মেট্রিক টন আখ মাড়াই করা হয়। এ থেকে চিনি উৎপাদন হয় ১ হাজার ৩৫৬ মেট্রিক টন। এই চিনি উৎপাদন খরচ হয় ৮৩ কোটি ১ লাখ ২৯ হাজার টাকা। পরে উৎপাদিত চিনি ও চিটা গুঁড় বিক্রি করে আয় হয় ২০ কোটি ১ লাখ ২৯ হাজার টাকা। ফলে এই মৌসুমেও সুগার মিলের লোকসান হয় ৬৩ কোটি টাকা।
লোকসানের কারণ হিসেবে সংশ্লিষ্টরা বলছেন, জমিতে সারাবছর আখ থাকে। ফলে অন্য ফসল ফলানো সম্ভব হয় না। কিন্তু আখ ছাড়া অন্য আবাদ করলে জমিতে বছরে দুই থেকে তিনটি ফসল ফলানো সম্ভব। আখের তুলনায় অন্য ফসলে বেশি লাভ পাচ্ছে কৃষক। তাই আখচাষে আগ্রহ কম কৃষকদের। এছাড়া আখের উৎপাদন খরচ বেশি, গুড় উৎপাদনকারীদের কাছে আখ সরবরাহ, জনবল সংকট, যন্ত্রাংশ পুরোনো হওয়ায় কার্যক্ষমতা কমে যাওয়াসহ বিভিন্ন সমস্যায় জর্জরিত রাজশাহী সুগার মিলস। শুধু তাই নয়, সুগার মিলসের নয়টি সাব জোন রয়েছে। এরমধ্যে চারটি সাব জোনে নগরায়ণের কারণে কমেছে চাষযোগ্য জমি। ফলে কমেছে আখের চাষ।
রাজশাহী সুগার মিলসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আবুল বাশার বলেন, আগামি ২৪ জুন মিল চালু হবে। এ মৌসুমে ৩০ দিন মিলস চালুর লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। আখমাড়াইয়ের লক্ষ্যমাত্রা ৪২ হাজার মেট্রিকটন। মিল জোন এলাকায় আখের চাষাবাদ হয়েছে ৩ হাজার ৫৪০ একর জমিতে। আর গত বছর আখ চাষ হয়েছিল ৩৪ হাজার একর জমিতে। এছাড়া চিনি মজুদ রয়েছে ১২ টন।