সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি: সিরাজগঞ্জ শহর রক্ষা বাঁধের হার্ড পয়েন্টে ও কাজীপুর উপজেলার মেঘাইঘাট পয়েন্টে যমুনা নদীর পানি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে বইছে। এতে নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত হচ্ছে। ফলে পানিবন্দী হয়ে পড়েছে নিম্নাঞ্চল ও চরাঞ্চলের মানুষেরা। একই সঙ্গে অভ্যন্তরীণ নদ-নদীর পানিও বাড়তে শুরু করেছে।
গত ২৪ ঘণ্টায় (বৃহস্পতিবার সকাল ৬টা থেকে শুক্রবার সকাল ৬টা পর্যন্ত) যমুনা নদীর পানি ৩৮ সেন্টিমিটার বেড়েছে শহর রক্ষা বাঁধ হার্ড পয়েন্টে। ওই পয়েন্টে বিপৎসীমার ৩৮ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে পানি। ফলে জেলার কাজীপুর, সদর, বেলকুচি, চৌহালী ও শাহজাদপুর উপজেলার বেশ কয়েকটি ইউনিয়নের নিম্নাঞ্চল ও চরাঞ্চলের মানুষ বন্যাকবলিত হয়ে পড়েছে। এসব এলাকার রাস্তাঘাট, হাটবাজার, বসতভিটায় পানি উঠে পড়ায় বিপাকে পড়েছেন হাজার হাজার মানুষ। ইতিমধ্যেই জেলার প্রায় ৪০৮ হেক্টর জমির ফসল পানিতে তলিয়ে গেছে।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা শামিনুর ইসলাম বলেন, যমুনায় পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। পানি বিপৎসীমার ওপরে প্রবাহিত হচ্ছে। এতে সিরাজগঞ্জ সদরে ১৬০ হেক্টর, কাজীপুরে ২৩০ হেক্টর, শাহজাদপুরে ১০ হেক্টর, রায়গঞ্জে ৭ হেক্টর ও কামারখন্দ উপজেলার ১ হেক্টর ফসলি জমি এরই মধ্যে পানিতে তলিয়ে গেছে। এসব জমিতে সবজি, মরিচ, পাট, আউশ ধান, তিল ও বীজতলা ছিল।
জেলা প্রশাসক মীর মোহাম্মদ মাহবুবুর রহমান পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) বরাত দিয়ে জানান, পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকবে আরও বেশ কয়েক দিন, এতে জেলায় মাঝারি ধরনের বন্যা পরিস্থিতি সৃষ্টি হতে পারে। তবে বন্যা পরিস্থিতি মোকাবিলায় সব প্রস্তুতি রয়েছে জেলা প্রশাসনের।