স্টাফ রিপোর্টার: আটবার বিভিন্ন নির্বাচনে অংশ নিয়েছেন ইসরাফিল বিশ্বাস। ভোটের ফলাফলে হারিয়েছেন জামানত। তারপরও প্রার্থী হওয়ার ‘ভূত’ নামেনি তার মাথা থেকে। এবার পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর আসনে তাঁর সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে চান ৬০ বছর বয়সী ডেকোরেটর ব্যবসায়ী ইসরাফিল। অবশ্য যাচাই-বাছাইয়ে রিটার্নিংকর্মকর্তাতার মনোনয়ন পত্র বাতিল করেছেন। তবে আপিলের মাধ্যমে প্রার্থিতা ফিরে পাবার প্রত্যাশা তার।
ইসরাফিল বিশ্বাসের বাড়ি রাজশাহীর বাঘা উপজেলার চক আহম্মদপুর গ্রামে। বাঘা বাজারে তার ছোট একটি ডেকোরেটরের দোকান আছে। পড়াশোনা করেছেন পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত। নির্বাচন করাই নেশা তার। ১৯৯৬ সাল থেকে বিভিন্ন পর্যায়ের নির্বাচনে অংশ নিচ্ছেন তিনি। বাজার কমিটির নির্বাচন থেকে শুরু করে ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান, পৌরসভার মেয়র পদেও নির্বাচনে অংশ নিয়েছেন। তবে একবারও জয়ের মালা ওঠেনি তার গলায়। এ কারণে তিনি থেমেও যাননি।এবার জাতীয় সংসদ নির্বাচনে রাজশাহী-৬ (বাঘা-চারঘাট) আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে মনোনয়নপত্র দাখিল করেন ইসরাফিল বিশ্বাস।
বারবার নির্বাচন করতে গিয়ে ইসরাফিল আর্থিক ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। এরপরও নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ার ভূত নামেনি মাথা থেকে। ভোটে না জিতলেও এলাকাবাসীর কেউ তাকে ‘মেম্বার’, কেউ ‘চেয়ারম্যান’নামে তাকে ডেকে থাকেন মজা করে। এবার সংসদ নির্বাচনের মনোনয়ন পত্র বাতিল হলেও আপিল করার প্রস্তুতি নিচ্ছেন তিনি।
ইসরাফিল বিশ্বাস জানান, তার বাবা স্বাধীনতা-পরবর্তী টানা ১৯ বছর ইউপি সদস্য ছিলেন। তাই তিনিও জন প্রতিনিধি নির্বাচিত হয়ে এলাকার মানুষের সেবা করতে চান। আর্থিক সচ্ছলতা না থাকায় আত্মীয়-স্বজনদের কাছ থেকে টাকা ধার নিয়ে দ্বাদশ জাতী য়সংসদ নির্বাচনের প্রার্থী হতে মনোনয়ন পত্র জমা দেন। কিন্তু রিটার্নিং কর্মকর্তা যাচাই-বাছাই শেষে তার মনোনয়ন পত্র বাতিল করে দেন। তিনি এখনো আশা না হারিয়ে আপিলের প্রস্তুতি নিচ্ছেন।
ইসরাফিল বলেন, ‘আমি ঢাকায় গিয়ে আপিল করব। এ জন্য টাকা-পয়সা জোগাড় করছি।’তিনি বলেন, আপিলের মাধ্যমে মনোনয়নপত্র বৈধ হলে বাঘা-চারঘাটের বর্তমান সংসদ সদস্য শাহরিয়ার আলম ও সাবেক এমপি রাহেনুল হকের সঙ্গে তার ভোটযুদ্ধ জমে উঠবে।