• ঢাকা, বাংলাদেশ
  • শুক্রবার ২৪ জানুয়ারি ২০২৫, ১০ মাঘ ১৪৩১
  • নিবন্ধিত অনলাইন নিউজ পোর্টাল
  • newsgonodhoniprotidin@gmail.com
  • +88-01727-202675

শহীদ মীর আব্দুল কাইয়ূমকে স্মরণ

স্টাফ রিপোর্টার: রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) শহীদ শিক্ষক মীর আব্দুল কাইয়ূমের স্মরণসভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। এই উপলক্ষে শনিবার সকালে রাবি শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিফলকে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক মো. হুমায়ুন কবীর। পরে মনোবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষক-শিক্ষার্থীবৃন্দ পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন। এসময় বিশিষ্ট শিক্ষকসহ অন্যরা উপস্থিত ছিলেন।

পরে সকাল ৯:৪৫ মিনিটে শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ সিনেট ভবনে অনুষ্ঠিত হয় স্মরণসভা। এই সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক মো. হুমায়ুন কবীর। শহীদ মীর আব্দুল কাইয়ূমের কন্যা মনোবিজ্ঞান বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক মাহবুবা কানিজ কেয়ার সভাপতিত্বে এই অনুষ্ঠানে মূখ্য আলোচক হিসেবে রাবির সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক আব্দুল খালেক ও সম্মানিত অতিথি হিসেবে শহীদ জায়া অধ্যাপক মাসতুরা খানম উপস্থিত ছিলেন।

অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন মনোবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক আঞ্জুমান শিরীন ও শহীদের জীবনালেখ্য পাঠ করেন অধ্যাপক মো. নূর-ই-আলম সিদ্দিকী। এই অনুষ্ঠানে বীর মুক্তিযোদ্ধা মনসুর আহমদ খানকে মরনোত্তর শহীদ মীর আব্দুল কাইয়ূম সম্মাননা প্রদান করা হয়। আলোচনায় অন্যদের মধ্যে বিশিষ্ট সাংবাদিক সফি উদ্দিন আহমদ ও ওয়ালিউর রহমান বাবু, অধ্যাপক মলয় ভৌমিক, অধ্যাপক রুহুল আমিন প্রামাণিক, বীর মুক্তিযোদ্ধা মোস্তাফিজুর রহমান খান আলম, অধ্যাপক নূরুল হোসেন চৌধুরী, অধ্যাপক সুব্রত মজুমদার, অধ্যাপক আফসার উদ্দিন, বীর মুক্তিযোদ্ধা অধ্যাপক মু. শামসুল আলম বীরপ্রতীক প্রমুখ স্মৃতিচারণ করেন।

স্মরণসভাটি সঞ্চালনা করেন মনোবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী নাহিদা সরকার নিরা ও উম্মে হাবীবা অনন্যা। মূখ্য আলোচক রাবির সাবেক উপাচার্য বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ প্রফেসর আব্দুল খালেক বলেন, শহীদ কাইয়ুম ১৯৬০-৬২ সালে মনোবিজ্ঞান বিভাগে ছাত্র ছিলেন আমিও এই সময় বাংলা বিভাগের ছাত্র ছিলাম। তিনি ও আমি ১৯৬৪ সালে শিক্ষকতায় যোগ দেই। সেখান থেকে ১৯৭১ সাল পর্যন্ত একসাথে কাজ করেছি।

তিনি আরো বলেন, ১৯৬০-৭০ সালের সময়ে দেশের যে রাজনৈতিক বিভাজন, সেটা রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের মধ্যে এখনকার মতো ছিল না। ’৬৯ সালে আমারা ড. জোহাকে হারাই। তিনি আমাদের প্রথম শহীদ বুদ্ধিজীবী। তার হত্যাকে কেন্দ্র করে ’৬৯ এর গণঅভ্যুত্থান হয়েছিল।

তিনি আরো বলেন, শহীদ কাইয়ূমের রক্তের বিনিময়ে আমারা আমাদের পতাকা পেয়েছি, স্বাধীনতা পেয়েছি। তিনি শেষে বলেন আজকের এই দিনে শহীদ কাইয়ূমের কথা বলতে গেলে আমি আবেগপ্রবণ হয়ে যায়। মীর আব্দুল কাইয়ূমের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে তাঁর বক্তব্য শেষ করেন।

প্রধান অতিথি রাবির উপ- উপাচার্য (শিক্ষা) মো. হুমায়ুন কবীর বলেন, দেশের বিভিন্ন আন্দোলন-সংগ্রামে বুদ্ধিজীবী সমাজ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। বুদ্ধিজীবী হলো তাঁরা যাঁরা সমাজের উন্নয়ন-অগ্রগতিতে নিজেদের মেধা ও মননকে কাজে লাগিয়ে সমাজকে এগিয়ে নিয়ে যান। একজন মানুষের মাথা কেটে দিলে যেমন কিছু থাকে না, তেমনি আমাদের মাথা আমাদের বুদ্ধিজীবীদের হত্যা করে দেশকে পঙ্গু করার চক্রান্ত করা হয়েছিল। স্বাধীনতায় যাদের অবদান আছে তাদের সম্পর্কে আমাদের তরুণ প্রজন্মকে জানতে হবে। যাদের জন্য আমারা ভাষা পেয়েছি, স্বাধীনতা পেয়েছি তাঁদের প্রতি শ্রদ্ধা থাকতে হবে।

শহীদ জায়া অধ্যাপক মাসতুরা খানম বলেন, আমি বেদনার স্মৃতি নিয়েই বেঁচে আছি। আমার কাছে বেদনার স্মৃতিই হলো অহংকার। আমার এই স্মৃতি প্রেরণার উৎস। শহীদ মীর কাইয়ূম সবার কাছে প্রিয় ব্যক্তি ছিলেন। দেশের জন্য যাঁরা প্রাণ দিয়েছেন তাঁদের সকলের প্রতি শ্রদ্ধার পাশাপাশি শহীদ কাইয়ূমের প্রতিও শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেন।

Leave a comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *


সম্পাদক ও প্রকাশক : ইয়াকুব শিকদার

ঢাকা অফিস: ১২১,ডি.আই.টি, এক্সটেনশন রোড, ফকিরাপুল, মতিঝিল, ঢাকা-১০০০। রাজশাহী অফিস: বহরমপুর (সিটি বাইপাস), জিপিও-৬০০০, রাজপাড়া, রাজশাহী। ই-মেইল: somoyerkotha24news@gmail.com, মোবাইল: 01727202675