Home রাজশাহী বাগমারার দুবিলায় কচুরিপানায় শেষ ধানের জমি: দুশ্চিন্তায় কৃষকরা

বাগমারার দুবিলায় কচুরিপানায় শেষ ধানের জমি: দুশ্চিন্তায় কৃষকরা

বাগমারার দুবিলায় কচুরিপানায় শেষ ধানের জমি: দুশ্চিন্তায় কৃষকরা

হেলাল উদ্দিন বাগমারা : রাজশাহীর বাগমারা উপজেলার গনিপুর ইউনিয়নের দুবিলার বিলে কয়েক বছর থেকে অপরিকল্পিতভাবে পুকুর খননের কারণে পরিত্যক্ত হয়ে পড়েছে কৃষকদের জমি। যেদিকে চোখ যাবে কেবল কুচুরি পানা। জমিতে জলাবদ্ধতা ও কুচুরি পানায় ভরে যাওয়ার কারণে চাষাবাদ করতে পারছে না। ক্ষতিগ্রস্ত এক কৃষক পরিত্যক্ত জমিতে পুকুর খননের অনুমতি চেয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে আবেদন করেছেন।

উপজেলার গণিপুর গ্রামের কৃষক দুলাল হোসেন জানান, দুবিলায় তাঁর ও এলাকার কৃষকদের চাষাবাদের জমি রয়েছে। কয়েক বছর আগে তাঁদের জমির চারপাশে অপরিকল্পিক ভাবে পুকুর খনন করা হয়েছে। এর ফলে পুকুরের বাইরে থাকা আবাদি জমিগুলো অনাবাদি অবস্থায় থাকছে। বর্ষাকাল থেকে জমিতে পানি জমে থাকে। এছাড়াও সেখানে কচুরিপানায় ভরে যায়। এ কারণে দুই-তিন বছর থেকে জমিগুলো পরিত্যক্ত অবস্থায় থাকছে। কৃষকেরা কোনা চাষাবাদ করতে পারছে না। পুকুরের ফাঁকে থাকা জমিগুলোতে কচুরিপানায় ভরে যেতে দেখা যায়। এছাড়াল জলাবদ্ধতা চোখে পড়ে। স্থানীয় কৃষকেরা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, তাঁদের জমিগুলো অনাবাদি থাকছে। সেখানে মাছচাষ ছাড়া কোনো উপায় নেই। কৃষক দুলাল হোসেন জানান, তিনি গরীব। আগে তাঁর জমিতে চাষাবাদ হলেও এখন পরিত্যক্ত থাকছে। এখন মাছচাষ ছাড়া আর কোনো উপায় নেই। তিনি পরিত্যক্ত জমিতে পুকুর খননের অনুমতি চেয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে আবেদন করেছেন।ওই এলাকার আরও ৩০-৪০জন কৃষক একই অভিযোগ করেন। তাঁরা জমিগুলো রক্ষার দাবি জানিয়েছেন।

কৃষক দুলাল হোসেনের আবেদন পাওয়ার বিষয় নিশ্চিত করেছে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার দপ্তর। সূত্রটি জানায়, তদন্ত করে প্রতিবেদন দেওয়ার জন্য সহকারী কমিশনারকে (ভূমি) দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।

 

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here