অনলাইন ডেস্ক : জামালপুর জেনারেল হাসপাতালে রোগীর মৃত্যু, ৩ চিকিৎসকের ওপর হামলা
জামালপুর ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসকদের অবহেলায় রোগীর মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় রোগীর স্বজনদের হামলায় আহত হয়েছে তিনজন ইন্টার্ন চিকিৎসক। এছাড়াও হাসপাতালের একটি কক্ষ ভাঙচুর করা হয়েছে। সোমবার (১১ মার্চ) দিবাগত রাত সাড়ে ৪টার দিকে জামালপুর জেনারেল হাসপাতালের মেডিসিন ওয়ার্ডে এ ঘটনা ঘটে।
আহত তিন ইন্টার্ন চিকিৎসক হলেন- ডা. মঞ্জুরুল হাসান জীবন, ডা. ফাহমিদুল ইসলাম ফাহাদ ও ডা. তুষার আহমেদ। হামলার পরেই কর্ম বিরতির ডাক দিয়েছেন ইন্টার্ন চিকিৎসকরা। তবে হাসপাতালের চিকিৎসাসেবা স্বাভাবিক রয়েছে।
এদিকে রোগীর মৃত্যুর ৮ ঘণ্টা পর মঙ্গলবার (১২ মার্চ) দুপুর ১২টার দিকে স্বজনদের কাছে মরদেহ হস্তান্তর করেছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, রাত ৩টা ৫০ মিনিটের দিকে পৌরসভার রশিদপুর এলাকার গুল মাহমুদ নামে একজন রোগীকে জরুরি বিভাগ থেকে ভর্তির জন্য পুরুষ মেডিসিন ওয়ার্ডে পাঠানো হয়। সে সময় পুরুষ মেডিসিন ওয়ার্ডের ইন্টার্ন চিকিৎসকরা মহিলা মেডিসিন ওয়ার্ডে একজন রোগীকে দেখছিলেন। কিছুক্ষণ পর সেই চিকিৎসকরা পুরুষ মেডিসিন ওয়ার্ডে ফিরে এসে রোগী গুল মাহমুদকে মৃত ঘোষণা করেন। এরপরই গুল মাহমুদের স্বজনরা তাদের ওপর হামলা চালান এবং একটি কক্ষ ভাঙচুর করেন।
ইন্টার্ন চিকিৎসক ডা. এম এ কাবী সিকান্দর আলম বলেন, হামলার ঘটনায় দোষীদের গ্রেপ্তার ও বিচারের দাবিতে আমরা কর্মবিরতি পালন করছি। যতদিন পর্যন্ত আমাদের দাবি পূরণ না হবে ততদিন পর্যন্ত আমাদের এই কর্মবিরতি চলবে। শুধু শুধু আমাদের চিকিৎসকের ওপর হামলা করবে এটা আমর কখনো মেনে নেব না।
জামালপুর জেনারেল হাসপাতালের সহকারী পরিচালক ডা. মাহফুজুর রহমান সোহান বলেন, চিকিৎসকের ওপর হামলার ঘটনায় আমরা থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করেছি। পুলিশ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।
তিনি আরও বলেন, ইন্টার্ন চিকিৎসকদের কর্মবিরতির জন্য চিকিৎসাসেবার দুর্ভোগ হবে না। সেই ব্যবস্থা আমরা করব।
জামালপুর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ মহব্বত কবির বলেন, এ ঘটনা শুনেই আমরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি এবং দুই পক্ষের সঙ্গে কথা বলেছি। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ অভিযোগ দিয়েছে। তারপর একজনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়েছিল। পরবর্তীতে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে স্থানীয় কাউন্সিলরের জিম্মায় আমরা ছেড়ে দিয়েছি।