• ঢাকা, বাংলাদেশ
  • ১২ই এপ্রিল, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
  • নিবন্ধিত অনলাইন নিউজ পোর্টাল
  • somoyerkotha24news@gmail.com
  • +880-1727-202675

গোদাগাড়ীতে নাচে-গানে নবান্ন উৎসব পালন

প্রকাশ: বৃহস্পতিবার, ১৬ নভেম্বর, ২০২৩ ১১:১৩

গোদাগাড়ীতে নাচে-গানে নবান্ন উৎসব পালন

স্টাফ রিপোর্টার: ধান কাটার প্রতিযোগিতা। কান্তপাশা চৈতন্যপুর আর ভিকারপাড়া গ্রামের তিনটি দল প্রস্তুত। প্রতি দলে পাঁচজন নারী। বাঁশি বাজার সঙ্গে সঙ্গে যন্ত্রের মতো দ্রুতগতিতে তারা ধান কাটতে শুরু করলেন। ৪ মিনিট ২ সেকেন্ডে ২৫ হাত লম্বা খেতের ধান কেটে সাবাড় করলেন ক্লান্তপাশা গ্রামের রোজিনার দল। এভাবে প্রথম স্থান অধিকারের পুরষ্কার জিতল দলটি।
রাজশাহীর গোদাগাড়ী উপজেলার এই গ্রামের অধিকাংশ মানুষ সাঁওতাল ভাষাভাষীর দরিদ্র চাষী। রাজশাহী শহর থেকে গিয়ে এই গ্রামে নতুন নতুন ফসলের চাষ করেন কৃষক মনিরুজ্জামান। তারই উদ্যোগে প্রতিবছর এই গ্রামের মানুষ নবান্ন উৎসব করে থাকেন। এবারও তার ব্যতিক্রম হয়নি। বৃহস্পতিবার বিকালে নাচে-গানে এখানে নবান্ন উৎসব হয়েছে।
নবান্ন উৎসবে সাঁওতালি ভাষার গানের তালে তালে ছিল কিশোরীদের নাচ। ছিল ধান কাটার প্রতিযোগিতা। প্রথম স্থান অধিকার করা দলটি পুরস্কার হিসেবে পেয়েছে নতুন শাড়ি। অনুষ্ঠানে অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উদ্ভিদবিজ্ঞানী এম. মনজুর হোসেন, অভিযাত্রী তারেক অণু, গোদাগাড়ী উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মরিয়ম আহমেদ ও রাজশাহীর রিভারভিউ কালেক্টরেট স্কুলের প্রধান শিক্ষক মনোরা পারভিন।
উৎসবে নওগাঁর কৃষক হাসান জামান সিদ্দিকীকে এবার নবান্ন সম্মাননা দেওয়া হয়েছে। তিনি বাংলার হারিয়ে যাওয়া ধান পুনরুদ্ধার করে পতিত জমিতে নতুন করে চাষের উদ্যোগ নিয়েছেন। এতে পতিত জমিতে নতুন করে আবাদ শুরু হয়েছে। এই অবদানের জন্য চৈতন্যপুরে এই নবান্ন উৎসবে তাকে এ সম্মাননা দেওয়া হয়। হাসান জামান সিদ্দিকী বলেন, গ্রামের মানুষের ভালোবাসা পেয়ে তিনি অত্যন্ত খুশি হয়েছেন। এই ভালোবাসাই তার পুরস্কার।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মরিয়ম আহমেদ বলেন, নবান্নর অর্থ নতুন অন্ন। প্রতিবছর অগ্রহায়ন মাসের এই তারিখে ধান কাটার প্রতিযোগিতার মাধ্যমে এই উৎসবটি পালন করা হয়। এখানে আসলেই প্রতিবছর নবান্নের আমেজ উপভোগ করা যায়। তথ্যপ্রযুক্তির যুগে আমরা এই উৎসবকে হারিয়ে ফেলেছি। কৃষক মনিরুজ্জামানের উদ্যোগে এই গ্রামের মানুষ এই উৎসবকে আবার ফিরে পেয়েছে। প্রতিবছরই যেন এখানে এই উৎসবের আয়োজন করা হয়।
আয়োজন সম্পর্কে কৃষক মনিরুজ্জামান বলেন, ‘মাঠের কাজে আমরা সারাবছর কষ্ট করি। এই একটা দিন উৎসব করি। উৎসবের দিনে মাঠ থেকে কৃষক দৌড়ে আসে। এইটুকু আনন্দ দিতে পারাটাই আমার জন্য অনেক বড় পাওয়া বলে মনে হয়। কাজেই আমি যতদিন বেঁচে থাকব, কৃষকদের এই উৎসবটা আমি চালিয়ে যাব নিজের মতো করেই।’

সর্বশেষ সংবাদ

 

রাজনীতি-এর আরও সংবাদ

 



সম্পাদক ও প্রকাশক : ইয়াকুব শিকদার

ঢাকা অফিস: ১২১,ডি.আই.টি, এক্সটেনশন রোড, ফকিরাপুল, মতিঝিল, ঢাকা-১০০০। রাজশাহী অফিস: বহরমপুর (সিটি বাইপাস), জিপিও-৬০০০, রাজপাড়া, রাজশাহী। ই-মেইল: somoyerkotha24news@gmail.com, মোবাইল: 01727202675