স্টাফ রিপোর্টার : বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় ক্রেডিট রেটিং এজেন্সি এসঅ্যান্ডপি গ্লোবাল রেটিংস আবারও ব্র্যাক ব্যাংককে দেশসেরা ক্রেডিট রেটিং দিয়েছে। প্রতিষ্ঠানটি ব্র্যাক ব্যাংককে ‘স্থিতিশীল’ আউটলুকের সাথে ‘বি+’ রেটিং দিয়েছে। –খবর বিজ্ঞপ্তি
ব্যাংকিং খাতে নানাবিধ চ্যালেঞ্জ থাকা সত্ত্বেও যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক প্রতিষ্ঠান এসঅ্যান্ডপি গ্লোবাল রেটিং ব্র্যাক ব্যাংকের শক্তিশালী অবস্থানের ওপর আস্থা রেখে ‘স্থিতিশীল’ আউটলুকের সাথে ব্যাংকটির ‘বি+’ ক্রেডিট রেটিং বজায় রেখেছে। এই রেটিংটি বাংলাদেশের সার্বভৌম রেটিংয়ের সমতুল্য এবং এসঅ্যান্ডপি গ্লোবাল রেটিংস কর্তৃক রেট করা বাংলাদেশের ব্যাংকগুলোর মধ্যে সর্বোচ্চ।
ব্র্যাক ব্যাংক সম্পর্কে এসঅ্যান্ডপি প্রকাশিত এক বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয় যে, শক্তিশালী ব্রাঞ্চ নেটওয়ার্ক এবং অনলাইন ব্যাংকিংয়ের প্রসারে লক্ষ্যণীয় সাফল্য অর্জন করেছে ব্র্যাক ব্যাংক। ব্যাংকটির রিটেইল রেমিটেন্স এবং রপ্তানিমুখী ক্লায়েন্ট বেজ এটিকে বাংলাদেশের বিদ্যমান দুর্বল অর্থনৈতিক অবস্থার কারণে উদ্ভূত চ্যানলেঞ্জগুলো যথাযথভাবে মোকাবিলা করতে সহায়তা করেছে। আমরা বিশ্বাস করি, বাংলাদেশের এসএমই ও রিটেইল ব্যাংকিংয়ের মতো গুরুত্বপূর্ণ খাতে ব্যাংকটি তাদের শক্তিশালী ও সুদৃঢ় অবস্থান বজায় রাখবে। ব্র্যাক ব্যাংকের অ্যাসেট কোয়্যালিটি দেশের বিদ্যমান ইন্ডাস্ট্রি-অ্যাভারেজের চেয়েও বেশ ভালো। এই সুবিধাটিকেও ব্যাংকটি ভালোভাবে কাজে লাগাতে পেরেছে।
বিবৃতিতে আরও বলা হয় যে, ব্র্যাক ব্যাংকের ‘স্থিতিশীল’ আউটলুক ব্যাংকটির প্রতি আমাদের দৃষ্টিভঙ্গির প্রতিফলন। আমরা আস্থার সাথে উল্লেখ করেছিলাম যে, ব্র্যাক ব্যাংক বাংলাদেশের চ্যালেঞ্জিং ব্যবসায়িক পরিবেশে বিদ্যমান চ্যালেঞ্জ সঠিকভাবে মোকাবিলা করার মাধ্যমে আগামী ১২ থেকে ১৮ মাস নিজেদের শক্তিশালী আর্থিক অবস্থান ধরে রাখবে এবং সেটিই করতে সক্ষম হয়েছে ব্যাংকটি।
বিশ্বের সবচেয়ে স্বনামধন্য এজেন্সি থেকে পাওয়া দেশসেরা ক্রেডিট রেটিং সম্পর্কে মন্তব্য করে ব্র্যাক ব্যাংকের ম্যানেজিং ডিরেক্টর অ্যান্ড সিইও সেলিম রেজা ফরহাদ হোসেন বলেন, “আমাদের এই অর্জন শক্তিশালী ক্যাপিটাল বেজ, অ্যাসেট কোয়্যালিটি, সুশাসন এবং পর্যাপ্ত তারল্য বজায় রাখার ব্যাপারে আমাদের অবিচল প্রতিশ্রুতির স্বীকৃতি। স্বনামধন্য আন্তর্জাতিক এজেন্সি থেকে পাওয়া এই দেশসেরা ক্রেডিট রেটিং দেশের ব্যাংকিং খাতের উন্নয়নে ভূমিকা রাখার পাশাপাশি বিশ্বমঞ্চে বাংলাদেশের সুনাম বৃদ্ধি করতেও ভূমিকা রাখবে বলে আমরা বিশ্বাস করি।”
তিনি আরও বলেন, “এমন অর্জনের জন্য আমি কৃতজ্ঞতা জানাই আমাদের গ্রাহক, শেয়ারহোল্ডার, বিনিয়োগকারী, সহকর্মী, রেগুলেটর, পরিচালনা পর্ষদ এবং সকল স্টেকহোল্ডারদের প্রতি। আমাদের ব্যাংকের প্রতি সকলের অবিচল আস্থা এবং সহায়তাই আমাদের ধারাবাহিক উন্নতির মূল কারণ।”
এসঅ্যান্ডপি ছাড়াও ব্র্যাক ব্যাংককে বাংলাদেশের ব্যাংকগুলোর মধ্যে সর্বোচ্চ ক্রেডিট রেটিং দিয়েছে ক্র্যাব (এএএ) এবং মুডি‘স (বি২)।
ব্র্যাক ব্যাংক পিএলসি.:
ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প (এসএমই) খাতের অর্থায়নে অগ্রাধিকার দেয়ার ভিশন নিয়ে ব্র্যাক ব্যাংক পিএলসি. ২০০১ সালে যাত্রা শুরু করে, যা এখন পর্যন্ত দেশের অন্যতম দ্রুত প্রবৃদ্ধি অর্জনকারী একটি ব্যাংক। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে ‘BRACBANK’ প্রতীকে ব্যাংকটির শেয়ার লেনদেন হয়। ১৮৯টি শাখা, ৭৪টি উপশাখা, ৩৩০টি এটিএম, ৪৪৬টি এসএমই ইউনিট অফিস, ১,১১৪টি এজেন্ট ব্যাংকিং আউটলেট এবং ৮ হাজারেরও বেশি মানুষের বিশাল কর্মীবাহিনী নিয়ে ব্র্যাক ব্যাংক কর্পোরেট ও রিটেইল সেগমেন্টেও সার্ভিস দিয়ে আসছে। ব্যাংকটি দৃঢ় ও শক্তিশালী আর্থিক পারফরম্যান্স প্রদর্শন করে এখন সকল প্রধান প্রধান মাপকাঠিতেই ব্যাংকিং ইন্ডাস্ট্রির শীর্ষে অবস্থান করছে। আঠারো লাখেরও বেশি গ্রাহক নিয়ে ব্র্যাক ব্যাংক বিগত ২৩ বছরেই দেশের সবচেয়ে বৃহৎ জামানতবিহীন এসএমই অর্থায়নকারী ব্যাংক হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। দেশের ব্যাংকিং খাতে সুশাসন, স্বচ্ছতা ও নিয়মানুবর্তিতায় অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে ব্র্যাক ব্যাংক।