এনায়েতপুর থানায় ১৫ জনকে হত্যার মাধ্যমে ‘পুলিশের মেরুদণ্ড ভাঙার’ দাবি

এনায়েতপুর থানায় ১৫ জনকে হত্যার মাধ্যমে ‘পুলিশের মেরুদণ্ড ভাঙার’ দাবি

সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি : সিরাজগঞ্জের এনায়েতপুরে ১৫ পুলিশ হত্যার প্রসঙ্গে সিরাজগঞ্জ জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক সাইদুর রহমান বাচ্চুর বক্তব্যের একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। ভিডিওতে সাইদুর রহমান বাচ্চু বলেন, ‘এনায়েতপুরে ১৫ পুলিশ নিহত না হলে পুলিশের মেরুদণ্ড ভাঙত না। আমরা আন্দোলন করে সেটি প্রারম্ভিক করেছি।’এমন বক্তব্যের ভিডিও ছড়িয়ে পড়ায় দলীয় নেতা-কর্মীদের মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা গেছে। জেলা বিএনপির নেতা বলছেন, এই বক্তব্য সাইদুর রহমান বাচ্চুর ব্যক্তিগত। এর দায়ভার বিএনপি নেবে না। অন্যদিকে, সাইদুর রহমান বাচ্চুর দাবি তাঁর বক্তব্য এডিট করা হয়েছে। ভাইরাল ভিডিওটিতে দেখা যায়, গত বৃহস্পতিবার (৯ জানুয়ারি) দুপুরে সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুরে মিল্ক ভিটায় এক মতবিনিময় সভায় সাইদুর রহমান বাচ্চু বলেন, ‘আমরা সিরাজগঞ্জে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন করেছি। সিরাজগঞ্জের এনায়েতপুরে যদি ১৫ পুলিশ নিহত না হতো, তাহলে বাংলাদেশের পুলিশের মেরুদণ্ড ভাঙত না। আমরা সিরাজগঞ্জে আন্দোলন করে পুলিশের মেরুদণ্ড ভেঙে ২০২৪ সালের আন্দোলনকে প্রারম্ভিক (গতিশীল) করেছি।’তাঁর এই বক্তব্যের একটি ভিডিও ফুটেজ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। এতে দলীয় নেতা-কর্মীদের মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা গেছে। তবে এটি তাঁর ব্যক্তিগত মন্তব্য বলে জানিয়েছেন সিরাজগঞ্জ জেলা বিএনপির নেতারা। এ বিষয়ে গতকাল শুক্রবার রাতে সাইদুর রহমান বাচ্চু বলেন, ‘সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আমার যে বক্তব্য প্রচার করা হয়েছে তা এডিট করা। আমার ও দলের ভাবমূর্তি নষ্ট করার জন্য আওয়ামী লীগের একটি কুচক্রী মহল এই কাজ করেছে। পুলিশ হত্যার সঙ্গে আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা জড়িত। এ বিষয়ে মামলাও হয়েছে। আমার বক্তব্য এডিট করে আওয়ামী লীগ ফায়দা লোটার চেষ্টা করছে।’ এ বিষয়ে জানতে চাইলে আজ শনিবার দুপুরে সিরাজগঞ্জ জেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা মোস্তফা জামানের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়। তিনি মোবাইল ফোনে বলেন, ‘ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মুখে স্বৈরাচার ফ্যাসিস্ট সরকারের পতন হয়েছে। বিএনপি হত্যার রাজনীতি করে না। পুলিশ হত্যার সঙ্গে আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা জড়িত। পুলিশ আওয়ামী লীগের নেতাদের আসামি করে মামলাও করেছে। সাবেক মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী আবদুল লতিফ বিশ্বাস এই মামলায় গ্রেপ্তার হয়ে কারাগারে রয়েছেন। সুতরাং এটি পরিষ্কার, এনায়েতপুরে পুলিশ হত্যার সঙ্গে আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা জড়িত। জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক যে বক্তব্য দিয়েছেন, সেটি তাঁর ব্যক্তিগত। এর দায়ভার বিএনপি নেবে না।’

Share

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *