ঈশ্বরদী প্রতিনিধি পাবনার ঈশ্বরদী জংশন স্টেশন থেকে ঢাকামুখী আন্তনগর দুটি ট্রেন প্রত্যাহার করে নেওয়ার পর যাত্রীদের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে মাত্র একটি ট্রেনের যাত্রাবিরতির সিদ্ধান্ত নিয়েছে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ। তবে জংশন স্টেশন দিয়ে নয়, যাত্রীবাহী এই ট্রেনের যাত্রাবিরতি দেওয়া হবে ঈশ্বরদী বাইপাস স্টেশনে। ট্রেনটি হলো রাজশাহী-ঢাকা চলাচলকারী ধূমকেতু এক্সপ্রেস।
একই সঙ্গে মধুমতি এক্সপ্রেস ট্রেনটি রাজশাহী থেকে ছেড়ে ভাঙ্গা হয়ে ঢাকা পর্যন্ত চলাচলের সিদ্ধান্ত হয়েছে। আগামী ১ ডিসেম্বর থেকে যাত্রীরা এই ট্রেনে চড়ে পদ্মা সেতু হয়ে ঢাকায় যেতে পারবে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন পাকশী বিভাগীয় রেলওয়ে ম্যানেজার (ডিআরএম) শাহ সূফি নুর মোহাম্মদ।
রেল সূত্রে জানা গেছে, অক্টোবর থেকে পদ্মা সেতুর ওপর দিয়ে চলাচলের জন্য সুন্দরবন ও বেনাপোল এক্সপ্রেস যাত্রীবাহী আন্তনগর ট্রেন দুটির ঈশ্বরদী জংশন স্টেশন থেকে রুট পরিবর্তন করা হয়। আগে সুন্দরবন খুলনা থেকে ছেড়ে ঈশ্বরদী ও বেনাপোল এক্সপ্রেস যশোরের বেনাপোল থেকে ছেড়ে ঢাকার মধ্যে চলাচল করত। নভেম্বর থেকে ট্রেন দুটির রুট পরিবর্তন করা হয়। বর্তমানে পদ্মা সেতু দিয়ে ওই দুটি ট্রেন ঢাকায় চলাচল করছে।
পাকশী বিভাগীয় রেলওয়ে ব্যবস্থাপক (ডিআরএম) শাহ সূফি নুর মোহাম্মদ এ প্রসঙ্গে বলেন, ঈশ্বরদী বাইপাস স্টেশনে ধূমকেতু ও পঞ্চগড় এক্সপ্রেস ট্রেনের যাত্রাবিরতির জন্য পশ্চিমাঞ্চল রেল থেকে সম্প্রতি একটি প্রস্তাব পাঠানো হয় রেল ভবনে। যাত্রীদের সুবিধার্থে রেল ভবন দুটি ট্রেনের মধ্যে ঈশ্বরদী বাইপাস স্টেশনে একটি ট্রেনের যাত্রাবিরতির সিদ্ধান্ত নিয়েছে। আগামী ১ ডিসেম্বর থেকে রাজশাহী-ঢাকার মধ্যে চলাচলকারী ধূমকেতু এক্সপ্রেস ট্রেনটির যাত্রাবিরতি রাখা হয়েছে ঈশ্বরদী বাইপাস স্টেশনে। যাত্রীরা ওই স্টেশন থেকে ঢাকায় যাতায়াত করতে পারবেন।
ঈশ্বরদী জংশন স্টেশনে ট্রেন দুটি উঠিয়ে নেওয়ায় এ অঞ্চলের মানুষ চরম বিড়ম্বনায় পড়েন। ক্ষুব্ধ হন ঈশ্বরদীবাসী। ওই সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ জানিয়ে ‘ঈশ্বরদীর সচেতন নাগরিক’ ও আমরা ঈশ্বরদীবাসীর ব্যানারে মানববন্ধন, পথসভা অনুষ্ঠিত হয়। তাঁরা রুট পরিবর্তন না করে ট্রেন দুটি আগের নিয়মানুযায়ী এবং ঈশ্বরদী স্টেশন প্ল্যাটফর্মে নতুন আরও দুটি ট্রেনের যাত্রাবিরতির দাবি জানান।