স্টাফ রিপোর্টার: এবার এক তরুণীর সঙ্গে রাজশাহী-৪ (বাগমারা) আসনের এমপি ইঞ্জিনিয়ার এনামুল হকের অশ্লীল ফোনালাপ ফাঁস হয়েছে। ওই তরুণীর একটি ভিডিও বক্তব্যও সামাজিক মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। এতে তিনি স্বীকার করেছেন, এমপি এনামুলের সঙ্গে তাঁর সাত বছর ধরে সম্পর্ক ছিল। তবে একদিন পরই আরেক ভিডিওতে ওই তরুণী দাবি করেছেন, এমপি এনামুলের রাজনৈতিক প্রতিপক্ষরা তাকে দিয়ে এসব কথা বলিয়েছিলেন। এমপি এনামুল ভাল মানুষ।
তবে ওই তরুণীর প্রথম ভিডিওটি ভাইরাল হওয়ার পর একটি ফোন রেকর্ডও ছড়িয়ে পড়ে অনলাইনে। এতে ওই তরুণীর সঙ্গে এমপি এনামুলের মতো কণ্ঠস্বরের এক ব্যক্তিকে মোবাইল ফোনে কথা বলতে শোনা যাচ্ছে। অশ্লীল এই ফোনালাপ বাগমারা উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এমপি এনামুল হকের বলেই দাবি করা হচ্ছে। এ নিয়ে তার শাস্তির দাবিতে বুধবার মানববন্ধন কর্মসূচিও পালিত হয়েছে। বেলা ১১টায় ‘সচেতন বাগমারাবাসী’ লেখা ব্যানার নিয়ে রাজশাহী মহানগরীর আলুপট্টি মোড়ে এ কর্মসূচি পালিত হয়।
মানবন্ধন কর্মসূচিতে বক্তারা বলেন, গত সোমবার ফেসবুকে এক তরুণীর সঙ্গে মোবাইল ফোনে এমপি এনামুলের কথোপকথনের একটি অশ্লীল অডিও ভাইরাল হয়েছে। ভাইরাল হওয়া এই অশ্লীল অডিওতে যিনি কথা বলছেন, সেই কণ্ঠস্বর এমপি এনামুলেরই। তারা বলেন, এর আগে ৫ এপ্রিল ৫ মিনিট ১১ সেকেন্ডের একটি ভিডিও কলের ভিডিও ভাইরাল হয়েছিল। সেই ভিডিওতে অন্য এক তরুণীর সঙ্গে এমপি এনামুলকে অশ্লীল ভাষায় কথা বলতে দেখা গেছে। তাই একজন আইন প্রণেতার এমন চরিত্র আমাদের কারও কাম্য নয়। এমন একজন ব্যক্তিকে আগামীতে যেন জাতীয় সংসদ নির্বাচনের মনোনয়ন দেওয়া না হয়।
বক্তারা অভিযোগ করেন, ‘সরকারি চাকরি দেয়ার নাম করে এবং বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে অনেক তরুণী ও নারীর সঙ্গে অসামাজিক কার্যকলাপে লিপ্ত হয়েছেন এমপি এনামুল। তার কারণে বাগমারাবাসী দেশের কোথাও মুখ দেখাতে পারে না। এজন্য তারা তার শাস্তি দাবি করছেন।
মানববন্ধনে অন্যদের মধ্যে বাগমারা উপজেলার আউচপাড়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক শহিদুল ইসলাম শহীদ, গোবিন্দপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি এম.এম এনামুল হক, আউচপাড়া ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের সভাপতি হাফিজুর রহমান, রাজশাহী জেলা মৎসজীবী লীগের দপ্তর সম্পাদক আবু রায়হান, আউচপাড়া ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মো. রেজাউল করিম প্রমুখ বক্তব্য রাখেন। কর্মসূচিতে বাগমারা উপজেলার বিভিন্ন শ্রেণিপেশার কয়েক শত মানুষ অংশগ্রহণ করেন।
এ বিষয়ে জানতে কথা বলতে এমাপি এনামুল হকের মুঠোফোনে একাধিকবার ফোন করা হলেও তিনি ধরেননি। তাই তার বক্তব্য পাওয়া যায়নি। এর আগে ভাইরাল হওয়া ভিডিও প্রসঙ্গে এনা গ্রুপের এই কর্ণধার বলেছিলেন, তার আইডি হ্যাক করে কেউ ভিডিওটি বানিয়েছে।