ভারতের দর্শকদের স্তব্ধ করে কথা রাখলেন কামিন্সরা

ভারতের দর্শকদের স্তব্ধ করে কথা রাখলেন কামিন্সরা

অনলাইন ডেস্ক: ‘মনে হচ্ছে বিশ্বকাপ ফাইনাল হচ্ছে ফাঁকা মাঠে। ভারতের দর্শকদের জন্য লজ্জা’-ইংল্যান্ডের সাবেক ক্রিকেটার ও ধারাভাষ্যকার নাসের হুসেন কিছুক্ষণ আগেই স্কাই স্পোর্টসে এমনটা বলেছেন।

ঘরের মাঠে বিশ্বকাপ, তার ওপর ফাইনালে লড়ছে স্বাগতিক দল। দীর্ঘদিন পর আরেকটি শিরোপা জয় দেখার প্রার্থনায় গোটা ভারত। যার একটি অংশ আজ আহমেদাবাদের নরেন্দ্র মোদি স্টেডিয়ামে হাজির হয়েছেন। বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ এই ভেন্যুর ধারণক্ষমতার হিসাবে দেখা হলে— খ্যাটা হতে পারে এক লাখ ৩০ হাজার।

তবে বাস্তবে নিশ্চিতভাবেই সংখ্যাটা আরও বেশি হবে। নীল সমুদ্রে যেন ভাসছিল আহমেদাবাদ। তবে এই সমুদ্রসম দর্শকদের নিস্তব্ধ করার কথা আগেই জানিয়ে রেখেছিলেন অস্ট্রেলিয়া অধিনায়ক প্যাট কামিন্স। দারুণ পারফরম্যান্সে মাঠে আজ ঠিকই দর্শকদের চুপ করিয়ে দিলেন। অন্তত বাংলাদেশ সময় রাত ৯টায় এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত।

আরও পড়ুনঃ  ঢাকায় এসে নামল জিম্বাবুয়ে দল

আগুনে বোলিংয়ে কোহলি-রোহিতদের শক্তিশালী ব্যাটিং অর্ডারকে আড়াইশ’র আগেই আটকে দেন স্টার্ক-হ্যাজলউডরা। ২৪১ রানের টার্গেটে ব্যাট করতে নেমে শুরুর দিকে কিছুটা বিপর্যয়ে পড়লেও ঠিকই সামলে নিয়েছে পাঁচবারের বিশ্বচ্যাম্পিয়নরা। স্বাগতিকদের সত্যিকারের মাথাব্যথা হয়ে উঠেছেন অস্ট্রেলিয়ার হেড (ট্র্যাভিস হেড)। মারনাশ লাবুশেনের সঙ্গে জুটি গড়ে দলকে জয়ের দিকে এগিয়ে নিচ্ছেন।


রেকর্ড ষষ্ঠ শিরোপা জিততে অজিদের প্রয়োজন আর মাত্র ৭৬ রান। হাতে আছে এখনো সাত উইকেট। ওভার আছে ২১টি। কোনো অঘটন না ঘটলে জয়ের দিকেই এগোচ্ছে তারা। ভারতের মাঠে শক্তিশালী প্রতিপক্ষ ছাড়াও বাকি দলগুলোর বড় প্রতিপক্ষ ভারতের সমর্থকরা। স্বাগতিকদের ম্যাচ মানেই কানায় কানায় পূর্ণ গ্যালারি। এই গ্যালারির চাপেই ভরাডুবি ঘটেছিল বাকি দলগুলোর। ফাইনালে অস্ট্রেলিয়ার সামনেও পথের কাটা হতে পারতো তারা। তবে গ্যালারির নীল সমুদ্র সামলানোর কথা আগেই জানান অজি কাপ্তান প্যাট কামিন্স।

আরও পড়ুনঃ  যে কারণে নেইমারদের দায়িত্ব নিতে অনাগ্রহী আর্জেন্টাইন কোচ

গতকাল সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেছিলেন, ‘আমাদের এটিকে (বিশাল দর্শক) সাদরে গ্রহণ করতে হবে। এখানকার দর্শক অবশ্যই ভারতের পক্ষে থাকবে। তবে এমন বিশাল দর্শককে চুপ করিয়ে দিতে পারার চেয়ে স্বস্তির কিছু হতে পারে না। কাল এটাই আমাদের লক্ষ্য থাকবে। আমাদের এটিকে মেনে নিতে হবে। ফাইনালের যেকোনো পরিস্থিতিই মেনে নিতে আমরা প্রস্তুত। রাতে অনেক চিৎকার-চেঁচামেচি হবে। এখানে উল্লাসে ভেসে যাওয়া যাবে না। আপনাকে এর জন্য প্রস্তুত থাকতে হবে। তাহলেই ভালো করতে পারবেন। চেষ্টা করতে হবে কোনো দুঃখ ছাড়াই যেন শেষ করতে পারেন।’

Share

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *