স্টাফ রিপোর্টার : প্রতিমা বিসর্জনের মধ্য দিয়ে রাজশাহীতে শেষ হলো এবছরের দুর্গোৎসব (১৩ অক্টোবর) রবিবার দুপুর থেকে মহানগরীর মুন্নুজান স্কুল মাঠ সংলগ্ন প্রতিমা বিসর্জন ঘাটে কড়া নিরাপত্তায় শুরু হয় প্রতিমা বিসর্জন। রাজশাহীর ৭৮টি পূজামণ্ডপের প্রতিমা এখানে বিসর্জন দেওয়া হয়। এ উপলক্ষে রাজশাহী হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিষ্টান কল্যাণ ফ্রন্ট আয়োজিত প্রতিমা বিসর্জন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন রাজশাহী বিভাগীয় কমিশনার ও রাসিক প্রশাসক ড. দেওয়ান মুহাম্মদ হুমায়ূন কবীর।
এসময় নিরাপত্তা ও সার্বিক বিষয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে রাসিক প্রশাসক বলেন, গত বছরের তুলনায় এ বছর নিরাপত্তা ব্যবস্থা আরও বেশি জোরদার করা হয়েছে। পুলিশ এবং আনসার-ভিডিপির পাশাপাশি বিজিবি ও সেনাবাহিনীকেও রাখা হয়েছে। টহলের বিভিন্ন কৌশলগত পয়েন্টে সেনাবাহিনী রাখা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, যাত্রাপথ থেকে শুরু করে বিসর্জন ঘাট পর্যন্ত সব জায়গায় বিপুল নিরাপত্তা, গোয়েন্দা তৎপরতা রাখা হয়েছে এবং প্রত্যেকের অবস্থান সুনির্দিষ্ট করা হয়েছে। প্রতিটা পয়েন্টে গোয়েন্দা সংস্থা রয়েছে যাতে কোনো দুষ্কৃতকারী অপতৎপরতা চালাতে না পারে।
ট্রাফিক ব্যবস্থা বিষয়ে ড. দেওয়ান মুহাম্মদ হুমায়ূন কবীর বলেন, যাত্রা পথে আমরা দুটো অবস্থান নিয়েছি। ট্রাফিক ব্যবস্থাপনার একটি অন্যতম সমস্যা হলো এখানে রাস্তাগুলো সরু। সেক্ষেত্রে কোথাও কোনো গাড়ি যাতে পার্কিং করতে না পারে, সেজন্য ওয়ানওয়ে ট্রাফিক করে দেওয়া হয়েছে। প্রত্যেকটা মোড়ে মোড়ে আমাদের পুলিশের পর্যাপ্ত সদস্য রয়েছে সাথে আছে বিজিবি ও সেনাবাহিনী।
সকল রাজনৈতিক দল, সুশীলসমাজ এবং পূজা উদযাপন কমিটিকে ধন্যবাদ জানিয়ে তিনি বলেন, আপনাদের অক্লান্ত পরিশ্রমের মাধ্যমে আজকে শান্তি-শৃঙ্খলার মধ্য দিয়ে প্রতিমা বিসর্জন সম্পন্ন হয়েছে। আমাদের মহানগরে সব সময় সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বহাল রয়েছে।
প্রতিমা বিসর্জন অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার মোহাম্মদ আবু সুফিয়ান, অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার মোহাম্মদ হেমায়েতুল ইসলাম, ভারপ্রাপ্ত জেলা প্রশাসক সরকার অসীম কুমার এবং হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান কল্যাণফ্রন্টের রাজশাহী বিভাগীয় সহসাংগঠনিক সম্পাদক বাবু আনন্দ কুমার মণ্ডল এবং কমিটির স্থানীয় নেতৃবৃন্দ।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান কল্যাণফ্রন্টের রাজশাহী মহানগরের সভাপতি অচিন্ত্য কুমার বিশ^াস সান্টু। অনুষ্ঠানে সার্বিক সহযোগিতা করেন রাজশাহী সিটি কর্পোরেশন এবং রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশ।