অনলাইন ডেস্ক : লেবাননের সশস্ত্র গোষ্ঠী হিজবুল্লাহ প্রধান হাসান নাসরুল্লাহ শুক্রবার টিভিতে হামাস-ইসরায়েল যুদ্ধ নিয়ে দীর্ঘ ভাষণ দিয়েছেন। যদিও এ ভাষণে তিনি ইসরায়েলের বিরুদ্ধে সরাসরি যুদ্ধ ঘোষণা করেননি। তবে তিনি ইসরায়েল ও যুক্তরাষ্ট্রকে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন। নাসরুল্লাহ জানিয়েছেন, যুদ্ধ শুরুর পর ভূমধ্যসাগরে যুক্তরাষ্ট্র দুটি বিমানবাহী রণতরী এনেছে। কিন্তু এসব রণতরীকে হিজবুল্লাহ ভয় পায় না।
হুমকির সুরে তিনি বলেছেন, যদি যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েল লেবাননের কোনো বেসামরিক নাগরিককে হত্যা করে তাহলে— একজন বেসামরিকের জন্য আরেকজন বেসামরিককে হত্যা করবেন তারা।
এ ব্যাপারে নাসরুল্লাহ বলেছেন, ‘যুদ্ধ শুরুর পর, যুক্তরাষ্ট্র ভূমধ্যসাগরে অবস্থানরত তাদের রণতরী থেকে লেবাননে বোমা হামলার হুমকি দিয়েছে। আমরা সবধরনের পরিস্থিতিরি জন্য প্রস্তুত।’
‘যদি পূর্ণমাত্রার যুদ্ধ শুরু হয়, আমেরিকানরা আপনারা আপনাদের যুদ্ধজাহাজ, যুদ্ধবিমান এবং সেনাদের মাধ্যমে এর মূল্য পরিশোধ করবেন।’
‘মনে করুন লেবানন এবং ইরাকে আপনাদের পরাজয় এবং আফগানিস্তান থেকে অপমানজনক সেনা প্রত্যাহার। যারা ১৯৮০ সালে আপনাদের লেবাননে পরাজিত করেছেন তারা এখনো বেঁচে আছেন। তাদের ছেলে ও নাতিরা আপনাদের বিরুদ্ধে লড়ার জন্য প্রস্তুত আছেন।’
‘ভূমধ্যসাগরে থাকা আপনাদের নৌবহর আমাদের ভীত করে না। যে জাহাজ দিয়ে আমাদের হুমকি দিচ্ছেন সেগুলোর বিরুদ্ধে লড়াই করতে আমরা প্রস্তুত আছি। যারা আঞ্চলিক যুদ্ধ থামাতে চান তারা গাজায় হামলা বন্ধ করুন।’
হিজবুল্লাহ প্রধান হাসান নাসরুল্লাহ
হামাস ও ইসরায়েলের মধ্যকার যুদ্ধের জন্য যুক্তরাষ্ট্রকে দায়ী করেছেন নাসরুল্লাহ। তিনি বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্র এ যুদ্ধ শুরু করেছে এবং তারাই এটি থামাতে পারবে।
অপরদিকে ইসরায়েলকে হুমকি দিয়ে তিনি বলেন, কোনো হুমকি-ধামকিতে তাদের থামানো যাবে না। যা হবে সেটি হলো এই যুদ্ধ বাড়বে। লেবাননের উপর হামলা বন্ধের আহ্বান জানিয়ে ইসরায়েলের উদ্দেশ্যে নাসরুল্লাহ বলেন, ‘আমি ইসরায়েলকে বলছি: আর বাড়বেন না। অসংখ্য বেসামরিক মানুষ ইতিমধ্যে নিহত হয়েছে। আমি প্রতিজ্ঞা করছি: একজন বেসামরিকের জন্য আরেক বেসামরিককে হত্যা করা হবে।’ সূত্র: টাইমস অব ইসরায়েল