অনলাইন ডেস্ক : বিএনপি চাইলে তাদের কার্যালয়ে কার্যক্রম চালাতে পারবে বলে জানিয়েছেন ডিএমপি কমিশনার হাবিবুর রহমান। আজ মঙ্গলবার সকালে বিএনপির অবরোধে নাশকতা ও অগ্নিসংযোগের ঘটনায় আহত রোগীদের দেখতে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউট পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা জানান।
ডিএমপি কমিশনার বলেন, ‘বিএনপি চাইলে তাদের কার্যালয়ে সকল কার্যক্রম চালাতে পারবে। আমাদের কোনো বাধা নেই।’
বিএনপির কার্যালয় পুলিশ ঘিরে রেখেছে। নির্বাচন একদিকে ঘনিয়ে আসছে, আরেকদিকে বিএনপির প্রধান কার্যালয়ে তালা ঝুলছে, এটি কতটা যুক্তিসংগত—এমন প্রশ্নের জবাবে ডিএমপি কমিশনার বলেন, ‘বিএনপির কার্যালয়ে তারাই তালা ঝুলিয়ে রেখেছে এবং তারা এখানে আসে না। তারা কেন আসে না এটা তারাই ভালো বলতে পারবে। আমাদের পুলিশ সেখানে সব সময়ই থাকে। একেবারে ১২ মাসই সেখানে পুলিশ প্রহরায় নিয়োজিত থাকে। আমরা এরই ধারাবাহিকতায় সেখানে পুলিশের পাহারা রেখেছি।’
অবরোধে আগুনের ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্তদের আর্থিক সহায়তার আশ্বাস দিয়ে ডিএমপি কমিশনার বলেন, ‘নাঈম নামের একজন বাস চালকের সহকারীকে পুড়িয়ে হত্যা করা হয়েছে এবং তাঁর সঙ্গে একজনসহ আরও অনেকে মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছে। নৃশংসতা ও রাজনীতি কিন্তু সম্পূর্ণ বিরোধী। কিন্তু তারপরও এগুলো আমরা দেখছি। আহতদের পুলিশের পক্ষ থেকে আমরা দেখতে এসেছি। সমবেদনা জানাতে এসেছি। আমরা এখানে বাস শ্রমিকদের আর্থিক সহযোগিতা দেওয়ার কথা চিন্তা করছি।’
এসব নৃশংসতা যারা ঘটিয়েছে তাঁদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণের সকল প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ইতিমধ্যে হাতেনাতে ১৩ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। অন্যান্য আরও কয়েকজনসহ অগ্নিসংযোগের সঙ্গে জড়িত মোট ১৯ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। যারা এই কর্মকাণ্ড ঘটিয়েছে তারা যেখানেই লুকিয়ে থাকুক তাদের কাউকেই ছাড় দেওয়া হবে না।
এক প্রশ্নের জবাবে ডিএমপি কমিশনার বলেন, ‘অবরোধের পুরো সময়ে দিন-রাত পুলিশ রাস্তায় আছে। সাধারণ মানুষের নিরাপত্তায় কাজ করছে। বাসের মালিক-শ্রমিকেরা আমাদের সঙ্গে রয়েছে। স্থানীয় মানুষ আমাদের সহযোগিতা করছে। পুলিশ যথাযথভাবে কাজ করছে। যে হামলাগুলো হচ্ছে সেগুলো চোরাগোপ্তা হামলা। পার্কিং করা গাড়িতে হামলা করা হচ্ছে। এ সকল হামলা বন্ধে পুলিশ কাজ করছে। মাঠ পর্যায়ে আমরা বিভিন্ন নির্দেশনা দিয়েছি। ফলে জনগণের সহযোগিতায় অনেককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আমি মনে করি, এদের রুখে দেওয়ার জন্য পুলিশের সঙ্গে সকলের এগিয়ে আসা উচিত। আরও সহযোগিতা আমরা চাই। চোরাগোপ্তা নাশকতা সহজেই মুক্ত করতে পারব।’