• ঢাকা, বাংলাদেশ
  • ৬ই মার্চ, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
  • নিবন্ধিত অনলাইন নিউজ পোর্টাল
  • somoyerkotha24news@gmail.com
  • +880-1727-202675

অবৈধ অস্ত্র উদ্ধারে যৌথ অভিযান শুরু বুধবার: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

প্রকাশ: রবিবার, ১ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ ৪:২৩

অবৈধ অস্ত্র উদ্ধারে যৌথ অভিযান শুরু বুধবার: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

অনলাইন ডেস্ক: ৪ সেপ্টেম্বর থেকে অবৈধ অস্ত্র উদ্ধারে যৌথ অভিযান পরিচালনা করবে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। আজ রোববার এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা অবসরপ্রাপ্ত লেফটেন্যান্ট জেনারেল মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।

ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর সেই সরকারের হত্যা, নির্যাতন, গুম, অর্থ পাচার ও দুর্নীতি নিয়ে প্রতিদিন মামলা হচ্ছে সারা দেশে। তবে যে গতিতে মামলা হচ্ছে, সে তুলনায় আসামি গ্রেপ্তার হচ্ছে খুবই কম। সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা জানিয়েছেন, এখনই বড় অভিযান পরিচালনার পক্ষে নয় অন্তর্বর্তী সরকার। গণগ্রেপ্তারের দুর্নাম এবং মানুষ হয়রানি এড়াতে ধীরে চলো নীতিতে চলছে তারা।

পুলিশ পুনর্গঠনের পর সুনির্দিষ্ট অপরাধীদের বিরুদ্ধে, সুনির্দিষ্ট অভিযান পরিচালনা করে তাঁদের আইনের আওতায় আনা হবে। মামলা ও গ্রেপ্তারের বিষয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও পুলিশ সদর দপ্তরের একাধিক দায়িত্বশীল কর্মকর্তার সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ভুক্তভোগী ও ক্ষতিগ্রস্তরা মামলা করেছেন, মামলার আসামিও এজাহারে উল্লেখ আছে। গ্রেপ্তারের বিষয়টি তদন্ত কর্মকর্তা সমন্বয় করে সিদ্ধান্ত নেবেন। তদন্ত কর্মকর্তার প্রয়োজন অনুযায়ী তাঁকে সহযোগিতা করা হবে।

স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের একজন কর্মকর্তা বলেন, হাজার হাজার মানুষ গ্রেপ্তার করে লাভ নেই, অপরাধীদের গ্রেপ্তার করা হবে। হাজার হাজার গ্রেপ্তারের পর দেখা গেল, মূল অপরাধী বিচারের মুখোমুখি হলো না, এই সংস্কৃতি থেকে বের হতে হবে। প্রতিটি অপরাধের ঘটনার যথেষ্ট প্রমাণ রয়েছে। কে হত্যা করেছে, কে মানুষ তুলে নিয়েছে, কারা অস্ত্রের মহড়া দিয়ে গুলি করেছে, সবার নাম-ঠিকানা ও পরিচয় রয়েছে। প্রত্যেককে আইনের আওতায় আনা হবে। তবে নিরপরাধ কাউকে হয়রানি করা হবে না। সে জন্য সরকার কিছু পদক্ষেপ নিয়েছে, সেই অনুযায়ী আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী কাজ করবে।

আরও পড়ুনঃ  বৈষম্যমুক্ত বাংলাদেশ গড়তে সকলকে এক প্লাটফর্মে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে : ডা. শফিকুর রহমান

ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে ২৯ আগস্ট পর্যন্ত শতাধিক হত্যা মামলা হয়েছে দেশের বিভিন্ন জেলায়। সব কটি মামলা হয়েছে বিভিন্ন সময় গুম ও জুলাই হত্যাকাণ্ড নিয়ে। শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে প্রথম হত্যা মামলা করা হয় গত ১৩ আগস্ট, রাজধানীতে। আর শততম মামলাটি করা হয়েছে ২৯ আগস্ট আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে। হত্যা মামলাগুলোর তথ্য বিশ্লেষণে দেখা যায়, গণহত্যার অভিযোগে ৮টি মামলা আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থায় জমা পড়েছে। আর ৯৪টি মামলা করা হয়েছে দেশের বিভিন্ন থানায়। সব মিলিয়ে শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে এ পর্যন্ত ১০১টি হত্যা মামলা করার তথ্য পাওয়া গেছে। এ ছাড়া অপহরণ করে গুমের অভিযোগেও একটি মামলা করা হয়েছে তাঁর বিরুদ্ধে। তিনি ছাড়াও তাঁর মন্ত্রিসভায় থাকা মন্ত্রী, এমপি, সচিব ও পুলিশ কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। তবে গ্রেপ্তারের সংখ্যা খুবই কম।

আরও পড়ুনঃ  স্বপ্ন দেখি ছাত্র-ছাত্রীরা দেশের ভেতরেই যেন ভবিষ্যৎ দেখতে পারে : নতুন শিক্ষা উপদেষ্টা

গ্রেপ্তার ও মামলার বিষয়ে জানতে চাইলে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী গত ৩০ আগস্ট বিকেলে এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি। তিনি জানিয়েছেন, এ বিষয়ে এখনো মন্তব্য করার সময় হয়নি।

র‍্যাবের মুখপাত্র লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. মুনিম ফেরদৌস আজকের পত্রিকাকে বলেন, প্রতিটি মামলার তদন্ত কর্মকর্তা রয়েছেন। তাঁরা কোনো সহায়তা চাইলে র‍্যাব করবে। ইতিমধ্যে সাবেক বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশিকে গ্রেপ্তার করে পুলিশে সোপর্দ করেছে র‍্যাব। এভাবে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা যদি চান, তাহলে র‍্যাব তাঁদের সহযোগিতা করবে।

যৌথ কোনো অভিযানে র‍্যাব অংশ নেবে কি না জানতে চাইলে র‍্যাবের এই মুখপাত্র বলেন, আপাতত যৌথ অভিযানের কোনো পরিকল্পনা নেই। র‍্যাব বিশেষত ইউনিট হিসেবে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেবে।

এদিকে পুলিশ জানিয়েছে, ইতিমধ্যে উল্লেখযোগ্য কয়েকজন গ্রেপ্তার হয়েছেন। তাঁদের মধ্যে রয়েছেন সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হক, সাবেক শিক্ষামন্ত্রী ড. দীপু মনি এবং সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপদেষ্টা ও বেক্সিমকো গ্রুপের ভাইস চেয়ারম্যান সালমান এফ রহমান। এ ছাড়া আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন, সাবেক মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক প্রতিমন্ত্রী এ বি তাজুল ইসলাম, সাবেক তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু, সাবেক বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটনমন্ত্রী রাশেদ খান মেনন ও সাবেক বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি গ্রেপ্তার হয়েছেন।

আরও পড়ুনঃ  স্থানীয় চাহিদা মিটিয়ে বিশ্বের ২৫টি দেশে রপ্তানি হচ্ছে কুমিল্লার কচুর লতি

আওয়ামী লীগের নেতারা ছাড়াও গ্রেপ্তার হয়েছেন সাবেক সেনা কর্মকর্তা ও ন্যাশনাল টেলিকমিউনিকেশন মনিটরিং সেন্টারের (এনটিএমসি) সাবেক মহাপরিচালক মেজর জেনারেল জিয়াউল আহসান। চট্টগ্রাম বন্দরের সদ্য সাবেক চেয়ারম্যান রিয়ার অ্যাডমিরাল মোহাম্মদ সোহায়েলকেও গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)।

জুলাই ও আগস্টে যত হত্যা এবং সহিংসতার ঘটনা ঘটেছে, সেগুলোর তুলনায় অপরাধী শনাক্ত ও গ্রেপ্তারের সংখ্যা কম কেন জানতে চাইলে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনার মো. মাইনুল হাসান বলেন, ‘দেশ একটি পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে উঠে এসেছে। সবকিছুই এখানে নতুন করে শুরু করতে হচ্ছে, পুলিশের কার্যক্রম স্বাভাবিক হলেই মামলার তদন্ত, অপরাধী গ্রেপ্তার, অভিযানের কার্যক্রম—সবকিছু ঠিক হবে। এ জন্য আমাদের কার্যক্রম চলছে।’

সর্বশেষ সংবাদ

 

রাজনীতি-এর আরও সংবাদ

 



সম্পাদক ও প্রকাশক : ইয়াকুব শিকদার

ঢাকা অফিস: ১২১,ডি.আই.টি, এক্সটেনশন রোড, ফকিরাপুল, মতিঝিল, ঢাকা-১০০০। রাজশাহী অফিস: বহরমপুর (সিটি বাইপাস), জিপিও-৬০০০, রাজপাড়া, রাজশাহী। ই-মেইল: somoyerkotha24news@gmail.com, মোবাইল: 01727202675