যুদ্ধবিরতি চুক্তির প্রস্তাব মানবে না হামাস

যুদ্ধবিরতি চুক্তির প্রস্তাব মানবে না হামাস

অনলাইন ডেস্ক : ফিলিস্তিনী সংগঠন হামাসের এক সিনিয়র কর্মকর্তা বলেছেন, তারা যুদ্ধবিরতি চুক্তির প্রস্তাব মানবে না। কারণ, এটি সম্পূর্ণভাবে গাজা যুদ্ধের অবসান ঘটাবে না।
ওই কর্মকর্তা অভিযোগ করে বলেছেন, ইসরায়েলী নেতা বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু ব্যক্তিগতভাবে চুক্তিকে বাধাগ্রস্ত করছেন।

কায়রোয় শনিবার কাতার, মিসর ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতাকারীরা হামাসের প্রতিনিধিদলের সাথে বৈঠক করেন। এ সময়ে তারা হামাসের কাছ থেকে যুদ্ধবিরতি প্রস্তাবের প্রতিক্রিয়া সম্পর্কে শোনেন।
প্রস্তাবে ৪০ দিনের যুদ্ধবিরতি এবং ফিলিস্তিনী বন্দীদের মুক্তির বিনিময়ে জিম্মিদের ছেড়ে দেয়ার কথা বলা হয়েছে।

আরও পড়ুনঃ  ফের ইসরায়েলি গণমাধ্যমে বাংলাদেশ, এবার পাসপোর্ট প্রসঙ্গ

কিন্তু শনিবার রাতে হামাসের সিনিয়র ওই কর্মকর্তা বলেছেন, তাদের গ্রুপ কোন অবস্থাতেই এই প্রস্তাবে রাজি হবে না। কারণ, এতে গাজা যুদ্ধের সম্পূর্ণ অবসান এবং সেখান থেকে ইসরায়েলী সৈন্য প্রত্যাহারের বিষয় অন্তর্ভূক্ত নেই।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক হামাসের ঐ কর্মকর্তা আরো বলেছেন, গাজা যুদ্ধের অবসান না ঘটিয়ে চুুক্তির মাধ্যমে ইসরায়েল কেবল জিম্মি মুক্তির বিষয়টি নিশ্চিত করতে চাচ্ছে।
তিনি অভিযোগ করেন, নেতানিয়াহু কেবল ব্যক্তিগত স্বার্থের কারণে একটি চুক্তিতে পৌঁছানোর প্রচেষ্টাকে ব্যক্তিগতভাবে বাধাগ্রস্ত করছে।

আরও পড়ুনঃ  দিল্লিতে অবস্থান বিক্ষোভের পরিকল্পনা চাকরিহারাদের

উল্লেখ্য, এর আগেও গাজায় যুদ্ধবিরতি প্রতিষ্ঠায় আলোচনা চলে। কিন্তু সেটি এক পর্যায়ে থমকে যায়। কারণ, হামাসের দাবি একটি স্থায়ী যুদ্ধবিরতি কিন্তু নেতানিয়াহু বারবার গাজার দক্ষিণাঞ্চলীয় শহর রাফায় অভিযান চালানোর বিষয়ে দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করে আসছেন। রাফাহ বর্তমানে বাস্তুচ্যুত ফিলিস্তিনীদের আশ্রয়স্থল।
আলোচনার সাথে ঘনিষ্ঠভাবে যুক্ত হামাসের সিনিয়র সূত্র থেকে বলা হয়েছে, আলোচনা রোববার পুনরায় শুরু হবে।

আরও পড়ুনঃ  ফিলিস্তিনিদের সাথে সংহতি: পাকিস্তানের রাস্তায় বিক্ষোভে লাখো মানুষ

গত বছরের ৭ অক্টোবর হামাস ইসরায়েলে আকস্মিক হামলা চালায়। ওইদিনই ইসরায়েল গাজায় প্রতিশোধমূলক পাল্টা হামলা শুরু করে। অব্যাহত হামলায় এ পর্যন্ত ৩৪ হাজার ৬৫৪ জন বেসামরিক ফিলিস্তিনী নিহত হয়েছে। এদের অধিকাংশ নারী ও শিশু।

Share

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *