ফরিদপুর প্রতিনিধি : ফরিদপুরের ভাঙ্গার পুখুরিয়া রেলস্টেশনে যাত্রাবিরতি না দেওয়ায় ফের মধুমতি ট্রেন আটকে বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করেছেন এলাকাবাসী। বুধবার (২২ জানুয়ারি) এই কর্মসূচি পালন করা হয়।
এর আগে, গত রোববার শিক্ষার্থী ও এলাকাবাসীর উদ্যোগে একই দাবিতে বিক্ষোভ ও রেল অবরোধ করা হয়। তবে সমস্যা সমাধানের আশ্বাস দিলে অবরোধকারীরা আধা ঘণ্টা ট্রেনটি আটকে রাখার পর ছেড়ে দেয়। বুধবার দুপুর ১২টা ২৫ মিনিট থেকে ১টা ৩৫ মিনিট পর্যন্ত আটকে রাখেন এলাকাবাসী।
এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, গত ১৭ জানুয়ারি রেল কর্তৃপক্ষ এক ঘোষণায় সারা দেশের দুটি স্টেশনে ১৯ জানুয়ারি থেকে আন্তঃনগর ট্রেন না থামার ঘোষণা দেয়। এর মধ্যে ভাঙ্গার পুখুরিয়া রেলস্টেশন রয়েছে। সেই হিসেবে মধুমতি এক্সপ্রেস ১৯ জানুয়ারি থেকে ভাঙ্গার পুখুরিয়া রেলস্টেশনে থামছে না। এ ঘোষণার পর বিক্ষুব্ধ হয়ে উঠে এলাকাবাসী। তারা প্রথম দিনেই দাবি আদায়ের জন্য আন্দোলনের ঘোষণা দেন। এলাকাবাসীর সঙ্গে একাত্মতা ঘোষণা করেন পুখুরিয়া রেলস্টেশনের পার্শ্ববর্তী ব্রাহ্মণকান্দা আব্দুস শরীফ অ্যাকাডেমির শিক্ষার্থীরা। তারা ওইদিন পুখুরিয়া স্টেশনে রাজশাহী থেকে ঢাকাগামী মধুমতি এক্সপ্রেস আটকে দেন। ট্রেনে থাকা কর্মকর্তাগণ পুনরায় মধুমতি এক্সপ্রেস পুখুরিয়া স্টেশনে থামার আশ্বাস দিলে অবরোধকারীরা ওইদিন অবরোধ প্রত্যাহার করে নেন।
গত দুই দিনেও কর্তৃপক্ষ কোনো উদ্যোগ না নেওয়ায় বুধবার (২২ জানুয়ারি) দ্বিতীয় দিনের মতো এলাকাবাসী ট্রেন আটকে দেয়। এ অবরোধ কর্মসূচিতে এলাকার অন্তত চার শতাধিক মানুষ অংশ নেয়।
তালমা ও পুখুরিয়া রেলস্টেশনের দায়িত্বরত স্টেশন মাস্টার রকিবুল ইসলাম বলেন, জ বুধবার রাজশাহী থেকে ঢাকাগামী মধুমতি এক্সপ্রেস পুখুরিয়া স্টেশন এলাকায় আসলে শতাধিক লোক অবরোধ করেন। ট্রেনটি বুধবার দুপুর ১২টা ২৫ থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত ৩৫ মিনিট আটকে রাখেন তারা। পরে ভাঙ্গা উপজেলা প্রশাসনের হস্তক্ষেপে অবরোধকারীরা অবরোধ প্রত্যাহার করে নেন।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে ভাঙ্গা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. মিজানুর রহমান বলেন, এই ট্রেন না থামায় ওই এলাকার বাসিন্দাদের কি কি ক্ষতি হচ্ছে তা জানিয়ে স্মারকলিপি দিতে বলেছি আমি। স্মারকলিপি পাওয়ার পর এ ব্যাপারে ঊর্ধ্বতনদের সঙ্গে কথা বলার সুযোগ রয়েছে। এসব বোঝানোর পরে ৩৫ মিনিট আটকে রাখার পর এলাকাবাসী ট্রেনটিকে ছেড়ে দেন।