মোহাঃ আসলাম আলী, বাঘা : জমির ধান ওঠা বেশ কিছুদিন হলেও অস্থির চালের বাজার। বেশি দামেই কিনতে হচ্ছে চাল। তবে স্থিতিশীল রয়েছে সবজির বাজার।
শুক্রবার (২৫ জানুয়ারী-২৫) উপজেলার বিভিন্ন বাজার ঘুরে ক্রেতা ও খুচরা বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে এসব তথ্য জানা গেছে। গত শুক্রবার পৌরসভার বাঘা বাজারে চালের বাড়তি দামের ব্যাপারে ক্ষোভ প্রকাশ করেন রহুল আমিন নামের এক ক্রেতা। বিক্রেতারা বলেন, ‘রাইস মিল ও পাইকারি পর্যায়ে বাড়ছে চালের দাম। এ জন্য আমরা কম দামে বিক্রি করতে পারছি না। ডিম ও মুরগির দামও কমেনি। তবে স্থিতিশীল রয়েছে সবজির বাজার।
জানা গেছে, সরকার চালের দাম কমাতে আমদানির অনুমোদন দিয়েছে। ভ্যাটও প্রত্যাহার করে নিয়েছে। জমি থেকে ধানও তোলা হয়ে গেছে। তার পরও কমছে না চালের দাম। বিভিন্ন বাজারের খুচরা চাল বিক্রেতারা বলছেন, রাইস মিল থেকে দাম বাড়ার কারণে খুচরা বাজারে কমছে না দাম। মিনিকেট ৬৮-৭৪ টাকা, আটাশ চাল,৬২-৭৪, মোটা চালের দাম ৫০-৫৮ ও নাজিরশাইল ৭০-৭৮ টাকা,পাইজাম, ৫০-৫৮ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে।
বাঘার খুচরা চাল বিক্রেতা মেসার্স মামা- ভাগ্নে রাইস এন্টারপ্রাইজের স্বত্বাধিকারী সুলতান আহমেদ এই প্রতিবেদককে জানান, ‘কিছুদিন আগে চালের দাম কেজিতে ৩ থেকে ৮ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে। আর কমছে না। মিল কর্তৃপক্ষ দাম না কমালে ভোক্তারা কম দামে খেতে পারবেন না।’ প্রায় একই কথা বলেন,অন্যন্য বাজারের খুচরা বিক্রেতারা। এছাড়া
সপ্তাহের ব্যবধানে কমেনি মুরগির দামও।
বাঘা বাজারের আজাদ হোসেনসহ অন্য খুচরা বিক্রেতারা বলেন, ‘আগের মতোই ব্রয়লার মুরগি ১৮০ থেকে ২০০ টাকা, সোনালি মুরগি ২৬০ থেকে ২৮০ টাকা,দেশি মুরগি ৪৮০থেকে ৫০০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। গরুর মাংসও আগের মতো ৬৮০-৭০০ টাকা ও খাসির মাংস ৯০০টাকা থেকে ১০০০ টাকা কেজি বিক্রি করতে দেখা গেছে। ডিম বিক্রেতারা বলেন, আগের মতোই বিভিন্ন বাজারে ৪৮ টাকা হালি ডিম বিক্রি করা হচ্ছে।
বাঘা বাজারের সবজি বিক্রেতা জিল্লুর রহমান,আড়ানীর শ্রী সুশান্ত কুমার, তেতুলিয়ার,হাফিজুর রহমানসহ,অন্য বিক্রেতারা বলেন,‘আগের সপ্তাহের মতো গতকালও আলু ২৫ থেকে ৩০ টাকা, পেঁয়াজ ৪০ থেকে ৪৫ টাকা কেজিতে বিক্রি হয়েছে। তবে আগের মতোই দেশি আদার কেজি ১০০ থেকে ১২০ টাকা, আমদানি করা আদা ১৭০ থেকে ২০০টাকা ও রসুন ২২০ থেকে ২৪০ টাকায় বিক্রি করা হচ্ছে। বেগুনের কেজি ১৫ থেকে ২০ টাকা,শিমের কেজি ১৫ থেকে ২০ টাকা, কাঁচা মরিচ ২৫ থেকে ৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
তারা আরও বলেন, শসা ৩০ থেকে ৪০ টাকা, টমেটো ৩৫ থেকে ৩৫, মুলা ৩ থেকে ৫, গাজর ৩৫ ও পেঁপে ৩০ থেকে ৩৫ টাকা, ফুলকপি ১ থেকে ১২ বাঁধাকপি পিচ ১২ থেকে ১৫টাকা,লাউ ও চালকুমড়ার পিস ২৫ থেকে ২৫ টাকা পিচ,বিক্রি হচ্ছে। লালশাক, পালংশাক, কলমিশাকের আঁটি ১০ টাকা থেকে ১২টাকায় বিক্রি হতে দেখা গেছে। তবে বিভিন্ন পাড়া-মহল্লায় আরও কম দামে বিক্রি হচ্ছে।
বিভিন্ন বাজারের খুচরা বিক্রেতারা বলেন, ছোলা আগের মতোই ১২০ থেকে ১৩০ টাকা, মুগ ডাল ১৬০ থেকে ১৭০ মসুর ডাল ১১৫ থেকে ১৪০ টাকা,কালাই ডাল১৬৫ টাকা থেকে১৮০ কেজি বিক্রি হচ্ছে। দুই কেজি ওজনের প্যাকেট আটা ১২০-১৩০ টাকা,খোলা আটা এক কেজি ৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এক লিটার সয়াবিন তেলের দাম ১৮৫ টাকা, চিনির কেজি ১২০ থেকে ১৪০টাকায় বিক্রি করা হচ্ছে।