স্টাফ রিপোর্টার: রাজশাহীর বাগমারা উপজেলায় হামলায় আহত বন্ধুকে দেখতে এসে খুন হয়েছেন এক তরুণ। তার নাম মো. সোহাগ (২৬)। যশোরের মনিরামপুরে তার বাড়ি। বাবার নাম শরিফ উদ্দিন। সোহাগ ঢাকায় থাকতেন।
শুক্রবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে বাগমারার ঝিকড়া ইউনিয়নের মরুগ্রামে পিটিয়ে ও কুপিয়ে হত্যা করা হয় তাকে। এ ঘটনায় তিনজনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়েছে। জেলা পুলিশের মুখপাত্র ও বিশেষ শাখার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রফিকুল আলম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
স্থানীয় লোকজন জানিয়েছেন, বাগমারার মরুগ্রাম ডাঙ্গাপাড়া গ্রামের আনিসুর রহমানের ছেলে মনাহার ইসলামের (২৬) সঙ্গে সোহাগের বন্ধুত্ব ছিল। ঢাকার মালিবাগে একটি কোম্পানিতে চাকরি করতেন তারা। পরে দুজহনেই চাকরি ছেড়ে দিলেও তাদের বন্ধুত্ব থেকে যায়।
শনিবার সকালে পূর্ব শত্রুতার জের ধরে এলাকার কিছু লোক মনাহারকে পিটিয়ে আহত করেন। খবর পেয়ে সোহাগ তার দুই বন্ধুকে নিয়ে আহত মনাহারকে দেখতে বাগমারা আসেন। বহিরাগত তরুণদের আসতে দেখে সকালে মনাহারকে যারা পেটান, তারা এই তিনজনের ওপরেও হামলা করেন। এ সময় দুজন পালিয়ে প্রাণে বাঁচলেও সোহাগকে পিটিয়ে ও কুপিয়ে হত্যা করা হয়। পরে হামলাকারীরা মনাহার ও তার চাচার বাড়ি ভাঙচুর করেন।
জেলা পুলিশের মুখপাত্র ও বিশেষ শাখার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রফিকুল আলম শনিবার বিকালে জানান, ঘটনাস্থলেই সোহাগের মৃত্যু হয়। পরে লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য রাজশাহী মেডিকেল কলেজের মর্গে পাঠানো হয়। নিহত সোহাগের বাবা ও ভাই এসেছেন। তারা মামলা করার প্রস্তুতি নিচ্ছেন।
তিনি আরও জানান, এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তিনজনকে আটক করা হয়েছে। হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে তাদের সম্পৃক্ততা পাওয়া গেলে তাদের গ্রেপ্তার দেখানো হবে বলেও জানান এই পুলিশ কর্মকর্তা।