• ঢাকা, বাংলাদেশ
  • ২৭শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
  • নিবন্ধিত অনলাইন নিউজ পোর্টাল
  • somoyerkotha24news@gmail.com
  • +880-1727-202675

নষ্ট হচ্ছে ২৫ শতাংশ সবজি

প্রকাশ: রবিবার, ৫ নভেম্বর, ২০২৩ ৮:৫৩

নষ্ট হচ্ছে ২৫ শতাংশ সবজি

স্টাফ রিপোর্টার: রাজশাহীতে চাহিদার বেশি সবজি উৎপাদন হয়। উৎপাদিত এসব সবজি গ্রামগঞ্জের হাটবাজার থেকে ব্যবসায়ীরা কিনে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে সরবরাহ করেন। কেনা-বেচা সহজ হওয়ায় চাষিদের কাছে সবজি অর্থকরী ফসল হয়ে উঠেছে। তবে উৎপাদিত সবজির ২৫ শতাংশই নষ্ট হচ্ছে সংরক্ষণের অভাবে। এতে অর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন চাষি ও ব্যবসায়ীরা।

প্রতি বছর রাজশাহীতে পাঁচ লাখ মেট্রিক টনের বেশি সবজি উৎপাদন হয়। বিপুল পরিমাণে উৎপাদন হলেও সব সবজি খাবার উপযোগী করে রাখা সম্ভব হয় না। ফলে উৎপাদনের ২০ থেকে ২৫ শতাংশ সবজি নষ্ট হয়ে যায় শুধু সংরক্ষণের অভাবে। এতে লোকসান হয় প্রান্তিক পর্যায়ের চাষি ও ব্যবসায়ীদের।

সবজি চাষিরা বলছেন, তারা প্রচুর পরিমাণে সবজি উৎপাদন করলেও সংরক্ষণের জন্য পর্যাপ্ত হিমাগার নেই। হিমাগার না থাকায় সবজি নষ্ট হওয়ার পাশাপাশি কম দামে বিক্রি করে দিতে হয় তাদের। এ কারণে তারা ন্যায্য দাম পাচ্ছেন না। অথচ অনেক সময় সরবরাহ কম হলে বাইরে থেকে আনতে হয় সবজি। ফলে পণ্যের দাম ও পরিবহন খরচ মিলে বেড়ে যায় সবজির দাম। এতে করে ক্রেতাকে বেশি টাকায় সবজি কিনতে হয়।

আরও পড়ুনঃ  সহ্যের সীমা ছাড়িয়ে গেলে জনতা আইন নিজের হাতে তুলে নেবে : সরকারের উদ্দেশে আজহারী

রাজশাহী কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, জেলায় গত বছরের তুলনায় ১ হাজার ৭৫০ হেক্টর বেশি জমিতে সবজি চাষ হয়েছে। এ বছর (২০২৩-২৪) চলতি মৌসুমে ৫ হাজার ৬৪০ হেক্টর জমিতে বিভিন্ন সবজি চাষ হয়েছে। আর ২০২২-২৩ মৌসুমে সবজির চাষ হয়েছিল ৩ হাজার ৮৯০ হেক্টর জমিতে। ২০২২-২৩ মৌসুমে শীতের সবজির মধ্যে শিম চাষ হয়েছিল ২৩০ হেক্টর, পালংশাক ৪৪ হেক্টর, টমেটো ৩১ হেক্টর, ফুলকপি ২৭৫ হেক্টর, মুলা ৩২৮ হেক্টর জমিতে। আর ২০২৩-২৪ মৌসুমে ফুলকপি ৩৮৭ হেক্টর, টমেটো ৬৪ হেক্টর, মুলা ৪৩৫ হেক্টর, শিম ২৪১ হেক্টর, পালংশাক ৬৬ হেক্টর ও ধনেপাতা ৩৪ হেক্টর জমিতে চাষ হয়েছে।

আরও পড়ুনঃ  রামেক হাসপাতালের ইন্টার্ন চিকিৎসকদের টানা তৃতীয় দিনের কমপ্লিট শাটডাউন

পবার কৃষক রজব আলী। তিনি সারা বছর বিভিন্ন সবজির চাষ করেন। বর্তমানে তার জমিতে ফুলকপি ও বাঁধাকপি রয়েছে। তিনি আশা করছেন ভালো ফলন পাবেন। রজব আলী বলেন, প্রথমে সব সবজির ভালো দাম পাওয়া যায়। পরে দাম কমে যায়। যেমন ঢেঁড়স, শুরুতে অন্য সবজির মতো ভালো দাম থাকে। মাঝে কমে যায় দাম। কিন্তু ঢেঁড়সের শেষ পর্যায়ে ভালো দাম পাওয়া যায়। তবে সেই সময় কারও কাছে এই সবজি থাকে না। কিন্তু সবজি সংরক্ষণের হিমাগার থাকলে সেখানে রেখে সুবিধামতো সময়ে বেশি দামে বিক্রি করা যেত। এতে করে কৃষকরা অর্থিকভাবে লাভবান হতেন।

গোদাগাড়ীর টমেটো চাষি হাবিবুর রহমান জানান, টমেটোর গাছে গাছে ফুল আর কলি এসেছে। কিছুদিন পর জমি থেকে টমেটো তুলতে শুরু করবেন চাষিরা। এরপর হাটবাজারে বিক্রি শুরু হবে। প্রথম দিকে টমেটোর ভালো দাম পাওয়া যায়। তবে শেষের দিকে কেউ নিতে চায় না। সেই সময় টমেটো সংরক্ষণ করা গেলে অফ সিজনে ভালো দামে বিক্রি করা যাবে। এতে করে চাষিরা আরও লাভবান হবেন।

আরও পড়ুনঃ  একটা গোষ্ঠী চাচ্ছে না যে আমরা স্থিতিশীল হই : আইজিপি

আরেক সবজি ব্যবসায়ী আবদুস সালাম জানান, শীতকালে সবজির ভরা মৌসুম। এ সময় সব সবজির দাম কম হয়। কিছুদিন গেলে আবার সবজির দাম বেড়ে যাবে। এখন সবজি সংরক্ষণ করা গেলে পরবর্তী সময়েও ভালো দামে বিক্রি করা যেত।

রাজশাহী কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মোজদার হোসেন বলেন, চাষিদের উৎপাদিত অনেক সবজি সরাসরি জমি থেকে ট্রাকযোগে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। তারপরও উৎপাদিত সবজির ২০ থেকে ২৫ শতাংশ নষ্ট হয় সংরক্ষণের অভাবে। আমরা চেষ্টা করছি রাজশাহীতে সবজির হিমাগারের জন্য। হিমাগার থাকলে এই সবজিগুলোও নষ্ট হবে না।

সর্বশেষ সংবাদ

 

রাজনীতি-এর আরও সংবাদ

 



সম্পাদক ও প্রকাশক : ইয়াকুব শিকদার

ঢাকা অফিস: ১২১,ডি.আই.টি, এক্সটেনশন রোড, ফকিরাপুল, মতিঝিল, ঢাকা-১০০০। রাজশাহী অফিস: বহরমপুর (সিটি বাইপাস), জিপিও-৬০০০, রাজপাড়া, রাজশাহী। ই-মেইল: somoyerkotha24news@gmail.com, মোবাইল: 01727202675