• ঢাকা, বাংলাদেশ
  • শুক্রবার ২৪ জানুয়ারি ২০২৫, ১০ মাঘ ১৪৩১
  • নিবন্ধিত অনলাইন নিউজ পোর্টাল
  • newsgonodhoniprotidin@gmail.com
  • +88-01727-202675

পৌষের শেষে জেঁকে বসেছে শীত

পৌষের শেষে জেঁকে বসেছে শীত

স্টাফ রিপোর্টার : পৌষ মাস শেষের দিকে। আর একদিন পরই শুরু হবে মাঘ মাস। পৌষের শেষে জেঁকে বসেছে শীত। মধ্যরাত থেকে পরেরদিন দুপুর পর্যন্ত থাকছে ঘনকুয়াশায় ঘেরা। ঘনকুয়াশার সঙ্গে উত্তরের হিমেল বাতাস প্রবাহিত হওয়ায় কয়েক দিন ধরেই তাপমাত্রা নিম্নমুখী হতে শুরু করেছে। সর্বোচ্চ ও সর্বনিম্ন তাপমাত্রার ব্যবধান কমে যাওয়ায় তীব্র শীত অনুভূত হচ্ছে। এই তাপমাত্রা আরও কমার সম্ভাবনা রয়েছে।

এদিকে রাত ও দিনে তাপমাত্রা প্রায় কাছাকাছি হওয়ায় দুপুর পর্যন্ত শীত বেশি অনুভূত হচ্ছে। বেলা বাড়ার সাথে সাথে সূর্যের কিছুটা উত্তাপ ছড়ালেও বিকেল হতেই তাপমাত্রা আবারও নিম্নগামী হতে থাকে। গত দুই দিন দুপুর ১২টার আগে সূর্যের দেখা মিলছে না। ফলে সকাল বেলায়ও হেডলাইট জ্বালিয়ে ধীরগতিতে চলাচল করছে যানবাহন।

সিএনজিচালক সুমন জানায়, কুয়াশার কারণে ধীরগতিতে হেডলাইট জ্বালিয়ে গাড়ি চালাতে হয়। এদিকে কনকনে শীতে বিপাকে পড়েছে নিম্নআয়ের খেটে খাওয়া মানুষ। দিনমজুর মজিবর রহমান বলেন, তিন দিন ধরে কুয়াশা পড়ছে, সঙ্গে কনকনে শীত। কাজ করতে খুব অসুবিধা হচ্ছে।
রিকশাচালক কাবিল হোসেন বলেন, শীতের কারণে যাত্রী পাওয়া যায় না। তীব্র শীত আর ঠাণ্ডা বাতাসে রাস্তাঘাটে মানুষজন কম চলাফেরা করছে। বাসায় বাজার নাই, তাই এই কনকনে শীতে গাড়ি বের করেছি। খড়কুটো জ্বালিয়ে অনেকে শীত নিবারণের চেষ্টা করছে।

এদিকে তীব্র শীতের কারণে বোরো ও সবজিখেতে ক্ষতির আশঙ্কা করছেন কৃষকেরা। পবা উপজেলার ধর্মঘটনা গ্রামের কৃষক ইসমাইল হোসেন সুমন বলেন, শীতের কারণে বোরো বীজতলা, আলু, মরিচসহ নানা ফসলের ক্ষতি হচ্ছে। তাছাড়া তাদের জমিতে ফসল উৎপাদনের বিভিন্ন কাজ বন্ধ প্রায়।
তীব্র শীতে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে শ্রমজীবী মানুষের জীবন। মানুষের পাশাপাশি গবাদি পশুও এই শীতে কাহিল হয়ে পড়েছে। প্রচণ্ড শীতের কারণে শিশুসহ বিভিন্ন বয়েসের মানুষের শীতজনিত রোগ ব্যাপক বেড়েছে ।

আবহাওয়া অফিসের হিসেবে, তাপমাত্রা ৮ থেকে ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে নামলে তা মৃদু শৈত্যপ্রবাহ। এ ছাড়া ৬ থেকে ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসকে মাঝারি শৈত্যপ্রবাহ এবং ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচের তাপমাত্রাকে তীব্র শৈত্যপ্রবাহ ধরা হয়। তবে এখনও রাজশাহীতে শৈত্যপ্রবাহ শুরু হয়নি। তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রির নিচে নেমে গেলে তা শৈত্যপ্রবাহ ধরা হবে।

রাজশাহী আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের পর্যবেক্ষক রাজিব খান জানান, গত এক সপ্তাহে রাজশাহীতে গড় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১১ থেকে ১২ ডিগ্রি সেলসিয়াসে উঠানামা করছে। বৃহস্পতিবারের চেয়ে শুক্রবার তাপামাত্রা ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস কমে এসেছে। শুক্রবার জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১০ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস, বাতাসের আর্দ্রতা ৯৫ শতাংশ এবং বাতাসের গতি শূন্য নটস। তাপমাত্রা আরও কমতে পারে। গত বছরের ১৭ ডিসেম্বর এবং চলতি বছরের ৫ জানুয়ারি রাজশাহী অঞ্চলের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে ১০.৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। বলে তিনি জানান। এ হিসেবে আগের দুই দিনের তুলনায় রাজশাহী অঞ্চলের তাপমাত্রা ২-৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত কমেছে।

Leave a comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *


সম্পাদক ও প্রকাশক : ইয়াকুব শিকদার

ঢাকা অফিস: ১২১,ডি.আই.টি, এক্সটেনশন রোড, ফকিরাপুল, মতিঝিল, ঢাকা-১০০০। রাজশাহী অফিস: বহরমপুর (সিটি বাইপাস), জিপিও-৬০০০, রাজপাড়া, রাজশাহী। ই-মেইল: somoyerkotha24news@gmail.com, মোবাইল: 01727202675