স্টাফ রিপোর্টার: রাজশাহীতে নানা রকম দেশীয় অস্ত্র উঁচিয়ে একদল তরুণদের উল্লাসের ভিডিও ছড়িয়ে পড়ার পর পুলিশ অভিযান চালিয়ে সাতজনকে গ্রেফতার করেছে। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ভিডিওটি সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ার পর রাতেই নগরীর শাহ মখদুম থানা-পুলিশ তাদের গ্রেফতার করে।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন-থানা সংলগ্ন পবা নতুনপাড়া মহল্লার সোহেল রানা (২১), মনিরুল ইসলাম অপূর্ব (২২), রফিকুল ইসলাম সম্রাট (২১), নাজমুস সাকিব আবির (২১), মোহাইমিনুল শেখ (২০) ও মো. জিসাদ (২২) বড় বনগ্রাম চকপাড়া দুরুলের মোড় এলাকার মারুফ হোসেন (২১)। তারা সবাই কিশোর গ্যাংয়ের সদস্য।
রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশের (আরএমপি) শাহ মখদুম জোনের উপ-পুলিশ কমিশনার নূর আলম সিদ্দিকী বলেন, ‘অস্ত্র হাতে একদল কিশোরের নাচানাচির একটি ভিডিও আমাদের নজরে আসে। এরপর রাতভর অভিযান চালিয়ে সাতজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বেশ কিছু দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে। গ্রেফতারদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।’
এর আগে মঙ্গলবার রাতে শাহ মখদুম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইসমাইল হোসেন দাবি করেন, ভিডিওটি অন্তত চার মাস আগের। এই কিশোর গ্যাং গ্রুপেরই এক সদস্যের নাম আরাফাত। তাকে গ্রুপের অন্য সদস্যরা চার দিন আগে মারধর করে। সংকটাপন্ন অবস্থায় আরাফাত এখন রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) চিকিৎসাধীন।
ওসি জানান, আরাফাতকে মারধরের পর তার পক্ষের কেউ চার মাস আগের ভিডিওটি ইন্টারনেটে ছেড়ে দিয়েছে। আরাফাতকে মারধরের ঘটনায় মঙ্গলবার থানায় একটি মামলাও হয়েছে। আরাফাতের ওপর হামলার ঘটনার সঙ্গে যারা জড়িত তাদের এ মামলায় গ্রেফতার দেখানো হবে। অন্যদের বিরুদ্ধে দেশীয় অস্ত্র রাখার অপরাধে মামলা করা হবে বলেও জানান তিনি।