মুক্ত গণমাধ্যম কোনো বিকল্প নয়, বরং প্রয়োজন : গুতেরেস

মুক্ত গণমাধ্যম কোনো বিকল্প নয়, বরং প্রয়োজন : গুতেরেস

অনলাইন ডেস্ক : সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতাকে রক্ষা করতে বিভিন্ন দেশের সরকার, বেসরকারি খাত এবং সুশীল সমাজকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়েছেন জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস। বৃহস্পতিবার এক বিবৃতিতে এ আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।

আগামী ৩ মে শুক্রবার বিশ্ব মুক্ত গণমাধ্যম দিবস। এ উপলক্ষে দেওয়া সেই বিবৃতিতে জাতিসংঘের মহাসচিব বলেন, ‘একটি মুক্ত গণমাধ্যম কোনো বিকল্প নয়, বরং এটি প্রয়োজন। আন্তর্জাতিক মুক্ত গণমাধ্যম দিবস প্রতি বছর আমাদের সে কথাই স্মরণ করিয়ে দেয়।’

‘কর্মক্ষেত্রে জবাবদিহিতার মতোই গুরুত্বপূর্ণ গণমাধ্যমের স্বাধীনতা। জবাবদিহিতা না থাকলে যেমন কার্যক্রম ব্যাহত হয়, তেমনি গণমাধ্যমের স্বাধীনতা না থাকলে আমাদের অন্যান্য স্বাধীনতাও থাকে না।’

আরও পড়ুনঃ  তিন দিনের সফরে ট্রাম্পের দুই উপসহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী আসছেন বুধবার

বিবৃতিতে জলবায়ু পরিবর্তন এবং এ সংক্রান্ত সংবাদ প্রকাশের ওপর বিশেষ জোর দিয়ে জাতিসংঘের মহাসচিব বলেছেন, বিশ্ব এখন এক অভূতপূর্ব জলবায়ু বিপর্যয়ের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে এবং এ বিষয়ে যদি গণসচেতনতা না সৃষ্টি হয়, তাহলে পরবর্তী প্রজন্মকে ভুক্তভোগী হতে হবে। আর এই সচেতনতা সৃষ্টিতে মুখ্য ভূমিকায় থাকতে হবে গণমাধ্যমকে।

আরও পড়ুনঃ  ফিলিস্তিনিদের সাথে সংহতি: পাকিস্তানের রাস্তায় বিক্ষোভে লাখো মানুষ

বিবৃতিতে এ ইস্যুতে আন্তোনিও গুতেরেস বলেন, ‘জনগণ যদি আমাদের গ্রহের জলবায়ুগত দুর্দশার ব্যাপারে জানতে পারে, তাহলে তারা সচেতন হবে, আর জনগণ যদি সচেতন হয়, তাহলে বিভিন্ন দেশের সরকারের পক্ষেও জলবায়ু সংক্রান্ত বিভিন্ন নীতি গ্রহণ ও বাস্তবায়ন সহজ হবে।’

‘সংবাদপত্রের ভূমিকা এখানে সবচেয়ে প্রাথমিক এবং গুরুত্বপূর্ণ। সেটি হলো— জনগণকে সচেতন করা। এই কাজটি করতে গিয়েই তারা বিভিন্ন সময়ে হামলা-হয়ানির শিকার হচ্ছেন।’

ইউনেস্কোর বরাত দিয়ে বিবৃতিতে জাতিসংঘের মহাসচিব বলেন, গত ১৫ বছরে পরিবেশ বিষয়ক সাংবাদিকদের লক্ষ্য করে অন্তত ৭৫০টি ছোট-বড় হামলার ঘটনা ঘটেছে।

আরও পড়ুনঃ  ভিসা বাতিল হওয়া অর্ধেকই ভারতীয় শিক্ষার্থী, দাবি কংগ্রেস নেতার

পাশাপাশি গাজায় যুদ্ধপরিস্থিতির মধ্যে সংবাদ সংগ্রহের দায়িত্বে থাকা সাংবাদিকদের নিরাপত্তা নিয়েও উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন গুতেরেস।

বিবৃতিতে এ প্রসঙ্গে তিনি বলেছেন, ‘শুধু যে পরিবেশ বিষয়ক সাংবাদকিরা ঝুঁকিতে রয়েছেন— এমন নয়। বিশ্বজুড়ে সাংবাদিকরা যুদ্ধ ও গণতন্ত্রের সংবাদ সংগ্রহ করতে গিয়ে নিজেদের প্রাণ ঝুঁকিতে ফেলছেন। গাজায় যুদ্ধের সংবাদ সংগ্রহ করতে গিয়ে ইতোমধ্যে প্রাণ হারিয়েছেন উল্লেকযোগ্যসংখ্যক সংবাদকর্মী।

Share

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *