দেশে ফ্যাসিবাদ হয়ে আর কেউ মাথা তুলতে পারবে না: জামায়াত আমির

দেশে ফ্যাসিবাদ হয়ে আর কেউ মাথা তুলতে পারবে না: জামায়াত আমির

অনলাইন ডেস্ক : বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামের আমির ডা. শফিকুর রহমান বলেছেন, ফ্যাসিবাদ বিদায় হয়েছে, এই দেশে ফ্যাসিবাদ হয়ে আর কেউ মাথা তুলতে পারবে না। চাঁদাবাজ, লুণ্ঠনকারী, দখলকারী তোমাদের বাংলাদেশ আর কখনও কবুল করবে না। জাতিকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে সামনে আগাতে হবে।

মঙ্গলবার (২১ জানুয়ারি) বিকেলে বরিশাল নগরীর হেমায়েত উদ্দিন কেন্দ্রীয় ইদগাহ ময়দানে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী বরিশাল জেলা ও মহানগর কর্মী সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।

ডা. শফিকুর রহমান বলেন, আমরা আমাদের সন্তানদের সাথে কণ্ঠ মিলিয়ে রাস্তায় নেমেছিলাম ফ্যাসিজমকে বিদায় করার জন্য। সাড়ে ১৫ বছর আমরা দফায় দফায় আন্দোলন সংগ্রাম করেছি, ফ্যাসিজম বিদায়ে আমরা হয়ত ভিত রচনা করেছি কিন্তু রাজনৈতিক আন্দোলনের মাধ্যমে আমরা বিদায় করতে পারিনি। শেষ আন্দোলনটা রাজনৈতিক ছিল না, ছাত্র-যুব সমাজের একটা অধিকারের আন্দোলন ছিল। তারা কোটা সংস্কারের দাবি করেছিল আর সরকার তাদের দমন করার জন্য হাতুড়ি বাহিনী পাঠিয়েছে।

আরও পড়ুনঃ  প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠক করতে যমুনায় বিএনপির প্রতিনিধি দল

জামায়াতে ইসলামের আমির বলেন, বিদেশে যারা আছেন তাদের বলছি-সত্যি যদি দেশটাকে ভালোবাসেন তাহলে চলে আসেন। কি হয়েছে, অসুবিধা নেই। আপনাদের আমলে আমরা দফায় দফায় জেলে গিয়েছি, আমাদের কেমন রেখেছিলেন এখন আসলে আপনারা না হয় সেটি দেখার সুযোগ পাবেন। আপনারা মিথ্যা মামলায় সাজানো সাক্ষী দিয়ে পাতানো আদালত দিয়ে আমাদের নেতৃবৃন্দকে ফাঁসি দিয়েছেন খুন করেছেন। কিন্তু আপনারা তো প্রকাশ্য দিবালোকের খুনি, বিশ্ববাসীর সামনে খুন করেছেন। তখন কোথায় ছিল আপনাদের মানবিক সত্ত্বাটুকু, কীভাবে পারলেন গণহত্যা সংগঠিত করতে। ইন্টারনেট বন্ধ করে লাশগুলো গুম করতে কীভাবে পারলেন। আজও অনেকে স্বজনদের লাশ পাননি বলে দুহাত ধরে কান্নায় ভেঙে করেন।

আরও পড়ুনঃ  জামায়াতে ইসলামীর আয়োজনে জাতীয় ও স্থানীয় নির্বাচনে কেন্দ্র পরিচালক এবং পোলিং এজেন্ট প্রশিক্ষণ কর্মশালা

তিনি বলেন, মুসলমান, হিন্দু, খ্রিষ্টান, বৌদ্ধ এই চার ধর্মের মানুষেরা মিলেমিশে বাংলাদেশে আমরা যুগ যুগ ধরে বসবাস করছি। আমাদের মাঝে ধর্মীয় ও সামাজিক সম্প্রীতি আছে। কিন্তু একটা গোষ্ঠী বাংলাদেশকে সাড়ে ২৩ বছর শাসন করেছে বিভিন্ন পর্বে। তারা এই বাংলাদেশকে এক থাকতে দেয়নি, জনগণকে টুকরা টুকরা করে বিভক্ত করেছে। মুক্তিযুদ্ধের পক্ষ-বিপক্ষ, মেজরিটি-মাইনরিটি বিভিন্ন ধরনের ভাগে বিভক্ত করেছে।

আরও পড়ুনঃ  প্রশাসন অনেক জায়গায় বিএনপির পক্ষে কাজ করছে, এ অবস্থায় নির্বাচন নয়: নাহিদ

তিনি আরও বলেন, এত এত ঘটনা কেন ঘটলো? একটা দল ও একজন ব্যক্তির রাক্ষুসি মানসিকতার কারণে এমনটা হয়েছে। তারা ক্ষমতার রাক্ষস, তারা অর্থের রাক্ষস, তারা দাম্ভিক ছিলেন, বড় অহংকারী ছিলেন, মানুষকে এবং বিভিন্ন দলকে তুচ্ছ-তাচ্ছিল্য করেছে। তারা মানুষ বলে কাউকে সম্মান করেননি। দুনিয়ার পাওনা তারা কিছুটা পেয়েছেন, কিছুটা বাকী আছে। যেহেতু তারা গণহত্যাকারী ব্যক্তি ও দল সেই কারণে আমরা চাই গণহত্যাকারী ব্যক্তি ও দলের প্রত্যেকের ন্যায় বিচার হোক।-ইত্তেফাক

Share

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *