স্টাফ রিপোর্টার, বাঘা : রাজশাহীর বাঘায় শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের আয়-ব্যয়সহ নিয়োগ বাণিজ্যের প্রায় ২৪ লাখ টাকার হিসেব হাতাহাতি ও মারামারিতে জড়িয়ে পড়েছে শিক্ষকদের দুই পক্ষ। বিষয়টি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়তেই এলাকায় হাস্যরসের সৃষ্টি হয়েছে।
মঙ্গলবার (২১ জানুয়ারি) উপজেলার হেলালপুর বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে এ ঘটনা ঘটে। এ সময় স্কুলটির প্রধান শিক্ষক আব্দুল খালেকের সঙ্গে কয়েকজন সহকারী শিক্ষক ও কর্মচারীদের হাতহাতির ঘটনা ঘটে। এক পর্যায়ে চেয়ার ছোড়াছুড়িতে জড়িয়ে পড়ে দুই পক্ষ। সবশেষ এ বিষয় নিয়ে বাঘা উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কার্যালয়ে অভিযোগ করেছে একটি পক্ষ।
স্থানীয় একাধিক সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার মনিগ্রাম ইউনিয়নের হেলালপুর বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের আয়-ব্যয় এবং নিয়োগ বানিজ্যের টাকা ভাগ-বাটোয়ারা নিয়ে প্রধান শিক্ষক আব্দুল খালেকের সঙ্গে সহকারী শিক্ষক জাকির হোসেন, রফিকুল ইসলাম ও আব্দুল আওয়ালসহ বেশ কিছু শিক্ষক এবং কর্মচারীদের সঙ্গে আগে থেকেই দ্বন্দ্ব চলে আসছিলো। সর্বশেষ মঙ্গলবার সকালে তর্কের এক পর্যায়ে উভয় পক্ষের মধ্যে প্লষ্টিকের চেয়ার তুলে মারপিটের ঘটনা ঘটে।
তবে প্রধান শিক্ষক আব্দুল খালেক নিয়োগ বাণিজ্যের বিষয়টি অস্বীকার করেন। তিনি বলেন, স্থানীয় কিছু মানুষের ইন্ধনে কয়েকজন শিক্ষক একং কর্মচারী আমার কাছে প্রায় টাকা চায়। আমি টাকা দিতে না চাইলে তারা আমাকে গতকাল হুমকি দেয় এবং মঙ্গলবার স্কুলে এলে তারা আমাকে মারপিট করে স্কুল থেকে বের করে দেয়। এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট দপ্তরে লিখিত অভিযোগ করবো।
সহকারী শিক্ষক জাকির হোসেন বলেন ও রফিকুল ইসলাম বলেন, প্রধান শিক্ষক আব্দুল খালেক নিয়োগ বাণিজ্যসহ বিদ্যালয়ের আয়-ব্যয় মিলে প্রায় ২৪ লাখ টাকার কোন হিসেব কাউকে দেন না। এ দিয়ে গতকাল সোমবার সকালে তার সঙ্গে আমাদের কথা কাটাকাটি হয়। এরপর আজকে মঙ্গলবার তিনি বহিরাগত লোকজন সাথে নিয়ে এসে আমাদেরকে মারধর করে। বিষয়টি নির্বাহী অফিসারের কাছে জানানো হয়েছে।
এ বিষয়ে বাঘা উপজেলা নির্বাহী অফিসার শাম্মি আক্তার বলেন, সহকারী শিক্ষক ও কর্মচারীরা এসে আমার কাছে প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে অনিয়ম দুর্নীতির অভিযোগসহ মারধরের বিষয়ে অভিযোগ করে গেছে। তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।