অনলাইন ডেস্ক : সাংবাদিকতাকে সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ পেশা হিসেবে মন্তব্য করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ড. আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক।
শনিবার (৯ মার্চ) বিকেলে পিআইবির সেমিনার কক্ষে অনুষ্ঠিত পিআইবি’র সাংবাদিকতায় স্নাতকোত্তর ডিপ্লোমা প্রোগ্রামের ২০২৩-২০২৪ শিক্ষাবর্ষের ওরিয়েন্টেশন প্রোগ্রামে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।
অধ্যাপক আরেফিন সিদ্দিক বলেন, সাংবাদিকতার চ্যালেঞ্জ অনেক বড়। সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ সত্যকে ধারণ করে মিথ্যার সঙ্গে লড়াই করা। তাই সত্য নিয়ে কাজ করলে ঝুঁকি থাকে বেশি। এদিক বিবেচনায় সাংবাদিকতা সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ পেশা।
তিনি বলেন, সাংবাদিকের অন্যতম কাজ বস্তুনিষ্ঠতা। এজন্য সত্যের সঙ্গে যোগাযোগ দক্ষতা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কারণ যে প্রতিবেদকের যোগাযোগ যত ভালো তার প্রতিবেদন তত উন্নততর এবং বস্তুনিষ্ঠ হয়। এছাড়া দর্শক, পাঠক ও শ্রোতার কাছে ততটা গুরুত্ব বহন করে। তাই নবীন ও বিদায়ী শিক্ষার্থীদের এসব বিষয় মাথায় রেখে কাজ করা বাঞ্ছনীয়।
অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্যে পিআইবির মহাপরিচালক জাফর ওয়াজেদ বলেন, সাংবাদিকদের প্রযুক্তিগত দক্ষতা উন্নয়নের পাশাপাশি শব্দ ভাণ্ডার সমৃদ্ধ করা আবশ্যক। নতুবা পাঠক, দর্শক ও শ্রোতা উপযোগী প্রতিবেদন তৈরি দুরূহ হয়ে পড়বে।
নবীন ও বিদায়ী শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, প্রযুক্তিগত দক্ষতা থাকলে খুব সহজে সত্য উদঘাটন করতে পারবে। তাই বর্তমান সময়ের পরিপ্রেক্ষিতে সাংবাদিকদের গুজব প্রতিরোধে ফ্যাক্ট চেকের পাশাপাশি মোবাইল সাংবাদিকতার জ্ঞান আহরণ করা উচিত।
অনুষ্ঠানের বিশেষ অতিথি সিনিয়র সাংবাদিক মানস ঘোষ অপসাংবাদিকতা নিয়ে আলোচনা করেন। তিনি সাংবাদিকতার বিভিন্ন দিগন্ত নিয়ে কথা বলেন। তিনি বলেন, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের তথ্যকে আমরা অনেক সময় নিউজ হিসেবে মনে করি। কোনটি সংবাদ আর কোনটি সংবাদ নয় এই পার্থক্য করার মতো সচেতনতা সৃষ্টি করা সাংবাদিকের কাজ। তাহলে জনমনে বিভ্রান্তিরোধ করা সম্ভব হবে।
পিআইবির পরিচালক মো. জাকির হোসেন বলেন, নিজেদের সমৃদ্ধ করতে প্রশিক্ষণের বিকল্প নেই। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নের প্রেস ইনস্টিটিউট তারই কন্যার হাত ধরে জাতীয় প্রশিক্ষণ কেন্দ্র হিসেবে গড়ে উঠেছে।
অনুষ্ঠানের সভা প্রধান পিআইবি’র পরিচালনা বোর্ডের চেয়ারম্যান এনামুল হক চৌধুরী বলেন, সাংবাদিকতা পেশা একটি মহান পেশা। এই পেশায় কর্মকে যথাযথ মূল্যায়ন করলে সাংবাদিক হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠা করা সম্ভব।
তিনি বলেন, পিআইবির সনদের একটি আলাদা মূল্যায়ন রয়েছে। যারা সনদ পেলেন এবং ভবিষ্যতে পাবেন উভয়ের ক্ষেত্রে এটি প্রযোজ্য এর যথাযথ প্রয়োগ করা।
অনুষ্ঠানে পিআইবি’র অধ্যয়ন শাখার প্রভাষক এবং সাংবাদিকতায় স্নাতকোত্তর ডিপ্লোমা প্রোগ্রামের সমন্বয়কারী শুভ কর্মকারের সমন্বয়ে অনুষ্ঠানে বক্তৃতা করেন পিআইবি’র অধ্যয়ন শাখার সহকারী অধ্যাপক ও মাস্টার্স প্রোগ্রামের সমন্বয়কারী পঙ্কজ কর্মকার ও প্রভাষক লাজিনা আক্তার জ্যাসলিন।
অনুষ্ঠানে পিআইবি’র সাংবাদিকতায় স্নাতকোত্তর ডিপ্লোমা প্রোগ্রামের ৩৪ জন নবীন শিক্ষার্থী ও পূর্ববর্তী ব্যাচের তিনজন কৃতী শিক্ষার্থী এবং তিনজন শ্রেণিকক্ষে সর্বাধিক উপস্থিত শিক্ষার্থীদের সংবর্ধনা দেওয়া হয়।
