অনলাইন ডেস্ক : নির্বাচনের ট্রেনের যে যাত্রা শুরু হয়েছে তা কারোর বাধায় থামবে না বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।
আর ভোটের মাঠে আওয়ামী লীগ মনোনীত যেসব প্রার্থী আচরণবিধি লঙ্ঘন করছেন তাদের দায় দল নেবে না বলেও মন্তব্য করেছেন তিনি।
শুক্রবার দুপুরে ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন ওবায়দুল কাদের।
তিনি বলেন, ‘নির্বাচনের ট্রেন চলছে। এ ট্রেন কারো বাধায় থামবে না। গন্তব্যে না পৌঁছা পর্যন্ত নির্বাচনের ট্রেন চলবে এবং নির্বাচন হবে।’
নির্বাচন কমিশনের তফসিল অনুযায়ী, ভোট হবে আগামী ৭ জানুয়ারি। আর বৃহস্পতিবার শেষ হয়েছে রিটার্নিং অফিসার ও সহকারী রিটার্নিং অফিসারের কাছে মনোনয়নপত্র জমা।
দেশে নিবন্ধিত ৪৪টি রাজনৈতিক দলের মধ্যে ৩০টেই নির্বাচনে অংশ নিয়েছে। ৩০০ আসনে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন দুই হাজার ৭৪১ জন প্রার্থী।
ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘জনগণের অংশগ্রহণকে উৎসবমুখর নির্বাচন বলে। নির্বাচনে জনগণের অংশগ্রহণই মূল লক্ষ্য আওয়ামী লীগের।’
আর দীর্ঘদিন পর নির্বাচন ঘিরে দেশে উৎসবমুখর পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
নির্বাচনের তফসিল প্রত্যাখ্যান করে সরকার পতনের এক দফা দাবিতে সহিংস কর্মসূচি চালিয়ে যাচ্ছে বিএনপি। ভোট প্রতিহতেরও ঘোষণা দিয়েছে দলটি।
আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, বিএনপি নামে একটি দল আজকে সহিংসতা, সন্ত্রাস, অগ্নি-সন্ত্রাস করে এই নির্বাচনকে বাধা দেওয়ার চক্রান্ত করছে। এখন আবার তারা নতুন করে আন্দোলনের কথা বলছে।
তবে বিএনপি নির্বাচনে না এলেও দলটি থেকে পদত্যাগ করে অনেকেই বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের ব্যানারে নির্বাচনে অংশ নিয়েছেন।
বৃহস্পতিবারই বিএনপি ছেড়ে আওয়ামী লীগে যোগ দিয়ে প্রার্থী হয়েছেন দলটির ভাইস চেয়ারম্যান ও সাবেক মন্ত্রী মুহাম্মদ শাহজাহান ওমর।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, বিএনপি নেতার যদি আওয়ামী লীগ করতে ভালো লাগে তাহলে আমরা বাধা দিবো কেনো। নির্বাচন একটা কৌশল। নির্বাচনে কৌশল নিতেই পারে আওয়ামী লীগ।
‘৩০ টি নিবন্ধিত দল নির্বাচনে অংশ নিচ্ছে। এটা বিরাট সাফল্য।। বিএনপির ১৫ জন কেন্দ্রীয় নেতা ও ৩০ জন সাবেক সংসদ সদস্য নির্বাচনে অংশ নিচ্ছেন।’
এদিকে নির্বাচনের আচরণবিধি লঙ্ঘনের বেশ কয়েকজন প্রার্থীতে কারণ দর্শানোর নোটিশ দিয়েছে নির্বাচন কমিশন। এদের মধ্যে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সরকারের চারজন মন্ত্রীও রয়েছেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, যারা আচরণবিধি লঙ্ঘন করছেন, সে দায় প্রার্থীর। আওয়ামী লীগ দায় নেবে না।