• ঢাকা, বাংলাদেশ
  • ৬ই মার্চ, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
  • নিবন্ধিত অনলাইন নিউজ পোর্টাল
  • somoyerkotha24news@gmail.com
  • +880-1727-202675

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সব কর্মসূচি প্রত্যাহার

প্রকাশ: রবিবার, ২৮ জুলাই, ২০২৪ ১০:১৫

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সব কর্মসূচি প্রত্যাহার

অনলাইন ডেস্ক : সরকার মূল দাবি মেনে নেওয়ায় সব আন্দোলন কর্মসূচি প্রত্যাহার করেছে কোটা সংস্কার আন্দোলনের নেতৃত্ব দেওয়া বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন।

রোববার সন্ধ্যায় গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) কার্যালয়ে আলোচনা শেষে এক ভিডিও বার্তায় এই ঘোষণা দেন আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক নাহিদ ইসলাম।

নাহিদ সহিংসতায় আহত-নিহত হওয়ার ঘটনায় নিন্দা জানিয়ে দ্রুত বিচারের দাবি জানিয়েছেন। একই সঙ্গে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়ারও আহ্বান জানিয়েছেন। এসময় আন্দোলনের আরও পাঁচ সমন্বয়ক উপস্থিত ছিলেন।

আন্দোলনের অন্যতম এই সমন্বয়ক বলেন, কোটা সংস্কার আন্দোলন ও তার প্রেক্ষিতে উদ্ভূত পরিস্থিতিতে অনেকে অপ্রত্যাশিতভাবে আহত এবং নিহত হয়েছেন। তাছাড়া রাষ্ট্রীয় স্থাপনায় অগ্নিসংযোগসহ নানা সহিংস ঘটনা ঘটেছে। আমরা এসকল ঘটনার তীব্র নিন্দা জানাই। সুষ্ঠু তদন্ত সাপেক্ষে দ্রুত বিচারের দাবি জানাচ্ছি।

আরও পড়ুনঃ  রমজানের পবিত্রতা রক্ষার আহ্বান ইসলামিক ফাউন্ডেশনের

নাহিদ বলেন, আমাদের প্রধান দাবি ছিলো কোটার যৌক্তিক সংস্কার যা ইতিমধ্যে সরকার পূরণ করেছে। এখন শিক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশ নিশ্চিত করার লক্ষ্যে দ্রুত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়ার জন্য সরকারের প্রতি জোর আহ্বান জানাই। সার্বিক স্বার্থে আমরা এই মুহূর্ত থেকে আমরা আমাদের কর্মসূচি প্রত্যাহার করছি।’

২০১৮ সালে সরকারি চাকরির প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণিতে কোটা বাতিল করে জারি করা পরিপত্র হাই কোর্ট অবৈধ ঘোষণার প্রতিক্রিয়ায় শিক্ষার্থীদের এই প্ল্যাটফর্ম টানা আন্দোলন চালিয়ে আসছিলো। এক পর্যাযয়ে দেশের পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের সাথে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরাও আন্দোলনে যোগ দেয়। তাদের সঙ্গে স্কুল ও কলেজের শিক্ষার্থীদেরও দেখা যায়।

আরও পড়ুনঃ  নতুন প্রজাতন্ত্র গড়তে নতুন সংবিধান প্রয়োজন : নাহিদ ইসলাম

কর্মসূচির অংশ হিসেবে তারা ‘বাংলা ব্লকেড’ নামের অবরোধও দেয়। এক পর্যায়ে ‘কমপ্লিট শাটডাউন’ ঘোষণা করে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন।

কর্মসূচিতে চলাকালে রাজধানীসহ সারা দেশে আন্দোলনকারীদের সাথে পুলিশ ও সরকর সমর্থকদের সংঘর্ষ হয়। বিশ্ববিদ্যালয়গুলো ক্লাস পরীক্ষা স্থগিত করে হল খালি করার নির্দেশ দেয়। অন্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠানও বন্ধ করে সরকার।

গত ১৮ জুলাই আন্দোলনকারীরা সরকারি বিভিন্ন স্থাপনায় আগুন দেয়। ব্যাপক ভাঙচুর হয় রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে। পরিস্থিতি সামাল দিতে ১৯ জুলাই রাতে কারফিউ জারি করে সরকার। বেসামরিক প্রশানসকে সহায়তায় মোতায়েন করা হয় সেনাবাহিনী।

কোটা সংস্কার আন্দোলন ঘিরে নাশকতা-সহিংসতায় ১৪৭ জন নিহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে সরকার। এদের মধ্যে সাধারণ মানুষ, শিক্ষার্থী, আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মী, সাংবাদিক এবং পুলিশের কয়েকজন সদস্য রয়েছেন।

আরও পড়ুনঃ  চিহ্নিত সন্ত্রাসী বাহিনীর বিরুদ্ধে ‘অলআউট অ্যাকশনে’ যাচ্ছে ডিবি

এদিকে শুক্রবার বিকালে গণস্বাস্থ্য নগর হাসপাতাল থেকে আন্দোলনের তিন সমন্বয়ক নাহিদ ইসলাম, আসিফ মাহমুদ ও আবু বাকেরকে নিয়ে যাওয়া হয় গোয়েন্দা হেফাজতে। এরপর শনিবার সন্ধ্যায় আরও দুই সমন্বয়ক সারজিস আলম ও হাসনাত আবদুল্লাহকে হেফাজতে নেয় ডিবি। রোববার আরেক সমন্বয়ক নুসরাত তাবাসসুমকে হেফাজতে নেওয়ার কথা জানায় ডিবি।

এদিকে ডিবি হেফাজতে নেওয়া শিক্ষার্থীদের গ্রেপ্তার করা হয়নি বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল।

রোববার সচিবালয়ে এক সংবাদ ব্রিফিংয়ে তিনি বলেছেন, পুলিশ যদি মনে করে তারা ঝুঁকিমুক্ত, তখনই তাদের ছেড়ে দেওয়া হবে।

সর্বশেষ সংবাদ

 

রাজনীতি-এর আরও সংবাদ

 



সম্পাদক ও প্রকাশক : ইয়াকুব শিকদার

ঢাকা অফিস: ১২১,ডি.আই.টি, এক্সটেনশন রোড, ফকিরাপুল, মতিঝিল, ঢাকা-১০০০। রাজশাহী অফিস: বহরমপুর (সিটি বাইপাস), জিপিও-৬০০০, রাজপাড়া, রাজশাহী। ই-মেইল: somoyerkotha24news@gmail.com, মোবাইল: 01727202675